ঢাকা ০৭:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫

পঞ্চগড়ে ব্যাংক ম্যানেজারে কাছে তথ্য জানতে গেলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২৪ বার পড়া হয়েছে

0-0x0-0-0-{}-0-0#

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পঞ্চগড় জেলা শহরের অবস্থিত আনসার–ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক শাখার ম্যানেজার মহতাসিম বিল্লাহর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা জানতে গেলে উল্টো ক্ষিপ্ত হয় তার হয়রানি মূলক অসদাচরণে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। এদিকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিবেদক নিজেও পঞ্চগড় আনসার–ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার মো.মহতাসিম বিল্লাহর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার মতামত জানতে গেলে প্রতিবেদকের উপরো ক্ষিপ্ত হোন তিনি। আচরণগত দিক, অনিয়ম, অফিসে বেআইনিভাবে বসবাস এবং বহিরাগত দিয়ে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওয়েবসাইড পাসওয়ার্ড ব্যাবহারের করানো, ঋণ প্রদানে গরিমসী করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে । জেলার কর্মরত কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তার কাছে এসব তথ্য চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন বলেও জাানাগেছে। স্বসরীরে ব্যাংক শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ম্যানেজারের ব্যাক্তিগত ও অফিসের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম পরিচালনা করছেন বহিরাগত বিকাশ রায় নামের এক ব্যক্তি, যিনি ব্যাংকের নিয়োগকৃত কর্মচারী নন । বহিরাগত ব্যক্তি দিয়ে ব্যাংকের আমানত, নিরাপত্তা ও নথিপত্র ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক আনসার কর্মী বলেন, আমার একটি লোনের জন্য এই ম্যানেজারের কাছে বারবার ঘুরেছি লোন দিচ্ছে না, অথচ আমার পরে যারা লোনের আবেদন করেছে তারাও লোন পেয়েছে । স্থানীয় লোকায়ন পত্রিকার পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি বদরুদ্দোজা প্রধান বাঁধন বলেন, গত ১৬ নভেম্বর কয়েকজন সহকর্মী সহ ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ঋণ প্রদানে গড়িমসি, স্বজনপ্রীতি, বহিরাগতদের দিয়ে ফাইল পরিচালনা করাসহ নানা ধরনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে তথ্য ফ্রম এর মাধ্যমের তথ্য চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন, তিনি বলেন তথ্য দিতে আমি বাধ্য নয়, হেড অফিস দিবে এখানে ধান্দা চলবেনা । এর কয়েকদিন আগেও তার কাছে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে সেদিনও তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং সাংবাদিকদের রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার দিলরুবা খানম বলেন,“গত আগস্টে যোগদানের পর থেকেই দেখছি ম্যানেজার বহিরাগত ব্যক্তির মাধ্যমে অফিসের গোপন বিষয় বহিরাগত ব্যক্তি দিয়ে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ করাচ্ছেন। ব্যাংকের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। অফিসিয়াল গোপনীয় তথ্য বহিরাগতদের জানা ঠিক নয়, অফিসের গোপনীয় বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে একাধিকবার নিষেধ করেছি, কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেননি। এই ব্যাংক শাখায় কাজ করা এখন আমার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে ম্যানেজার মহতাসিম বিল্লাহ বলেন “আমি নিজের পকেট থেকে বিকাশ রায়কে মাসে ছয় হাজার টাকা দিয়ে রেখেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” ঋণ বিতরণ নিয়ে কিছু নিয়ম মানতে হয়। আর অফিস রুমের ভাড়া এক হাজার টাকা বেশি দেয়ার কারনে আমি নিজে রুমের মধ্যে বসবাস করি
দিনাজপুর আঞ্চলিক শাখা ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন বলেন,“পঞ্চগড় শাখায় বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্যাংকের ভেতরে কোনো বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এতে ব্যাংকের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পঞ্চগড়ে ব্যাংক ম্যানেজারে কাছে তথ্য জানতে গেলেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন

আপডেট সময় :

