স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তার রাজনীতি ও নির্বাচন করতে পারা না-পারার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া পুরোপুরি আদালতের এখতিয়ার বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসিন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। খালেদার জিয়ার মুক্তি ও রাজনীতির বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়ার রাজনীতির বিষয়টা আদালতের এখতিয়ার। প্রধানমন্ত্রী মানবিক কারণে তাকে বাসায় থাকতে দিয়েছেন।
এর মানে এই নয় যে, তার সাজা বাতিল হয়ে গেছে। তিনি রাজনীতি করবেন নাকি নির্বাচন করবেন সেটা আদালতের জাজমেন্টের বিষয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। ডাকসু নির্বাচন প্রতিবছরই হয়। এটা করতে না পারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই ব্যর্থতা। এতে আওয়ামী লীগের কোনো হস্তক্ষেপ নেই। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ না জানানোয় আয়োজকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি এসব প্রোগ্রামকে রাজনীতির ঊর্ধ্বে রাখতে বলেন। এ ধরনের আয়োজন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন আমি মহসিন হলের প্রাক্তন আবাসিক ছাত্র হিসেবে আসবো। আমরা আড্ডা দেবো, একসাথে খাবো, পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণ করবো। হাসিখুশিতে সময়টা কাটিয়ে দেবো। তিনি বলেন, এটি কোনো পলিটিক্যাল জায়গা নয়। পরবর্তী সময়ে যেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে থেকে এ ধরনের আয়োজন করা হয়। অ্যালামনাই যেন নন-পলিটিক্যাল হয়। কাদের বলেন, বিএনপি যে গণআন্দোলনের সূচনা করেছে, সেই আন্দোলনে যখন ভাটার টানে ম্রিয়মান হয়ে পড়ে, তখন তারা আসলে দিকবিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে যায় এবং আবোল তাবোল বকে। কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল বলেছিলেন আওয়ামী লীগ বিলাসী জীবনযাপনের জন্য রাজনীতি করে।
আওয়ামী লীগ কোনো বিলাসী রাজনীতি করে না, পকেটের রাজনীতি করে বিএনপি, শেখ হাসিনার সরকার জনকল্যাণে রাজনীতি করে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি যখন ক্ষমতার ছিল, সে সময় তারা বিলাসী জীবনযাপন করেছে, এখনও তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লন্ডনে বসে পলাতক অবস্থায় আয়েশি জীবনযাপন করছেন। সেখানে তাদের আয়েশি জীবন যাপনের কথা আওয়ামী লীগকে বলা শোভা পায় না। তারা নিজেদের পকেটের উন্নয়নের রাজনীতি করেন এবং শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের রাজনীতি করেন। কে কি বলল তাতে আমাদের কিছু আসে যায় না। আমরা যা করছি মানুষের জন্য করছি। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য করছি। যারা লুটপাট করেছে তাদের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে আজ তারা ক্ষমতায় নেই। অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডক্টর মো. নিজামুল হক ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মো. আখতারুজ্জামান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুসসহ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়শনের সদস্যরা।
এ জাতীয় আরো খবর..