ঢাকা ০৬:৪৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫

গৌরীপুরে সড়কে নিম্নমানের কাজ, উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে নওপাই সড়ক নির্মমানের সুরকি, পাথর, বিটুমিন ব্যবহার ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধুলোবালির উপরে সড়ক নির্মাণের পরপরেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। নিম্নমানের ও অতিরিক্ত গরমে বিটুমিন ব্যবহারের কারণে একাধিক স্থানে কার্পেটিংয়ে নুড়ি পাথর খসে পরছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২ কিলোমিটারের মধ্যে এক কিলোমিটার নতুন আর বাকী অংশটা মেরামতের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এ কাজটি দায়িত্ব পায় মাহিন এন্টারপ্রাইজ। প্রাক্কলিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০লাখ টাকা। এ বছরের জুন মাসে কাজটি মেয়াদ শেষ হয়। এরপরে প্রকৌশল বিভাগ ঠিকাদারকে তাগিদ দিয়ে কাজটি শেষ করা হয়েছে।
নওপাই গ্রামের আব্দুর বারেক জানান, এ সড়কে ইটের এক নাম্বার সুরকির স্থানে রাবিশের মতো পঁচা সুরকী ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো স্থানে তেল দিয়েছে (বিটুমিন) আবার কোনো স্থানে তেল ছাড়াই কাজ করেছে।
একই গ্রামের নবী হোসেনের পুত্র মোশারফ হোসেন বলেন, এই পাথরগুলো মনে হয় কোনোভাবে কালো রঙ করে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। রোলার দিয়ে সময় করার সময় দেখেন একটু বিটুমিন পর্যন্ত চাক্কায়ও লাগে না। তেলের (বিটুমিন) টাকা বড়কর্তারা নিয়ে গেছে, তাই রাস্তা পাথরগুলো মাঝে ফাঁকা ফাঁকা। বর্ষাকালে এ ফাঁকা স্থানে পানি জমেই আবার নষ্ট হয়ে যাবে।
ডেঙা গ্রামের নাছিমা খাতুন বলেন, এই রাস্তা পাথর ঝরঝরা এখন উঠে পরছে।
মইলাকান্দা পশ্চিমপাড়ার রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তা তো কোনোভাবে করে গেলেই শেষ। এই যে দেখলেন রাস্তাটা, নুড়ি পাথর উঠে যাচ্ছে।
এ দিকে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠে রক্ষিত পাথর, নুড়িপাথর গুলোও নিম্নমানের ও মৃত পাথর দিয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানান শ্যামগঞ্জের জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, এই পাথরগুলো সাদা এবং ওজনেও কম। বিটুমিনও নিম্নমানের যে কারণে রাস্তা মেরামত ও নির্মাণের পরপরে দ্রুত ভেঙে যাচ্ছে।
উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বড় পাথরের সাথে নুড়ি পাথর, ভাঙা পাথর ও বালি মিশ্রণেই এ কাজ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রাস্তাটি করতে গিয়ে অনেক প্যারা সহ্য করতে হয়েছে। যেখানেই অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, সেখানেই গিয়েছি। কাজটি শেষ হলেও আরও এক বছর রাস্তাটি আমরা দেখবো। তারপরে ঠিকাদার ফাইনাল বিল পাবেন। কোথাও অনিয়ম হলে সে বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গৌরীপুরে সড়কে নিম্নমানের কাজ, উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং

আপডেট সময় :

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার মইলাকান্দা ইউনিয়নের শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে নওপাই সড়ক নির্মমানের সুরকি, পাথর, বিটুমিন ব্যবহার ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধুলোবালির উপরে সড়ক নির্মাণের পরপরেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। নিম্নমানের ও অতিরিক্ত গরমে বিটুমিন ব্যবহারের কারণে একাধিক স্থানে কার্পেটিংয়ে নুড়ি পাথর খসে পরছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২ কিলোমিটারের মধ্যে এক কিলোমিটার নতুন আর বাকী অংশটা মেরামতের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। এ কাজটি দায়িত্ব পায় মাহিন এন্টারপ্রাইজ। প্রাক্কলিক ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০লাখ টাকা। এ বছরের জুন মাসে কাজটি মেয়াদ শেষ হয়। এরপরে প্রকৌশল বিভাগ ঠিকাদারকে তাগিদ দিয়ে কাজটি শেষ করা হয়েছে।
নওপাই গ্রামের আব্দুর বারেক জানান, এ সড়কে ইটের এক নাম্বার সুরকির স্থানে রাবিশের মতো পঁচা সুরকী ব্যবহার করা হয়েছে। কোনো স্থানে তেল দিয়েছে (বিটুমিন) আবার কোনো স্থানে তেল ছাড়াই কাজ করেছে।
একই গ্রামের নবী হোসেনের পুত্র মোশারফ হোসেন বলেন, এই পাথরগুলো মনে হয় কোনোভাবে কালো রঙ করে রাস্তায় ফেলে দেয়া হয়েছে। রোলার দিয়ে সময় করার সময় দেখেন একটু বিটুমিন পর্যন্ত চাক্কায়ও লাগে না। তেলের (বিটুমিন) টাকা বড়কর্তারা নিয়ে গেছে, তাই রাস্তা পাথরগুলো মাঝে ফাঁকা ফাঁকা। বর্ষাকালে এ ফাঁকা স্থানে পানি জমেই আবার নষ্ট হয়ে যাবে।
ডেঙা গ্রামের নাছিমা খাতুন বলেন, এই রাস্তা পাথর ঝরঝরা এখন উঠে পরছে।
মইলাকান্দা পশ্চিমপাড়ার রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তা তো কোনোভাবে করে গেলেই শেষ। এই যে দেখলেন রাস্তাটা, নুড়ি পাথর উঠে যাচ্ছে।
এ দিকে শ্যামগঞ্জ রেলওয়ে মাঠে রক্ষিত পাথর, নুড়িপাথর গুলোও নিম্নমানের ও মৃত পাথর দিয়ে কাজ হচ্ছে বলে জানান শ্যামগঞ্জের জয়নাল আবেদিন। তিনি বলেন, এই পাথরগুলো সাদা এবং ওজনেও কম। বিটুমিনও নিম্নমানের যে কারণে রাস্তা মেরামত ও নির্মাণের পরপরে দ্রুত ভেঙে যাচ্ছে।
উপসহকারী প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, বড় পাথরের সাথে নুড়ি পাথর, ভাঙা পাথর ও বালি মিশ্রণেই এ কাজ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রাস্তাটি করতে গিয়ে অনেক প্যারা সহ্য করতে হয়েছে। যেখানেই অনিয়মের অভিযোগ এসেছে, সেখানেই গিয়েছি। কাজটি শেষ হলেও আরও এক বছর রাস্তাটি আমরা দেখবো। তারপরে ঠিকাদার ফাইনাল বিল পাবেন। কোথাও অনিয়ম হলে সে বিষয়েও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।