চিনি চোরাচালানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের নাম!

- আপডেট সময় : ০১:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
সিলেটের বিভিন্ন সীমান্তপথে ভারত থেকে চিনি চোরাচালান অনেকটা ওপেন সিক্রেট। প্রতিদিনই সীমান্তের বিভিন্ন চোরাই পথ দিয়ে একাধিক চক্র লাখ লাখ টাকার ভারতীয় চিনি পাচার করে নিয়ে আসছে।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় চিনির চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেটের বিয়ানিবাজারে ছাত্রলীগের দুটি কমিটি বাতিল, নেতাদের গ্রেপ্তার এবং যুবলীগের নাম আসার প্রেক্ষাপটে ‘বিব্রতকর অবস্থায়’ পড়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন খান বলেন, যে অপরাধ করবে সে অপরাধী। কোনো সংগঠনের কাজ নয় চিনির ব্যবসা করা।
কিশোরগঞ্জ জেলাতেও চিনি চোরাচালানের অভিযোগে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় আসামি হয়েছেন আরও অন্তত দুজন। সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়টি তদন্তে একটি কমিটি করেছে।
সিলেটের ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই স্থানীয়রা বলছেন, সবকিছু ম্যানেজ করেই শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চিনি আসছে চোরাপথে।
সীমান্ত উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট, জকিগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার দিয়ে সড়কপথে চিনি ঢুকছে সিলেট নগরীতে। দিন দিন এর পরিমাণ বাড়ছে বলে স্থানীয়দের ভাষ্য।
সিলেট জেলা, সিলেট মহানগর ও ডিবি পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর চিনি চোরাচালানের ৬১টি মামলায় ১৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে ৮৪টি যানবাহন।
চোরাচালান বন্ধের দাবি জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ চিনি আমদানিকারক অ্যাসোসিয়েশন।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, চিনি বা যে কোনো অপকর্মের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে। ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী যদি কোনো অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকেন তাহলে সংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ছাত্রলীগ যে কোনো অপরাধের বিষয়ে কোনো ছাড় দেয় না।
জড়িতদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে সিলেট মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার বলেন, মহানগর যুবলীগের যেসব নেতাকর্মীদের নাম এসেছে, তাদের বিষয়ে যাছাই-বাছাই করা হচ্ছে। জড়িত থাকার প্রমাণ মিললে দলের গঠনতন্ত্র অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।