মনির হোসেন, মোংলা : মোংলা বন্দরে বন্যপ্রাণী পাচারের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং পাচারের কার্যকলাপ হ্রাসে সহায়ক বন্যপ্রাণী সনাক্ত করণের উপর দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটিভ ট্রেনিং অ্যাসিসট্যান্স প্রোগ্রামের কাউন্টার উইল্ডলাইফ ট্রাফিকিং টিমের আয়োজনে ২৯ ও ৩০ মে বন্দরের জেটি চত্বরে আয়োজিত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ৬০ জন প্রতিনিধি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটিভ ট্রেনিং অ্যাসিসট্যান্স প্রোগ্রাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের অংশ এবং ২০০৩ সাল থেকে বাংলাদেশ সরকারের আইন প্রয়োগকারী বিভিন্ন সংস্থাকে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা করে আসছে।
দুইদিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপণী দিনে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিদের সনদপত্র বিতরণ করেন বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী। এসময় বন্দরের সদস্য (হারবার ও মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. আসাদুজ্জামান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. শাহিনুর আলম, প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কমান্ডার আব্দুল্লাহ আল মেহেদি, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেটিভ ট্রেনিং অ্যাসিসট্যান্স প্রোগ্রামের নির্বাহী কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক সিনিয়র আইন প্রয়োগকারী উপদেষ্টা ক্রেইগ ফুলস্টোন,ড. নাসির উদ্দিন, ড. সামিয়া সাইফ, সহকারি জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, মোংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও বন্দর ব্যবহারকারী এইচ এম দুলালসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,বৈশ্বিক চাহিদা এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের সাথে সাথে মোংলা সমুদ্র বন্দরের ব্যবহার ও গুরুত্ব দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । বাংলাদেশের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল এবং ভুটান এই বন্দর ব্যবহারে আগ্রহী হচ্ছে। কাজেই দিনদিন মোংলা বন্দরের পরিধি ও কলেবর বৃদ্ধি পাবে। কাজেই ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী অপরাধের মত একটি বৈশ্বিক অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এই ধরনের প্রশিক্ষণ মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
এ জাতীয় আরো খবর..