ঢাকা ০২:০৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিদেশী ও দেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের বৈঠক Logo মুন্সিগঞ্জে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদে প্রশাসনের অ্যাকশন Logo এসএসসি ও সমমান পরিক্ষা শুরু মুন্সিগঞ্জে অংশনিচ্ছে মোট ১৬হাজার ২শ ৩০পরিক্ষার্থী Logo রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার  Logo এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ময়মনসিংহে কমেছে পরীক্ষার্থীর হার Logo দিনাজপুরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪ ২৪১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহাল ও সরকারি চাকুরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে বাংলা ব্লকড এর অংশ হিসাবে টানা পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের( জাবি) শিক্ষার্থীরা। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একযোগে মহাসড়কগুলো অচল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গান-কবিতায় বিদ্যমান কোটাপ্রথায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল ৩ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচী শুরু করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, একই সাথে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেব সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে। চার দফা দাবিতে টানা আন্দোলনের পর বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির পর সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে সকল প্রকার কোটা বাতিল করে আইন পাশের এক দফা দাবিতে মাঠে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, আমাদের এ আন্দোলনে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা সমর্থন জানিয়েছেন। বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। আজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমাদের এ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা প্রথা হচ্ছে মূলত পিছিয়ে পড়া বা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য। যেখানে ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সেখানে মাত্র ১ শতাংশ। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০৬:৫০:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০২৪

 

২০১৮ সালের পরিপত্র পূনর্বহাল ও সরকারি চাকুরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে বাংলা ব্লকড এর অংশ হিসাবে টানা পঞ্চম দিনের মতো ঢাকা- আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের( জাবি) শিক্ষার্থীরা। সারা দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একযোগে মহাসড়কগুলো অচল করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে গান-কবিতায় বিদ্যমান কোটাপ্রথায় বৈষম্যের বিরুদ্ধে তুমুল প্রতিবাদ জানায় শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল ৩ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ কর্মসূচী শুরু করেন তারা।

আন্দোলনকারীরা জানান, একই সাথে নিয়মিত কর্মসূচির অংশ হিসেব সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি চলবে। চার দফা দাবিতে টানা আন্দোলনের পর বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির পর সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে সকল প্রকার কোটা বাতিল করে আইন পাশের এক দফা দাবিতে মাঠে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা।

অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের যানবাহন থেকে নেমে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদুল ইসলাম ইমন বলেন, আমাদের এ আন্দোলনে সর্বস্তরের শিক্ষার্থীরা সমর্থন জানিয়েছেন। বৈষম্যমূলক এ কোটা প্রথার অবসান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। আজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত আমাদের এ অবরোধ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

শিক্ষার্থীরা জানান, কোটা প্রথা হচ্ছে মূলত পিছিয়ে পড়া বা অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য। যেখানে ৫৬ শতাংশ কোটার মধ্যে মুক্তিযুদ্ধা প্রজন্মের জন্য ৩০ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য সেখানে মাত্র ১ শতাংশ। আমাদের ন্যায্য দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলন চালিয়ে যাবো।