ঢাকা ০৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৫

আবাসিক এলাকায় শুঁটকি উৎপাদন, অতিষ্ঠ কুয়াকাটাবাসী

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা নবীনপুর এখন শুটকির তীব্র গন্ধে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েকজন শুটকি ব্যবসায়ী এলাকায় একরে একরে জমি দখল করে খোলা আকাশের নিচে কাঁচা মাছ শুকানোর কাজ চালিয়ে আসছেন। এতে দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু, গর্ভবতী নারী ও বয়স্করা। দ্রুত আবাসিক এলাকা থেকে শুটকি কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনপুর এলাকার বিশাল জায়গাজুড়ে মাচায় কাঁচা মাছ বিছিয়ে শুঁটকি তৈরির কাজ চলছে। পাশেই ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ থাকায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, “দিন-রাত একই গন্ধ। ঘরেও থাকা যায় না। আমাদের ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এত বড় আবাসিক এলাকায় শুঁটকি শুকানোর মতো কাজ কীভাবে চলতে পারে বুঝি না। আমরা এটি দ্রুত বন্ধ চাই।
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (উপরা)-এর আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, আবাসিক এলাকায় শুঁটকি উৎপাদন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি জনস্বাস্থ্যের ওপরও হুমকি তৈরি করছে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অবিলম্বে এগুলো সমুদ্র উপকূল অথবা নির্ধারিত শিল্পাঞ্চলে সরিয়ে নিতে হবে।
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবাসিক এলাকায় শুঁটকি শুকানোর কোনো অনুমতি নেই। আমরা বিষয়টি যাচাই করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হামিদ বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। খুব শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আবাসিক এলাকায় শুঁটকি উৎপাদন, অতিষ্ঠ কুয়াকাটাবাসী

আপডেট সময় :

পটুয়াখালীর কলাপাড়ার কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ণ আবাসিক এলাকা নবীনপুর এখন শুটকির তীব্র গন্ধে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কয়েকজন শুটকি ব্যবসায়ী এলাকায় একরে একরে জমি দখল করে খোলা আকাশের নিচে কাঁচা মাছ শুকানোর কাজ চালিয়ে আসছেন। এতে দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন শিশু, গর্ভবতী নারী ও বয়স্করা। দ্রুত আবাসিক এলাকা থেকে শুটকি কার্যক্রম সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে স্থানীয়রা।
আজ সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নবীনপুর এলাকার বিশাল জায়গাজুড়ে মাচায় কাঁচা মাছ বিছিয়ে শুঁটকি তৈরির কাজ চলছে। পাশেই ঘরবাড়ি, স্কুল, মসজিদ থাকায় এলাকাবাসী চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আল-আমিন বলেন, “দিন-রাত একই গন্ধ। ঘরেও থাকা যায় না। আমাদের ছোট শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। এত বড় আবাসিক এলাকায় শুঁটকি শুকানোর মতো কাজ কীভাবে চলতে পারে বুঝি না। আমরা এটি দ্রুত বন্ধ চাই।
উপকূল পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন (উপরা)-এর আহ্বায়ক কেএম বাচ্চু বলেন, আবাসিক এলাকায় শুঁটকি উৎপাদন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এটি জনস্বাস্থ্যের ওপরও হুমকি তৈরি করছে। আমরা বারবার প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অবিলম্বে এগুলো সমুদ্র উপকূল অথবা নির্ধারিত শিল্পাঞ্চলে সরিয়ে নিতে হবে।
কুয়াকাটা পৌরসভার প্রশাসক ইয়াসীন সাদেক বলেন, বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আবাসিক এলাকায় শুঁটকি শুকানোর কোনো অনুমতি নেই। আমরা বিষয়টি যাচাই করে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাওসার হামিদ বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। খুব শিগগিরই অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতি হয় এমন কার্যক্রম কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।