ঢাকা ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫

আইন আছে প্রয়োগ নেই

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ৫৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশে ধূমপান নিষিদ্ধ না হলেও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে জরিমানার বিধান আছে। কিন্তু, হরহামেশা এই আইন ভাঙলেও যেন দেখার কেউ নেই। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হুটহাট আদেশ জারি করে দায়সারার অভিযোগ আছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সব স্থাপনায় ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে দেয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি। একই আদেশ জারি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলেও। এ নিয়ে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কেই জানেন না অনেকে। প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না পাবলিক প্লেসে। এছাড়া সড়কের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো যাবে না।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমনই এক আদেশ জারি করেছ ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপি। যেখানে বলা হয়েছে, ডিএমপির সকল অফিস, থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন্সের প্রাঙ্গণ, অফিস কক্ষ, করিডোর, ওয়াশরুম, সিঁড়ি বা ভবনের অভ্যন্তরে ধূমপান করা যাবে না। বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছাড়াও অন্য কোনো ব্যক্তি ধূমপান করতে পারবে না। আদেশ অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। আদেশে সব ইউনিট প্রধানদের নির্দেশনা স্ব স্ব ইউনিটে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া থাকলেও অনেকে এখনও জানেন না এমন আদেশ। অনেকে আবার না জানলেও কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মানতে হবে বলে জানান। এ বিষয়ে জানতে আদেশটি স্বাক্ষর করা ডিএমপির সদর দফতর ও প্রশাসন বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সময় সংবাদ। একাধিকবার ফোন ও খুদে বার্তা দিয়েও তার সাড়া মেলেনি।
যদিও আদেশ জারির পরও ডিএমপির বিভিন্ন স্থাপনায় ধূমপানের দৃশ্য চোখে পড়ছে। তবে কারও বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের স্থাপনা, সেবাকেন্দ্র, থানা, ব্যারাক ও অফিসে একটি সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত এটি নতুন কোনো নিয়ম নয়, বরং প্রচলিত নিয়মটিকেই লিখিতভাবে পুনরায় স্পষ্ট করা হয়েছে। যাতে ধূমপানের কারণে কেউ অস্বস্তিতে না পড়েন এবং নগরবাসীকে আরও নির্বিঘ্নে সেবা দেয়া যায়।
একই ধরনের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল কর্তৃপক্ষ। যেখানে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না। অথচ আইনে পাবলিক প্লেসে নিষিদ্ধের কথা রয়েছে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। কেউ বলেছেন, সিগারেট খাওয়া নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা; আবার কেউ বলছেন, সিগারেট নিজে না খেলেও অন্যের খাওয়ার ফলেও সেটির ধোয়ায় নিজের ক্ষতি হয়। তাই পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাওয়া উচিত নয়।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার পর হল প্রভোস্ট ড. মো. ফারুক শাহ জানিয়েছেন, এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য কারও ওপর জরিমানা বা শাস্তি দেয়া নয়, বরং অধূমপায়ীদের সামনে ধূমপান নিরুৎসাহিত করা। তিনি বলেন, যারা ধূমপান করেন, তারা যেন সবার সামনে না করেন; এতে পাশে অবস্থানরতদের সমস্যা হতে পারে। চাইলে নিজের রুমে করতে পারেন যদি রুমমেটদের সমস্যা না থাকে তবেই।
এদিকে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা বলছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে এখনো অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এটাকে অনেকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারছেন না। সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপরতন চৌধুরীর মতে, অনেকে বলেন প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ-এটা ভুল ধারণা। আসলে আইনে বলা আছে, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। তিনি আরও বলেন, পাবলিক প্লেস বলতে বোঝায়-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাছারি, শপিংমল, বাস-রেল-স্টিমার স্টেশন ও রেস্টুরেন্টের মতো জায়গা, যেখানে জনসমাগম বেশি হয়। এসব স্থানে ধূমপান করলে আশপাশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়।
