ঢাকা ১০:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা Logo ‘দুর্গা পূজায় সৌজন্যে ইলিশ ভারতে পাঠানোর অনুমোদন’ Logo চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে ভারতীয় নাগরিক রামদেবকে স্বাদেশে প্রত্যাবাসন Logo নিউট্রিশন ইন সিটি ইকোসিস্টেমস প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের চুক্তি স্বাক্ষর Logo বিহারীবস্তিতে দুস্কৃতিকারীর হামলায় শালিসি ব্যক্তিত্ব পূর্ব আহত Logo শিবগঞ্জের দ্বিতীয় দফায় ভাঙ্গনের কবলে পদ্মা পাড়ের মানুষ, ফেলা হচ্ছে জিও ব্যাগ Logo কক্সবাজারে ইউনিয়ন হাসপাতালের সাথে ভোরের পাখি সংগঠনের স্বাস্থ্য সেবা চুক্তি Logo জকসু ও সম্পূরক বৃত্তিসহ জবি শাখা বাগছাসের ৫ দাবি Logo ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশিদ গার্লস কলেজের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন Logo জাতীয়তাবাদী তাঁতীদল সিলেট জেলা শাখার প্রচার মিছিল সম্পন্ন

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৪১১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পেতংতার্ন। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে।

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বেছে নিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হয় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।

তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর আগে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক।

মাত্র দুদিন আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করে ফেউ থাই পার্টি।

স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।

তবে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরায় গতিশীল করা এবং সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়াতে তাকে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। তার দলের নেতৃত্বে থাকা পূর্ববর্তী চারটি প্রশাসনকেই ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে পেতংতার্ন বলেন, আমি সত্যিই এ বিষয়ে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চাই যে, আমরা সুযোগ তৈরি করতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে ও সব থাই নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে পারি।

আমি সবসময় মনে করি আমার দৃঢ় ইচ্ছা আছে এবং আমার একটি ভাল টিম আছে… আমার দল শক্তিশালী, অভিজ্ঞ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আমরা একই ধারণা শেয়ার করি। এটি এমন একটি জিনিস যা আমার কাছে খুবই মূল্যবান।

শুক্রবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। স্রেথা থাভিসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তিনি স্রেথাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দ্বিধান্বিত এবং খুবই দুঃখ পেয়েছেন।

তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তার দল এবং দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তার বাবা তাকসিন তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন

আপডেট সময় :

 

থাইল্যান্ডের সবচেয়ে কনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন পেতংতার্ন। তিনি দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে।

থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রাকে বেছে নিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট। স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত এক ভোটাভুটিতে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে রায় দেওয়া হয় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা।

তিনিই হতে যাচ্ছেন দেশটির সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী। ৩৭ বছর বয়সী পেতংতার্ন দেশটির দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতা গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এর আগে দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন পেতংতার্নের ফুফু ইংলাক।

মাত্র দুদিন আগেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করে দেশটির একটি সাংবিধানিক আদালত। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে পেতংতার্নের নাম ঘোষণা করে ফেউ থাই পার্টি।

স্রেথা এবং পেতংতার্ন দুজনই ফেউ থাই পার্টির নেতা। ২০২৩ সালের নির্বাচনে ফেউ থাই পার্টি দ্বিতীয় হয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জোট সরকার গড়ে তোলে।

তবে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নকে বেশ চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরায় গতিশীল করা এবং সামরিক অভ্যুত্থান এবং আদালতের হস্তক্ষেপ এড়াতে তাকে সব সময়ই সতর্ক থাকতে হবে। তার দলের নেতৃত্বে থাকা পূর্ববর্তী চারটি প্রশাসনকেই ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে।

পার্লামেন্টে ভোটাভুটির পর সাংবাদিকদের উদ্দেশে পেতংতার্ন বলেন, আমি সত্যিই এ বিষয়ে মানুষকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে চাই যে, আমরা সুযোগ তৈরি করতে এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন করতে ও সব থাই নাগরিকের অধিকার সমুন্নত রাখতে পারি।

আমি সবসময় মনে করি আমার দৃঢ় ইচ্ছা আছে এবং আমার একটি ভাল টিম আছে… আমার দল শক্তিশালী, অভিজ্ঞ, দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং আমরা একই ধারণা শেয়ার করি। এটি এমন একটি জিনিস যা আমার কাছে খুবই মূল্যবান।

শুক্রবার পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটাভুটিতে পেতংতার্নের পক্ষে ৩১৯টি ভোট পড়েছে। আর বিপক্ষে ভোট পড়েছে ১৪৫টি। স্রেথা থাভিসিনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত এক আইনজীবীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরপরেই বুধবার তাকে বরখাস্ত করা হয়। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তিনি স্রেথাকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় দ্বিধান্বিত এবং খুবই দুঃখ পেয়েছেন।

তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তার দল এবং দেশের জন্য কিছু করার সময় এসেছে। পেতংতার্ন জানিয়েছেন, তার বাবা তাকসিন তাকে এ বিষয়ে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যেতে।