ঢাকা ০১:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাকসুতে ৪০ ঘণ্টার নাটকীয়তা Logo কাশিয়ানীতে যুবকের মরদেহ উদ্ধার Logo মহেশখালীতে হত্যা চেষ্টা ও ডাকাতির প্রস্তুতি মামলার ৭ আসামি গ্রেপ্তার Logo ইসলামপুরে মিথ্যাচার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo সালথা প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নাহিদ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল Logo কালীগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বিএনপির মতবিনিময় সভা Logo রুপগঞ্জে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ দুই কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড Logo বাগেরহাটে বিআরটিসি গাড়ির অবৈধ কাউন্টার ও মহাসড়কে ইজিবাইক, মাহেন্দ্র, নসিমন, করিমন বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন Logo জামালপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত Logo বাংলাদেশ ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বড়াইগ্রাম শাখা অফিস শুভ উদ্বোধন

বন্যার্তদের জন্য ত্রানসামগ্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুর গেলো ভেদরগঞ্জ ওলামা পরিষদ

মেহেদী হাসান সফি
  • আপডেট সময় : ৪৪৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 বন্যার্তদের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই ফান্ড সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করার পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে মানবিক শরীয়তপুর, ভেদরগঞ্জে ওলামা পরিষদ ও ভেদরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে ১ হাজার পরিবারের জন্য ত্রানসামগ্রী নিয়ে রওনা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা।

জানা গেছে, গত প্রায় ৭ দিন ধরে শরীয়তপুর  জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার,ভেদরগঞ্জ পৌর এলাকায় ক্যাম্প করে ফান্ড সংগ্রহ শুরু করে সংগঠনটি। ভেদরগঞ্জ  উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছালেহ সার্বিক তত্ত্বাবধানে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী তরুন এবং যুবকেরা কাজ করতে থাকে ত্রান সংগ্রহ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ করে চলে প্রচার-প্রচারণা। বিপুল পরিমান খাদ্যপন্য ছাড়াও নগদ টাকা জমা হয় ফান্ডে। বন্যাকবলিত লক্ষ্মীপুর জেলার দুর্গত ১হাজার পরিবারের জন্য ত্রানসামগ্রী রেডি করে সদস্যরা। দুইদিন ধরে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রানসামগ্রী নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাদী বলেন,’আমরা গত শুক্রবার থেকে ফান্ড সংগ্রহে নামি। আমাদের ওলামা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছালেহ পরামর্শ নিয়ে ভেদরগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন জায়গায় ও উপজেলার মসজিদ মাদ্রাসায়। ব্যাপক সাড়া পড়ে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানুষের যে আকুতি তা নিজ চোখে দেখেছি। শুক্রবার সন্ধ্যার পর আমরা রওনা হয়েছি ত্রানসামগ্রী নিয়ে।’

ভেদরগঞ্জ বাজার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ও ভেদরগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আবুল হাসেম ঢালী।ভেদরগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ৩ লক্ষ ৫০হাজার টাকার ফান্ড সংগ্রহ করি। সেই অর্থ দিয়ে আমরা ১ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী ক্রয় করেছি। ইতোমধ্যে সেগুলো নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছাসেবীরা রওনা হয়েছে। কাজটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বন্যার্তদের জন্য ত্রানসামগ্রী নিয়ে লক্ষ্মীপুর গেলো ভেদরগঞ্জ ওলামা পরিষদ

আপডেট সময় :

 বন্যার্তদের জন্য গত কয়েকদিন ধরেই ফান্ড সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করার পর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে মানবিক শরীয়তপুর, ভেদরগঞ্জে ওলামা পরিষদ ও ভেদরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটি। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাতে ১ হাজার পরিবারের জন্য ত্রানসামগ্রী নিয়ে রওনা দিয়েছে স্বেচ্ছাসেবীরা।

জানা গেছে, গত প্রায় ৭ দিন ধরে শরীয়তপুর  জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার,ভেদরগঞ্জ পৌর এলাকায় ক্যাম্প করে ফান্ড সংগ্রহ শুরু করে সংগঠনটি। ভেদরগঞ্জ  উপজেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছালেহ সার্বিক তত্ত্বাবধানে একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী তরুন এবং যুবকেরা কাজ করতে থাকে ত্রান সংগ্রহ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ করে চলে প্রচার-প্রচারণা। বিপুল পরিমান খাদ্যপন্য ছাড়াও নগদ টাকা জমা হয় ফান্ডে। বন্যাকবলিত লক্ষ্মীপুর জেলার দুর্গত ১হাজার পরিবারের জন্য ত্রানসামগ্রী রেডি করে সদস্যরা। দুইদিন ধরে স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে স্বেচ্ছাসেবীরা ত্রানসামগ্রী নিয়ে ব্যস্ত থাকে।

সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সাদী বলেন,’আমরা গত শুক্রবার থেকে ফান্ড সংগ্রহে নামি। আমাদের ওলামা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা আবু জাফর মোঃ ছালেহ পরামর্শ নিয়ে ভেদরগঞ্জ বাজারে বিভিন্ন জায়গায় ও উপজেলার মসজিদ মাদ্রাসায়। ব্যাপক সাড়া পড়ে। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মানুষের যে আকুতি তা নিজ চোখে দেখেছি। শুক্রবার সন্ধ্যার পর আমরা রওনা হয়েছি ত্রানসামগ্রী নিয়ে।’

ভেদরগঞ্জ বাজার বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদের ও ভেদরগঞ্জ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী আবুল হাসেম ঢালী।ভেদরগঞ্জ উপজেলার স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ৩ লক্ষ ৫০হাজার টাকার ফান্ড সংগ্রহ করি। সেই অর্থ দিয়ে আমরা ১ হাজার পরিবারের জন্য ত্রাণ সামগ্রী ক্রয় করেছি। ইতোমধ্যে সেগুলো নিয়ে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছাসেবীরা রওনা হয়েছে। কাজটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পেরে আমি গর্বিত বোধ করছি।