তবে আদেশ জারি করে নয় ধূমপায়ীদের সচেতনতাই পারে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করতে; এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।রাজধানীসহ সারাদেশের বিভাগীয় শহরের পাবলিক প্লেসে ধুমপানের পাশাপাশি স্পর্শকাতর হাসপাতালে ধুমপান ও শব্দদুষন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সব স্থাপনায় ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে দেয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি। একই আদেশ জারি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলেও। এ নিয়ে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কেই জানেন না অনেকে। প্রকাশ্যে নয়, ধূমপান করা যাবে না পাবলিক প্লেসে।এদিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে থেকে শব্দদূষন শুরু করেছেন। এছাড়া হোটেল সোনারগাঁও কারওয়ান বাজার মোড় থেকে শাহবাগ মোড়ে মাদক ও সলিমুল্লাহ মেজবাহ আর্শীবাদ রইল। অপরদিকে শব্দদূষন ঠেকাতে হিমসিম খাচ্ছেন পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া ট্রেন বা বাসের যাত্রীরা যার কারণে সকলেই নিজস্ব বাসাবাড়িতে থেকে নেয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সূত্র মতে, দেশে ধূমপান নিষিদ্ধ না হলেও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে জরিমানার বিধান আছে। কিন্তু, হরহামেশা এই আইন ভাঙলেও যেন দেখার কেউ নেই। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হুটহাট আদেশ জারি করে দায়সারার অভিযোগ আছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমনই এক আদেশ জারি করেছ ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপি। যেখানে বলা হয়েছে, ডিএমপির সকল অফিস, থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন্সের প্রাঙ্গণ, অফিস কক্ষ, করিডোর, ওয়াশরুম, সিঁড়ি বা ভবনের অভ্যন্তরে ধূমপান করা যাবে না। বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছাড়াও অন্য কোনো ব্যক্তি ধূমপান করতে পারবে না। আদেশ অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। আদেশে সব ইউনিট প্রধানদের নির্দেশনা স্ব স্ব ইউনিটে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া থাকলেও অনেকে এখনও জানেন না এমন আদেশ। অনেকে আবার না জানলেও কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মানতে হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে আদেশটি স্বাক্ষর করা ডিএমপির সদর দফতর ও প্রশাসন বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও খুদে বার্তা দিয়েও তার সাড়া মেলেনি।
যদিও আদেশ জারির পরও ডিএমপির বিভিন্ন স্থাপনায় ধূমপানের দৃশ্য চোখে পড়ছে। তবে কারও বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের স্থাপনা, সেবাকেন্দ্র, থানা, ব্যারাক ও অফিসে একটি সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত এটি নতুন কোনো নিয়ম নয়, বরং প্রচলিত নিয়মটিকেই লিখিতভাবে পুনরায় স্পষ্ট করা হয়েছে। যাতে ধূমপানের কারণে কেউ অস্বস্তিতে না পড়েন এবং নগরবাসীকে আরও নির্বিঘ্নে সেবা দেয়া যায়।
একই ধরনের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল কর্তৃপক্ষ। যেখানে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না। অথচ আইনে পাবলিক প্লেসে নিষিদ্ধের কথা রয়েছে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। কেউ বলেছেন, সিগারেট খাওয়া নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা; আবার কেউ বলছেন, সিগারেট নিজে না খেলেও অন্যের খাওয়ার ফলেও সেটির ধোয়ায় নিজের ক্ষতি হয়। তাই পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাওয়া উচিত নয়।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার পর হল প্রভোস্ট ড. মো. ফারুক শাহ জানিয়েছেন, এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য কারও ওপর জরিমানা বা শাস্তি দেয়া নয়, বরং অধূমপায়ীদের সামনে ধূমপান নিরুৎসাহিত করা। তিনি বলেন, যারা ধূমপান করেন, তারা যেন সবার সামনে না করেন; এতে পাশে অবস্থানরতদের সমস্যা হতে পারে। চাইলে নিজের রুমে করতে পারেন যদি রুমমেটদের সমস্যা না থাকে তবেই।
এদিকে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা বলছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে এখনো অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এটাকে অনেকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারছেন না। সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপরতন চৌধুরীর মতে, অনেকে বলেন প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ-এটা ভুল ধারণা। আসলে আইনে বলা আছে, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। তিনি আরও বলেন, পাবলিক প্লেস বলতে বোঝায়-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাছারি, শপিংমল, বাস-রেল-স্টিমার স্টেশন ও রেস্টুরেন্টের মতো জায়গা, যেখানে জনসমাগম বেশি হয়। এসব স্থানে ধূমপান করলে আশপাশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। তবে আদেশ জারি করে নয় ধূমপায়ীদের সচেতনতাই পারে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করতে; এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আইন আছে প্রয়োগ নেই

