ঢাকা ০৪:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সীগঞ্জে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা Logo গাইবান্ধা-৫ আসন থেকে এনসিপির মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদ মোত্তাকিম Logo গোমস্তাপুরের ভুক্তভোগীর সংবাদ সম্মেলন Logo নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে বিশ্বনাথে ‘সমতায় তারুণ্য’ প্রকল্পের উদ্বোধন Logo পলাশবাড়ীতে সুবিধাভোগীদের মাঝে ভিডাব্লিউবির চাল বিতরণ Logo সুন্দরবনে অস্ত্র ও গুলিসহ বনদস্যু দুলাভাই বাহিনীর সহযোগী আটক Logo মধ্যরাতে কোস্ট গার্ডের অভিযান, তিন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার Logo নকলা কৃষি অফিসারের উপর হামলার প্রতিবাদে শ্রীবরদীতে কলম বিরতি Logo শ্রীবরদীতে আদিবাসীর অর্ধশতাধিক সুপারি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ Logo ফেনী-২ আসনের বিএনপির যৌথ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

অস্থির ডিমের বাজার, পেঁয়াজের সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরিতে পেঁয়াজ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৪০৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে ডিম, পেঁয়াজ, চাল, তেল, লবন সবখানেই সিন্ডিকেট। এই অদৃশ্য সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ।

নিত্যপণ্যেও উচ্চমূল্যে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের দেখার যেন কেউ নেই। আর বাজার নিয়ন্ত্রণ? এতো কথাবার্তা মাত্র। সাধারণ ক্রেতা এখন শাখের করাতের নিচে।

বাজারে ডিমের ডজন ১৫০ ঘরে অনেক দিন থেকেই। ভোক্তার হাজারো
হা-হুতাস কোন কাজে আসেনি। এখন বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা। ২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ। ৬০ টাকার নিচে কোন কাঁচা তরকারি মিলছে না।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে কথা নেই। নিত্যবাজারও কাঁপিয়ে যাচ্ছে পণ্যমূল্য। সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফিতি বোঝে না, তারা বোঝে সারাদিন কাজ শেষে যখন তারা বাজাওে যান, তখন তাদেও মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

মজুরী যা মেলে, তার সঙ্গে আয়ের ব্যবধান বেড়ে চলেছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনে সংসার সামলাতে হচ্ছে। এমন মানুষের সংখ্যা বৃহৎ।

পাইকারিতে ডিমের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। খুচরা পর্যায়ে ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। পাড়া-মহল্লায় আবার ১৬৫ টাকা ডজন। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা।

সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে সাতদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা।

কাঁচামরিচের কেজি ঠেকেছে ১৬০-২০০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৭০-৮০, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি। স্বস্তি নেই আদা-রসুনের দামেও। আলুর কেজি ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি ১৬০-১৮০ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অস্থির ডিমের বাজার, পেঁয়াজের সেঞ্চুরি, ডাবল সেঞ্চুরিতে পেঁয়াজ

আপডেট সময় :

 

বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে ডিম, পেঁয়াজ, চাল, তেল, লবন সবখানেই সিন্ডিকেট। এই অদৃশ্য সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি সাধারণ মানুষ।

নিত্যপণ্যেও উচ্চমূল্যে পিষ্ট হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তাদের দেখার যেন কেউ নেই। আর বাজার নিয়ন্ত্রণ? এতো কথাবার্তা মাত্র। সাধারণ ক্রেতা এখন শাখের করাতের নিচে।

বাজারে ডিমের ডজন ১৫০ ঘরে অনেক দিন থেকেই। ভোক্তার হাজারো
হা-হুতাস কোন কাজে আসেনি। এখন বাজারে পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকা। ২০০ টাকা কেজি কাঁচা মরিচ। ৬০ টাকার নিচে কোন কাঁচা তরকারি মিলছে না।

সাপ্তাহিক ছুটির দিন বলে কথা নেই। নিত্যবাজারও কাঁপিয়ে যাচ্ছে পণ্যমূল্য। সাধারণ মানুষ মূল্যস্ফিতি বোঝে না, তারা বোঝে সারাদিন কাজ শেষে যখন তারা বাজাওে যান, তখন তাদেও মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে।

মজুরী যা মেলে, তার সঙ্গে আয়ের ব্যবধান বেড়ে চলেছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় কম পণ্য কিনে সংসার সামলাতে হচ্ছে। এমন মানুষের সংখ্যা বৃহৎ।

পাইকারিতে ডিমের প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ১১ টাকা ৫০ পয়সা। খুচরা পর্যায়ে ডিমের ডজন ১৫০ টাকা। পাড়া-মহল্লায় আবার ১৬৫ টাকা ডজন। সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-২০০ টাকা।

সরবরাহ কম হওয়ার অজুহাতে সাতদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে কেজিতে অন্তত ১৫ টাকা।

কাঁচামরিচের কেজি ঠেকেছে ১৬০-২০০ টাকায়। পেঁপের কেজি ৭০-৮০, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। পটল, ঢ্যাঁড়সের কেজি ৬০ টাকা। তবে কচুর লতি, বরবটি, কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে আরও ২০ টাকা বেশি দরে, অর্থাৎ ৮০ টাকার আশপাশে প্রতি কেজি।

গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। যা এক সপ্তাহ ব্যবধানে ৫-১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৯৫-১০০ টাকা কেজি। স্বস্তি নেই আদা-রসুনের দামেও। আলুর কেজি ৬০-৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আদার কেজি ১৬০-১৮০ টাকা।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, দেশি পেঁয়াজের মৌসুম যত শেষের দিকে যাচ্ছে, দাম তত বাড়ছে। আগামীতে এ দাম কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা বলা যাচ্ছে না।