ঢাকা ০৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বাদ দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা তালিকা কলঙ্কমুক্ত করার আহ্বান Logo আশুলিয়ায় স্বামী-স্ত্রী ও সন্তানের মধ্যে পালটা-পালটি অভিযোগ Logo রাজবাড়ীতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র-গোলাবারুদসহ  ৫ ডাকাত  সদস্য গ্রেফতার Logo কেশবপুরে মাছের ঘেরে ভূগর্ভ থেকে পানি উত্তোলন Logo টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি Logo ফরিদপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে সুফলভোগী খামারিদের মাঝে ছাগল , মুরগি সহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ  Logo নালিতাবাড়ীতে র‍্যাবের অভিযানে মদ সহ নাছিরকে গ্রেফতার Logo ফুলপুরে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ২ নেতাকে গণধোলাই দিল ছাত্রজনতা Logo গোমস্তাপুর উপজেলায় কুরবানির চাহিদার তুলনায় গবাদি পশুর সংখ্যা বেশি Logo চাঁদপুরে কোস্টগার্ডের অভিযানে ৮ কেজি গাঁজা জব্দ 

ইতিহাস বিকৃতি করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৪৮১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেচেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত। তাদের কিছুই ভালো লাগে না ‘রোগে’ আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দেশের কিছু আঁতেল এক সময় বলেছে, শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ, যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। অথচ তারা নানান উপায়ে বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে চলে যায় আমাদের পতাকা। ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে। খুনিদের পুনর্বাসন করে নানান জায়গায় পদায়ন করেছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছে আমাদের দেশের পতাকা।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত। তাদের কিছুই ভালো লাগে না রোগ। এক সময় আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ফলে একজন লিখলেন, আমি এগুলো মিথ্যা বলেছি। পরে এম আর আক্তার মুকুল সাহেবকে দিয়ে জবাবটা লেখালাম। সে সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী তখন তাকে দিলাম। বললাম, আপনিই লেখেন। আমরা তো চুনোপুঁটি। আমরা লিখলে হবে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে যে চেতনা, তার থেকেই আমাদের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আসে। জাতির পিতা এটি তার আত্মজীবনীতেও লিখেছেন, ৫২ থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন একাত্তরের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইতিহাস বিকৃতি করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:১২:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

 

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেচেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত। তাদের কিছুই ভালো লাগে না ‘রোগে’ আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আমাদের দেশের কিছু আঁতেল এক সময় বলেছে, শেখ মুজিব ভালো প্রশাসক ছিলেন না। অথচ, যে সেক্টরে হাত দিয়েছি, দেখেছি মূল কাজটা বঙ্গবন্ধু করে দিয়ে গেছেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার কাজ করেছেন। স্বল্পোন্নত দেশ করে দিয়ে গেছেন। তার দেখানো পথেই আমরা এগিয়েছি।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, তাদের কাছ থেকে গণতন্ত্রের সবক শুনতে হয়। অথচ তারা নানান উপায়ে বঙ্গবন্ধুকে মানুষের মন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে চলে যায় আমাদের পতাকা। ইনডেমনিটি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করেছে। খুনিদের পুনর্বাসন করে নানান জায়গায় পদায়ন করেছে। স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে তুলে দিয়েছে আমাদের দেশের পতাকা।

শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাস বিকৃত করা ও বাংলাদেশের মানুষকে হেয় করা এক শ্রেণির মানুষের মজ্জাগত। তাদের কিছুই ভালো লাগে না রোগ। এক সময় আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষা আন্দোলন নিয়ে বক্তব্য দেওয়ার ফলে একজন লিখলেন, আমি এগুলো মিথ্যা বলেছি। পরে এম আর আক্তার মুকুল সাহেবকে দিয়ে জবাবটা লেখালাম। সে সময়ে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দা রিপোর্ট, বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী তখন তাকে দিলাম। বললাম, আপনিই লেখেন। আমরা তো চুনোপুঁটি। আমরা লিখলে হবে না।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গবন্ধু তার সংগ্রাম চালিয়ে গেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে যে চেতনা, তার থেকেই আমাদের স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আসে। জাতির পিতা এটি তার আত্মজীবনীতেও লিখেছেন, ৫২ থেকে শুরু হওয়া আন্দোলন একাত্তরের স্বাধীনতার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।