ইটের প্রাচীর তুলে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ, সংবাদ সম্মেলন
- আপডেট সময় : ১৬ বার পড়া হয়েছে
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ৩ নং সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া ‘প্রফেসর পাড়া’ এলাকায় বহুদিনের ব্যবহৃত যাতায়াতের রাস্তা ইটের প্রাচীর তুলে বন্ধ করে দেওয়ায় চরম মানবিক সংকটে পড়েছেন ডিমলা ইসলামিয়া ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক মোঃ জহুরুল হক ও তাঁর পরিবার।
রাস্তা বন্ধের পর অধ্যাপক জহুরুল হকসহ তাঁর পরিবার কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পড়েছেন। অসুস্থতার কারণে জরুরি চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাঁর সন্তানরাও বিদ্যালয়ে যেতে পারছে না ফলে পরিবারটি মারাত্মক দুর্ভোগে রয়েছে।
অধ্যাপক জহুরুল হক বলেন, বহুদিন ধরে এ রাস্তা ব্যবহার করে আসছি। হঠাৎ করে পথ বন্ধ করে দেওয়ায় জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে গেছে। এটি সম্পূর্ণ অবৈধ ও অমানবিক। প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে অনুরোধ করছি আমাদের চলাচলের পথটি দ্রুত উন্মুক্ত করা হোক। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি ও কোনো সমাধান না পেয়ে তিনি অবশেষে গতকাল বুধবার রাত ১০টায় নিজ বাসভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি পুলিশ প্রশাসন ও ডিমলা উপজেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারাও ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন,
এটি শুধু তাঁর নয়, এলাকার সবার ব্যবহৃত রাস্তা। দেয়াল তুলে বন্ধ করে দিলে পুরো এলাকার মানুষের চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক।
অভিযোগে জানা যায়,স্থানীয় বাসিন্দা দীপক কুমার রায় দীর্ঘদিন ব্যবহৃত ওই পথটি ইটের প্রাচীর ও দেয়াল তুলে বন্ধ করে দিয়েছেন। অধ্যাপক জহুরুল হক নতুন নির্মিত ভবনের প্রথম তলায় বসবাস শুরু করার পর থেকেই এ ভোগান্তির সূত্রপাত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
স্থানীয় সচেতন নাগরিকদের মতে, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে এলাকায় উত্তেজনা ও সামাজিক অস্থিরতার শঙ্কা তৈরি হতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক জহুরুল হক বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যা সমাধান চাই। জনগণের স্বার্থে এই রাস্তা অবিলম্বে উন্মুক্ত করার জন্য কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবিবপ্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিলে সংকটের সমাধান সম্ভব।


















