ঢাকা ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

জবই বিলে পাখির প্রজাতি বাড়লেও সংখ্যা কমেছে আশঙ্কাজনক হারে

কামরুল হাসান জীবন, নওগাঁ
  • আপডেট সময় : ১২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে পাখির প্রজাতি বাড়লেও সামগ্রিক পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ‘জবই বিলের পাখি জরিপ-২০২৫’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় জরিপের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সোহানুর রহমান সবুজ।
প্রকাশিত জরিপ অনুযায়ী, এবারের শুমারিতে বিলে মোট ৪৪ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে। এর মধ্যে ২৬ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এবং ১৮ প্রজাতির দেশি পাখি রয়েছে। সব মিলিয়ে পাখির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫৮টিতে।
অথচ জরিপের তথ্য বলছে, আগের বছরে এই বিলে পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজার। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিলে পাখির প্রজাতি বা বৈচিত্র্য বাড়লেও মোট পাখির সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে।
জরিপ প্রতিবেদনে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে প্রধানত তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে: ১. পাখিদের জন্য যথাযথ আবাসস্থলের নিরাপত্তা বিধান না করা। ২. নিয়ম না মেনে অবাধে মৎস্য আহরণ। ৩. শামুক ও ঝিনুক নিধনের ফলে পাখিদের তীব্র খাদ্য সংকট।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর কবির। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোমানা রিয়াজ বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”
সংস্থার সভাপতি ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কারিমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অফিসার দেলোয়ার হোসেন, সংস্থার উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তছলিম উদ্দিন, বাবুল আকতার, উপদেষ্টা ও শিক্ষক মোশাররফ হোসেন এবং জাকারিয়া আলম প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে বিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং পাখিদের নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র নিশ্চিতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জবই বিলে পাখির প্রজাতি বাড়লেও সংখ্যা কমেছে আশঙ্কাজনক হারে

আপডেট সময় :

সাপাহার উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে পাখির প্রজাতি বাড়লেও সামগ্রিক পাখির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে।
গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত ‘জবই বিলের পাখি জরিপ-২০২৫’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
জবই বিল জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও সমাজ কল্যাণ সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই সভায় জরিপের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সোহানুর রহমান সবুজ।
প্রকাশিত জরিপ অনুযায়ী, এবারের শুমারিতে বিলে মোট ৪৪ প্রজাতির পাখির দেখা মিলেছে। এর মধ্যে ২৬ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এবং ১৮ প্রজাতির দেশি পাখি রয়েছে। সব মিলিয়ে পাখির মোট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২৫৮টিতে।
অথচ জরিপের তথ্য বলছে, আগের বছরে এই বিলে পাখির সংখ্যা ছিল প্রায় ১১ হাজার। পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিলে পাখির প্রজাতি বা বৈচিত্র্য বাড়লেও মোট পাখির সংখ্যা ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে।
জরিপ প্রতিবেদনে পাখির সংখ্যা কমার পেছনে প্রধানত তিনটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে: ১. পাখিদের জন্য যথাযথ আবাসস্থলের নিরাপত্তা বিধান না করা। ২. নিয়ম না মেনে অবাধে মৎস্য আহরণ। ৩. শামুক ও ঝিনুক নিধনের ফলে পাখিদের তীব্র খাদ্য সংকট।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. জাহাঙ্গীর কবির। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোমানা রিয়াজ বিলের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।”
সংস্থার সভাপতি ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কারিমের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজসেবা অফিসার দেলোয়ার হোসেন, সংস্থার উপদেষ্টা ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তছলিম উদ্দিন, বাবুল আকতার, উপদেষ্টা ও শিক্ষক মোশাররফ হোসেন এবং জাকারিয়া আলম প্রমুখ।
বক্তারা অবিলম্বে বিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং পাখিদের নিরাপদ বিচরণক্ষেত্র নিশ্চিতে প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।