ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে ইউপি সদস্য গ্রেফতার
- আপডেট সময় : ১৪ বার পড়া হয়েছে
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাইফুল ইসলাম আকন্দ (৪৫) নামে এই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) দেবাশীষ কর্মকার জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী এলাকার এক কিশোরীর সাথে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের নিজগাঁও গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে রুমন মিয়া (২১) এর সাথে টিকটকের মাধ্যেমে পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রে গত ২ নভেম্বর কিশোরগঞ্জ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে এফিডেবিট মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিয়ের কিছু দিন পর রুমন কিশোরীকে স্ত্রীর পরিচয়ে বাড়ি নিয়ে আসে। বাড়িতে তিনদিন থাকার পর পরিবারের লোকজন স্থানীয় ইউপি সদস্যকে ডেকে এনে কিশোরীকে পুলিশ হেফাজতে পাঠায়। বিয়ের কাগজপত্র সঙ্গে না থাকায় থানায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে পুলিশ কিশোরীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। এসময় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম তরুণীকে আস্বস্ত করে যে বিয়ের কাগজপত্র দেখাতে পারলে বিষয়টি সমাধান করে দিবেন। সেই আশ্বাসের ভিত্তিতে কিশোরী গত সোমবার বিকেলে তার খালাতো বোন মাহিনা আক্তার (২০) সাথে নিয়ে নিজগাঁও রুমনের বাড়িতে কাগজপত্র নিয়ে এসে স্ত্রীর অধিকার দাবী করে। রুমনের পরিবারের লোকজন মেম্বারকে খবর দিলে মেম্বার রুমনের বাড়ি এসে ওই কিশোরীকে বাড়িতে থেকে চলে যাওয়ার জন্য ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বাড়ি না ছাড়লে বখাটে দিয়ে হেনস্তা করার হুমকি দেয়। কিশোরী বাড়ি না ছাড়ায় ওই দিন রাত ১০ টার দিকে ইউপি সদস্য তার লোকজন নিয়ে কিশোরীকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে কিশোরীকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে ধান খেতে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। কিশোরীর খালাতো বোন মাহিনা আক্তার জানান, আমার ছোট বোনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসময় আমাদের সাথে থাকা দুটি মোবাইল নগদ কিছু টাকা কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। পরে সকালে আমার ছোট বোনকে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় নিয়ে আসি। ঘটনার বিবরণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ঈশ্বরগঞ্জ থানার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং সাইফুল ইসলামকে মাইজবাগ এলাকা থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। এব্যাপারে কিশোরীর খালাতো বোন বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত ৮টায় মেম্বারসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৪/৫জনকে আসামী করে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঈশ্বরগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল আজম জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। মামলা সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
