আপডেট সময় :

দেশে ধূমপান নিষিদ্ধ না হলেও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে জরিমানার বিধান আছে। কিন্তু, হরহামেশা এই আইন ভাঙলেও যেন দেখার কেউ নেই। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হুটহাট আদেশ জারি করে দায়সারার অভিযোগ আছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সব স্থাপনায় ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে দেয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি। একই আদেশ জারি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলেও। এ নিয়ে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কেই জানেন না অনেকে। প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না পাবলিক প্লেসে। এছাড়া সড়কের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানো যাবে না।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমনই এক আদেশ জারি করেছ ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপি। যেখানে বলা হয়েছে, ডিএমপির সকল অফিস, থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন্সের প্রাঙ্গণ, অফিস কক্ষ, করিডোর, ওয়াশরুম, সিঁড়ি বা ভবনের অভ্যন্তরে ধূমপান করা যাবে না। বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছাড়াও অন্য কোনো ব্যক্তি ধূমপান করতে পারবে না। আদেশ অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। আদেশে সব ইউনিট প্রধানদের নির্দেশনা স্ব স্ব ইউনিটে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া থাকলেও অনেকে এখনও জানেন না এমন আদেশ। অনেকে আবার না জানলেও কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মানতে হবে বলে জানান। এ বিষয়ে জানতে আদেশটি স্বাক্ষর করা ডিএমপির সদর দফতর ও প্রশাসন বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সময় সংবাদ। একাধিকবার ফোন ও খুদে বার্তা দিয়েও তার সাড়া মেলেনি।
যদিও আদেশ জারির পরও ডিএমপির বিভিন্ন স্থাপনায় ধূমপানের দৃশ্য চোখে পড়ছে। তবে কারও বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের স্থাপনা, সেবাকেন্দ্র, থানা, ব্যারাক ও অফিসে একটি সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত এটি নতুন কোনো নিয়ম নয়, বরং প্রচলিত নিয়মটিকেই লিখিতভাবে পুনরায় স্পষ্ট করা হয়েছে। যাতে ধূমপানের কারণে কেউ অস্বস্তিতে না পড়েন এবং নগরবাসীকে আরও নির্বিঘ্নে সেবা দেয়া যায়।
একই ধরনের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল কর্তৃপক্ষ। যেখানে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না। অথচ আইনে পাবলিক প্লেসে নিষিদ্ধের কথা রয়েছে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। কেউ বলেছেন, সিগারেট খাওয়া নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা; আবার কেউ বলছেন, সিগারেট নিজে না খেলেও অন্যের খাওয়ার ফলেও সেটির ধোয়ায় নিজের ক্ষতি হয়। তাই পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাওয়া উচিত নয়।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার পর হল প্রভোস্ট ড. মো. ফারুক শাহ জানিয়েছেন, এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য কারও ওপর জরিমানা বা শাস্তি দেয়া নয়, বরং অধূমপায়ীদের সামনে ধূমপান নিরুৎসাহিত করা। তিনি বলেন, যারা ধূমপান করেন, তারা যেন সবার সামনে না করেন; এতে পাশে অবস্থানরতদের সমস্যা হতে পারে। চাইলে নিজের রুমে করতে পারেন যদি রুমমেটদের সমস্যা না থাকে তবেই।
এদিকে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা বলছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে এখনো অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এটাকে অনেকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারছেন না। সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপরতন চৌধুরীর মতে, অনেকে বলেন প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ-এটা ভুল ধারণা। আসলে আইনে বলা আছে, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। তিনি আরও বলেন, পাবলিক প্লেস বলতে বোঝায়-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাছারি, শপিংমল, বাস-রেল-স্টিমার স্টেশন ও রেস্টুরেন্টের মতো জায়গা, যেখানে জনসমাগম বেশি হয়। এসব স্থানে ধূমপান করলে আশপাশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়।