পঞ্চগড় জেলা শহরের অবস্থিত আনসার–ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক শাখার ম্যানেজার মহতাসিম বিল্লাহর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে সত্যতা জানতে গেলে উল্টো ক্ষিপ্ত হয় তার হয়রানি মূলক অসদাচরণে পড়তে হয় সাংবাদিকদের। এদিকে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিবেদক নিজেও পঞ্চগড় আনসার–ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার মো.মহতাসিম বিল্লাহর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার মতামত জানতে গেলে প্রতিবেদকের উপরো ক্ষিপ্ত হোন তিনি। আচরণগত দিক, অনিয়ম, অফিসে বেআইনিভাবে বসবাস এবং বহিরাগত দিয়ে ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ওয়েবসাইড পাসওয়ার্ড ব্যাবহারের করানো, ঋণ প্রদানে গরিমসী করার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে । জেলার কর্মরত কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী তার কাছে এসব তথ্য চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন, একপর্যায়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন বলেও জাানাগেছে। স্বসরীরে ব্যাংক শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ম্যানেজারের ব্যাক্তিগত ও অফিসের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজকর্ম পরিচালনা করছেন বহিরাগত বিকাশ রায় নামের এক ব্যক্তি, যিনি ব্যাংকের নিয়োগকৃত কর্মচারী নন । বহিরাগত ব্যক্তি দিয়ে ব্যাংকের আমানত, নিরাপত্তা ও নথিপত্র ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নাম জানাতে অনিচ্ছুক এক আনসার কর্মী বলেন, আমার একটি লোনের জন্য এই ম্যানেজারের কাছে বারবার ঘুরেছি লোন দিচ্ছে না, অথচ আমার পরে যারা লোনের আবেদন করেছে তারাও লোন পেয়েছে । স্থানীয় লোকায়ন পত্রিকার পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধি বদরুদ্দোজা প্রধান বাঁধন বলেন, গত ১৬ নভেম্বর কয়েকজন সহকর্মী সহ ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে ঋণ প্রদানে গড়িমসি, স্বজনপ্রীতি, বহিরাগতদের দিয়ে ফাইল পরিচালনা করাসহ নানা ধরনের অভিযোগের বিষয়ে জানতে তথ্য ফ্রম এর মাধ্যমের তথ্য চাইতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন, তিনি বলেন তথ্য দিতে আমি বাধ্য নয়, হেড অফিস দিবে এখানে ধান্দা চলবেনা । এর কয়েকদিন আগেও তার কাছে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে গেলে সেদিনও তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন এবং সাংবাদিকদের রুম থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন।
এ বিষয়ে ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার দিলরুবা খানম বলেন,“গত আগস্টে যোগদানের পর থেকেই দেখছি ম্যানেজার বহিরাগত ব্যক্তির মাধ্যমে অফিসের গোপন বিষয় বহিরাগত ব্যক্তি দিয়ে কম্পিউটারের যাবতীয় কাজ করাচ্ছেন। ব্যাংকের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম ওই ব্যক্তির ওপর নির্ভরশীল হয়ে গেছে। অফিসিয়াল গোপনীয় তথ্য বহিরাগতদের জানা ঠিক নয়, অফিসের গোপনীয় বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় তাকে একাধিকবার নিষেধ করেছি, কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেননি। এই ব্যাংক শাখায় কাজ করা এখন আমার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
এ বিষয়ে ম্যানেজার মহতাসিম বিল্লাহ বলেন “আমি নিজের পকেট থেকে বিকাশ রায়কে মাসে ছয় হাজার টাকা দিয়ে রেখেছি। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” ঋণ বিতরণ নিয়ে কিছু নিয়ম মানতে হয়। আর অফিস রুমের ভাড়া এক হাজার টাকা বেশি দেয়ার কারনে আমি নিজে রুমের মধ্যে বসবাস করি
দিনাজপুর আঞ্চলিক শাখা ব্যবস্থাপক আলমগীর হোসেন বলেন,“পঞ্চগড় শাখায় বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পর্কে আমি অবগত ছিলাম না। আপনার মাধ্যমে জানলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্যাংকের ভেতরে কোনো বহিরাগত দিয়ে কাজ করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এতে ব্যাংকের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ে।”