×
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০১-২৩
  • ৩৬৮ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : জয়পুরহাট চিনিকলে ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমে ২৩ হাজার ২২২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে চিনি উৎপাদন হয়েছে এক হাজার ১৯৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন। শনিবার রাত ১২ টায় জয়পুরহাট চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা  হয়। দেশের বৃহত্তম চিনি উৎপাদনের ভারী শিল্প জয়পুরহাট চিনিকলের ২০২২-২৩ আখ মাড়াই মৌসুমে  ৩০ হাজার ১০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এক হাজার ৮ শ ৬৬ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ২৩ হাজার ২২২ দশমিক ৭ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এক হাজার ১৯৩ দশমিক ৫ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছে।

চিনি আহরণের শতকরা হার ছিল ৫ দশমিক ১৩ ভাগ। মিল চালু ছিল ১৯ দিন। শনিবার রাত ১২ টায় জয়পুরহাট চিনিকলের আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। জয়পুরহাট চিনিকলের এটি ৬০ তম আখ মাড়াই মৌসুম। ৮ কোটি টাকার আখ কেনা হলেও এ পর্যন্ত কৃষকদের পাওনা সাড়ে ৪ কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে বলে জানান, জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থপানা পরিচালক কৃষিবিদ মো: আখলাছুর রহমান।    চিনিকলের আখ মাড়াই সক্ষমতা থাকলেও মূলত আখের অভাবে মাড়াই মৌসুমের সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যান্য ফসলের দামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আখের মূল্যও বাড়িয়েছে সরকার। এবার  মিলগেটে আখের মূল্য দেওয়া হয়েছে পার মেট্রিক টন ৪ হাজার ৪৫০ টাকা এবং বাইরের ক্রয় কেন্দ্রের জন্য ৪ হাজার ৪৪০ টাকা।  ২০২২-২০২৩ মাড়াই মৌসুমে  ২৫ দিন মিল চালু রাখা ও  চিনি আহরণের শতকরা হার ধরা হয়েছিল ৬ দশমিক ২ ভাগ। আখচাষিদের মোবাইলের মাধ্যমে আখের মূল্য পরিশোধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।   চিনিকল সূত্র জানায়, সরকারি সহায়তা হিসেবে আখ রোপণের গত মৌসুমে ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ঋণ সুবিধা প্রদান করা হয়েছিল।

ঋণ প্রাপ্ত আখ চাষির সংখ্যা হচ্ছে ২ হাজার ৭শ জন। এর মধ্যে রয়েছে সার ও উন্নত মানের আখ বীজসহ  অন্যান্য উপকরণ। আখ মিলে সরবরাহ করার পর ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হয় ফলে ঋণ পরিশোধ করার জন্য আখচাষিদের কোন বাড়তি চাপ থাকে না।  গত ২০২১-২০২২ মাড়াই মৌসুমে ২১ হাজার ৪৪৯ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে এক হাজার ১৬২ মেট্রিক টন চিনি উৎপাদন করা হয়েছিল  বলে জানান, জয়পুরহাট চিনিকলের ব্যবস্থপানা পরিচালক কৃষিবিদ মো: আখলাছুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat