ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo `জুলাই চেতনায় ঐক্যবদ্ধ সাংবাদিক সমাজের অঙ্গীকার’ Logo ডামুড্যায় গরীব ও অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ Logo বিশ্বনাথে আলোকিত সুর সাংস্কৃতিক ফোরাম অভিষেক ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা Logo বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের এমডিসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহে মামলা Logo সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবীতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন Logo ঝিনাইদহে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo ভালো সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে অরবিন্দ শিশু হাসপাতাল ভূমিকা রাখছে Logo বন্ধু একাদশ হাকিমপুরকে হারিয়ে মুন্সিপাড়া ওয়ারিয়ার্স দিনাজপুর চ্যাম্পিয়ান Logo জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা স্বামীর Logo ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা

কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৬৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দুদিনের সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। বিমানবন্দরে কাতারের আমিরকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা ছাড়েন তিনি।

এসময় প্রায় পৌনে ৪ লাখ লাখ বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, এই জনবল কাতার এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়তই অবদান রাখছে।

কাতারের আমিরকে আরও তরুণ, দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনশক্তি, আইটি বিশেষজ্ঞ, পেশাদার প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দেয়ার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সহায়তা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয় পক্ষকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

এসময় কাতারের আমির বলেন, কাতার এবং বাংলাদেশের সই করা বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারের আমির। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়। একই সঙ্গে কাতারের আমিরের নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশীর বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান কাতারের আমির ও তার সঙ্গীরা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন। প্রায় ২০ বছর পর বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশ সফর করলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

আপডেট সময় :

দুদিনের সফর শেষে দেশের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকা ত্যাগ করেন তিনি। বিমানবন্দরে কাতারের আমিরকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঢাকা ছাড়েন তিনি।

এসময় প্রায় পৌনে ৪ লাখ লাখ বাংলাদেশিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ দিতে কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, এই জনবল কাতার এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়তই অবদান রাখছে।

কাতারের আমিরকে আরও তরুণ, দক্ষ ও আধা-দক্ষ জনশক্তি, আইটি বিশেষজ্ঞ, পেশাদার প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের আহ্বান জানান মো. সাহাবুদ্দিন।

বাংলাদেশকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) দেয়ার জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সহায়তা চেয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, বাণিজ্য ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে উভয় পক্ষকে আরও বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।

এসময় কাতারের আমির বলেন, কাতার এবং বাংলাদেশের সই করা বিভিন্ন চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে আরও কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

এর আগে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন কাতারের আমির। এ সময় দুই দেশের মধ্যে ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা সই হয়। একই সঙ্গে কাতারের আমিরের নামে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন মিরপুরের কালশীর বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ করা হয়।

এর আগে সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে একটি বিশেষ ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান কাতারের আমির ও তার সঙ্গীরা। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন। প্রায় ২০ বছর পর বর্তমান আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশ সফর করলেন।