ঢাকা ১২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

নিখোঁজের দুদিন পর শরীয়তপুর হাসপাদতালের বাথরুম থেকে রোগীর মরদেহ উদ্ধার

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৪১৭ বার পড়া হয়েছে

স্বজনের আহাজারি

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিখোঁজের দুই দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের বাথরুমে থেকে বাবুল বেপারী (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তির পর গত দুদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বাবুল বেপারী। এ তথ্য জানান স্বজন ও পাশের শয্যায় থাকা অন্য রোগীরা।

শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বাবুল বেপারী বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার পূর্ব তয়কা এলাকার আলী বেপারীর ছেলে।

রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাবুল বেপারী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম। মধ্যরাতে মা রোকেয়া বেগম ঘুমিয়ে পড়লে ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে আর শয্যায় দেখতে পাননি।

ছেলেকে হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেন এবং একপর্যায়ে বিষয়টি নার্সদের জানান। তার কোনো খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি চলে যান রোকেয়া বেগম। এরপর বিকেলে ফের হাসপাতালে এসে ছেলের খোঁজ করেন।

আজ শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে অন্য রোগীরা শৌচাগারে গেলে বাবুল বেপারীকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বাবুল বেপারীর ভাতিজি হেনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচ্চু গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বাথরুমে গিয়ে যদি মারাও যান, তাহলে দুইদিন বাথরুম পরিষ্কার করা হয়নি। বাথরুম পরিষ্কার করলে ঠিকই আমার চাচ্চুকে আগে খুঁজে পাওয়া যেতো।

তারা চাচ্চুকে না খুঁজে উল্টো রোগীকে পাওয়া যায়নি বলে আমার দাদীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।

পাশের শয্যায় থাকা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, রোগী অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে তিনি নিখোঁজ থাকলে আমরাও চারপাশে খোঁজাখুঁজি করি। বাথরুমটি ভেতর থেকে চাপা থাকায় কেউ খোঁজ করেনি। শনিবার সকালে বাথরুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিখোঁজের দুদিন পর শরীয়তপুর হাসপাদতালের বাথরুম থেকে রোগীর মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় :

 

নিখোঁজের দুই দিন পর শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের বাথরুমে থেকে বাবুল বেপারী (৪০) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাসপাতালে ভর্তির পর গত দুদিন ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বাবুল বেপারী। এ তথ্য জানান স্বজন ও পাশের শয্যায় থাকা অন্য রোগীরা।

শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে সদর হাসপাতালের তৃতীয় তলার মেডিসিন ওয়ার্ডের শৌচাগার থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বাবুল বেপারী বরিশাল জেলার মুলাদী উপজেলার পূর্ব তয়কা এলাকার আলী বেপারীর ছেলে।

রোগীর স্বজন ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হন বাবুল বেপারী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বৃদ্ধা মা রোকেয়া বেগম। মধ্যরাতে মা রোকেয়া বেগম ঘুমিয়ে পড়লে ঘুম থেকে উঠে ছেলেকে আর শয্যায় দেখতে পাননি।

ছেলেকে হাসপাতালে খোঁজাখুঁজি করেন এবং একপর্যায়ে বিষয়টি নার্সদের জানান। তার কোনো খোঁজ না পেয়ে শুক্রবার সকালে গ্রামের বাড়ি চলে যান রোকেয়া বেগম। এরপর বিকেলে ফের হাসপাতালে এসে ছেলের খোঁজ করেন।

আজ শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে অন্য রোগীরা শৌচাগারে গেলে বাবুল বেপারীকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানায়। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।

বাবুল বেপারীর ভাতিজি হেনা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমার চাচ্চু গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তিনি বাথরুমে গিয়ে যদি মারাও যান, তাহলে দুইদিন বাথরুম পরিষ্কার করা হয়নি। বাথরুম পরিষ্কার করলে ঠিকই আমার চাচ্চুকে আগে খুঁজে পাওয়া যেতো।

তারা চাচ্চুকে না খুঁজে উল্টো রোগীকে পাওয়া যায়নি বলে আমার দাদীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।

পাশের শয্যায় থাকা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ নামের এক রোগী বলেন, রোগী অসুস্থ অবস্থায় ভর্তি ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে তিনি নিখোঁজ থাকলে আমরাও চারপাশে খোঁজাখুঁজি করি। বাথরুমটি ভেতর থেকে চাপা থাকায় কেউ খোঁজ করেনি। শনিবার সকালে বাথরুম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নড়িয়া সার্কেল) আহসান হাবীব বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।