তবে আদেশ জারি করে নয় ধূমপায়ীদের সচেতনতাই পারে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করতে; এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।রাজধানীসহ সারাদেশের বিভাগীয় শহরের পাবলিক প্লেসে ধুমপানের পাশাপাশি স্পর্শকাতর হাসপাতালে ধুমপান ও শব্দদুষন এবং ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সব স্থাপনায় ধূমপান নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আদেশ অমান্য করলে দেয়া হয়েছে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি। একই আদেশ জারি হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলেও। এ নিয়ে দেখা গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কেই জানেন না অনেকে। প্রকাশ্যে নয়, ধূমপান করা যাবে না পাবলিক প্লেসে।এদিকে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে থেকে শব্দদূষন শুরু করেছেন। এছাড়া হোটেল সোনারগাঁও কারওয়ান বাজার মোড় থেকে শাহবাগ মোড়ে মাদক ও সলিমুল্লাহ মেজবাহ আর্শীবাদ রইল। অপরদিকে শব্দদূষন ঠেকাতে হিমসিম খাচ্ছেন পুলিশ প্রশাসন। এছাড়া ট্রেন বা বাসের যাত্রীরা যার কারণে সকলেই নিজস্ব বাসাবাড়িতে থেকে নেয়ার চেষ্টা করে।
স্থানীয় সূত্র মতে, দেশে ধূমপান নিষিদ্ধ না হলেও পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী পাবলিক প্লেসে ধূমপান করলে জরিমানার বিধান আছে। কিন্তু, হরহামেশা এই আইন ভাঙলেও যেন দেখার কেউ নেই। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হুটহাট আদেশ জারি করে দায়সারার অভিযোগ আছে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর এমনই এক আদেশ জারি করেছ ঢাকা মহানগর পুলিশ ডিএমপি। যেখানে বলা হয়েছে, ডিএমপির সকল অফিস, থানা, ফাঁড়ি ও পুলিশ লাইন্সের প্রাঙ্গণ, অফিস কক্ষ, করিডোর, ওয়াশরুম, সিঁড়ি বা ভবনের অভ্যন্তরে ধূমপান করা যাবে না। বাহিনীর কর্মকর্তা-কর্মচারীর ছাড়াও অন্য কোনো ব্যক্তি ধূমপান করতে পারবে না। আদেশ অমান্য করলে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে। আদেশে সব ইউনিট প্রধানদের নির্দেশনা স্ব স্ব ইউনিটে কার্যকরের নির্দেশ দেয়া থাকলেও অনেকে এখনও জানেন না এমন আদেশ। অনেকে আবার না জানলেও কমিশনার নির্দেশ দিয়েছেন বলে মানতে হবে বলে জানান।
এ বিষয়ে জানতে আদেশটি স্বাক্ষর করা ডিএমপির সদর দফতর ও প্রশাসন বিভাগের উপ-কমিশনার শাহ মো. আব্দুর রউফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও খুদে বার্তা দিয়েও তার সাড়া মেলেনি।
যদিও আদেশ জারির পরও ডিএমপির বিভিন্ন স্থাপনায় ধূমপানের দৃশ্য চোখে পড়ছে। তবে কারও বিরুদ্ধে এখনও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে ডিএমপির মুখপাত্র মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘পুলিশের স্থাপনা, সেবাকেন্দ্র, থানা, ব্যারাক ও অফিসে একটি সুন্দর ও স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশ নিশ্চিত করতেই এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মূলত এটি নতুন কোনো নিয়ম নয়, বরং প্রচলিত নিয়মটিকেই লিখিতভাবে পুনরায় স্পষ্ট করা হয়েছে। যাতে ধূমপানের কারণে কেউ অস্বস্তিতে না পড়েন এবং নগরবাসীকে আরও নির্বিঘ্নে সেবা দেয়া যায়।
একই ধরনের একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল কর্তৃপক্ষ। যেখানে বলা হয়েছে, প্রকাশ্যে ধূমপান করা যাবে না। অথচ আইনে পাবলিক প্লেসে নিষিদ্ধের কথা রয়েছে। এতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। কেউ বলেছেন, সিগারেট খাওয়া নিজের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা; আবার কেউ বলছেন, সিগারেট নিজে না খেলেও অন্যের খাওয়ার ফলেও সেটির ধোয়ায় নিজের ক্ষতি হয়। তাই পাবলিক প্লেসে সিগারেট খাওয়া উচিত নয়।
শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার পর হল প্রভোস্ট ড. মো. ফারুক শাহ জানিয়েছেন, এই নির্দেশনার উদ্দেশ্য কারও ওপর জরিমানা বা শাস্তি দেয়া নয়, বরং অধূমপায়ীদের সামনে ধূমপান নিরুৎসাহিত করা। তিনি বলেন, যারা ধূমপান করেন, তারা যেন সবার সামনে না করেন; এতে পাশে অবস্থানরতদের সমস্যা হতে পারে। চাইলে নিজের রুমে করতে পারেন যদি রুমমেটদের সমস্যা না থাকে তবেই।
এদিকে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা বলছে, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে এখনো অনেকের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। এটাকে অনেকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারছেন না। সংস্থার সভাপতি অধ্যাপক ডা. অরুপরতন চৌধুরীর মতে, অনেকে বলেন প্রকাশ্যে ধূমপান নিষেধ-এটা ভুল ধারণা। আসলে আইনে বলা আছে, পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ। তিনি আরও বলেন, পাবলিক প্লেস বলতে বোঝায়-শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কোর্ট-কাছারি, শপিংমল, বাস-রেল-স্টিমার স্টেশন ও রেস্টুরেন্টের মতো জায়গা, যেখানে জনসমাগম বেশি হয়। এসব স্থানে ধূমপান করলে আশপাশের মানুষও ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাদের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। তবে আদেশ জারি করে নয় ধূমপায়ীদের সচেতনতাই পারে পাবলিক প্লেসে ধূমপান বন্ধ করতে; এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।