স্টাফ রিপোর্টার : উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিজ্ঞ ও সমাজসংস্কারক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রাণপুরুষ, আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল (বর্তমান বুয়েট) এর প্রতিষ্ঠাতা নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি পদক পেয়েছেন নাটোরের বাগাতিপাড়ার কাজী আমানুর রহমান। সফল কাজী ও সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি এই পদক পান। গত শনিবার (২১-জানুয়ারী) বিকেলে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তন ঢাকায় এই পদক দেয়া হয়। স্বদেশ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী এম. নাজিমউদ্দীন আল-আজাদ। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি খাদেমুল ইসলাম চৌধুরী। সভা প্রধানের গুরুদায়িত্ব পালন করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের অ্যাডভোকেট (অন রেকর্ড) কবি শেখ আব্দুল হক চাষী। এসময় স্বাগত বক্তব্য দেন স্বদেশ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের সভাপতি লায়ন এ্যাড. মোঃ রবিউল হোসেন রবি। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন অনুষ্ঠান উদযাপন কমিটির আহবায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো: ইদ্রিস আলী, স্বদেশ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক জাফর আহাম্মদ রাজু এবং বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী আহমাদ সৈয়দ মোতালেব প্রমুখ।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ ঘোষিত বিশ্ব শান্তি দিবস উপলক্ষে স্বদেশ সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন ও জাতীয় ভিত্তিক সমাজসেবী সংস্থা ভোসেড (ভলান্টারী অর্গানাইজেশন ফর সোসিও-ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট) এর উদ্যোগে সম্মাননা পদকও পেয়েছেন তিনি। ঢাকার সেগুনবাগিচায় কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলা মিলনায়তনে ওই পদক দেয়া হয়।
কাজী আমানুর রহমান বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নে বিবাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া একটি সংগঠনের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘ একুশ বছর যাবৎ চক্ষু রোগীদের বিনামূল্যে চোখের চিকিৎসা সহ চোখে লেন্স স্থাপন ও প্রায় আঠারো হাজার চক্ষু রোগীকে বিনা মুল্যে চশমা বিতরনে সহায়তা করে আসছেন। আরও অসংখ্য চক্ষু রোগীকে আউটডোরে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি প্রতি বছর দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে পোশাক, শিক্ষা উপকরন এবং দুঃস্থ অসহায় মানুষদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরন করে আসছেন।
এ জাতীয় আরো খবর..