ঢাকা ০১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজীবন সম্মাননা পেলেন বিশ্বনন্দিত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা শ্রেষ্ঠ নায়ক সজল শ্রেষ্ঠ নায়িকা পরীমণি Logo শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে ঢাকা! Logo গুজব ও শঙ্কায় সারাদেশ Logo গোলাম মাওলা সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি: জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন Logo শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রসাশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ‘আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের নেতৃত্ব দেবে রাজপথে থাকা তরুণেরা’ Logo ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, দুই ঘন্টা চলাচল বন্ধ Logo সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ট্রাকের চাবি পেলেন তিমন চৌধুরী Logo ইসলামপুরে জাংক ফুড বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত Logo গোলাপগঞ্জে অপরাধ দমনে সক্রিয় পুলিশ, এক মাসে ১৫ মামলা নিস্পত্তি

৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়: একদিনের বৃষ্টিতেই মহাসড়কে ধ্বস

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

একদিনের বৃষ্টিতেই ৬৫০ কোটি টাকার সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভেঙে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোকে ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান কয়েক জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো মেরামত করে দিতে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজ এখনো চলমান। কাজ শেষে অভিযোগ এলে, আসতে পারে-এখন নয়।

ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারের লোকজন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করাসহ নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। দুই দিনের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধসে গেছে সড়কের ২৫ থেকে ৩০টি স্থান। ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে গেছে।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সাইফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক, মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক, কুষ্টিয়া মেডিকেলসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

একদিনের বৃষ্টিতে রাস্তার দুই পাশের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সামিউল বাসার বলেন, রাস্তার দুই সাইড ভেঙে গেছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে।

সবচেয়ে ভালো হতো রাস্তার দুই সাইডে ঢালাই দিয়ে মাটি দিয়ে কাজ করলে মজবুত হতো। এখন বর্ষাকাল। এ বর্ষায় পিচ না করে বর্ষার পরে করলে ঠিক হতো। এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিম্নমানের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

৬৫০ কোটি টাকা ব্যয়: একদিনের বৃষ্টিতেই মহাসড়কে ধ্বস

আপডেট সময় :

 

একদিনের বৃষ্টিতেই ৬৫০ কোটি টাকার সড়কে ধস দেখা দিয়েছে। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি ভেঙে যাচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোকে ঠিক করতে নির্দেশ দিয়েছে সড়ক বিভাগ।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকদিন আগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও ঊর্ধŸতন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান কয়েক জায়গায় ফাটল ও গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলো মেরামত করে দিতে ঠিকাদারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কাজ এখনো চলমান। কাজ শেষে অভিযোগ এলে, আসতে পারে-এখন নয়।

ঠিকাদার জহিরুল ইসলাম ও ঠিকাদারের লোকজন এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কটি চার লেনে প্রশস্ত করাসহ নতুনভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে। এ জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৬৪৩ কোটি টাকা। দুই দিনের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে ধসে গেছে সড়কের ২৫ থেকে ৩০টি স্থান। ফাটল দেখা দিয়েছে বেশ কয়েকটি স্থানে। অনেক স্থানে কার্পেটিং ওঠে গেছে।

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় এমনটা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। সাইফুল আলম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কই নয়, মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক, মুজিবনগর-দর্শনা সড়ক, কুষ্টিয়া মেডিকেলসহ বিভিন্ন কাজের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

একদিনের বৃষ্টিতে রাস্তার দুই পাশের অনেক জায়গা ভেঙে গেছে। জায়গায় জায়গায় ফাটল ধরেছে। স্থানীয় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার সামিউল বাসার বলেন, রাস্তার দুই সাইড ভেঙে গেছে। রাস্তার কাজ নিম্নমানের হচ্ছে।

সবচেয়ে ভালো হতো রাস্তার দুই সাইডে ঢালাই দিয়ে মাটি দিয়ে কাজ করলে মজবুত হতো। এখন বর্ষাকাল। এ বর্ষায় পিচ না করে বর্ষার পরে করলে ঠিক হতো। এখানে যে ইট ব্যবহার করা হয়েছে তাও নিম্নমানের।