×
সদ্য প্রাপ্ত:
  • প্রকাশিত : ২০২৩-০৬-১১
  • ১৪৪ বার পঠিত
# বরিশালে ১০৬ কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ 
# খুলনায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

সাঈদ আহাম্মেদ খান : নির্বাচন কমিশন নানা সময় নানা বক্তব্য দিলেও এবার বাস্তব অবস্থানে বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বরিশাল এবং খুলনার নির্বাচনে। তাদেরকে দৃষ্টান্ত স্থাপনযোগ্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে হবে। ইসির কাছে এর কোন বিকল্প নেই ।

কেউ এবার তাদেরকে ছাড়  দেবে না। বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ?‘পুলিশের হিসাবে ৭০টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু প্রার্থীরা যেসব কেন্দ্র নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, সেগুলো যুক্ত করে ১০৬টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়েছে। জানা গেছে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইনশঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। শনিবার বেলা ১১টায় বরিশাল নগরীর বিএমপি হেডকোয়ার্টারে সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পুলিশ কমিশনার। কাল সোমবার ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।  এদিকে খুলনায় বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  এর মধ্যে গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে মঙ্গলবার মধ্যরাত পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় কোনও মোটরসাইকেল চলাচল করতে পারবে না।  সেইসঙ্গে আজ মধ্যরাত থেকে সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ গাড়ি, পিকআপ, প্রাইভেটকার ও ইজিবাইক চলাচল করতে পারবে না।  নির্বাচনের দুই দিন আগে শনিবার প্রজ্ঞাপন দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।  আগামীকাল সোমবার এই সিটিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।  এদিন সকাল ৮টা থেকে ইভিএমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে।

বরিশালের পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাড়ে চার হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে। প্রতি কেন্দ্রে ছয়-সাত জন পুলিশ ও ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। একেকটি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন ১৮ জন সদস্য।’
তিনি আরও বলেন, ‘কেন্দ্রগুলোকে টার্গেট করে আমরা ৩০টি ওয়ার্ডে ৫১টি মোবাইল টিম গঠন করেছি। একটি ওয়ার্ডে একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স দায়িত্বে থাকবে। এর বাইরে ব্যাপক ফোর্সের সমন্বয়ে ১০টি স্ট্যান্ডবাই টিম রাখা হয়েছে। একটি থানার দায়িত্বে একজন উপ-পুলিশ কমিশনার, তিন জন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার, ছয় জন সহকারী কমিশনার  থাকবেন। নারী ভোটার ও কেন্দ্রের জন্য নারী পুলিশ সদস্যদের দিয়ে টিম করা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে পুলিশের টিম থাকবে।’

শনিবার রাত ১২টায় প্রচারণা শেষ হবে উল্লেখ করে পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘মহানগরীতে ১১ জুন রাত ১২টা হতে ১২ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত ট্রাক, বাস, মিনিবাস, মাইক্রোবাস, জিপ, পিকআপ, প্রাইভেটকার, ইজিবাইক, লঞ্চ ও ইঞ্জিনচালিত সব ধরনের নৌযান, স্পিডবোট চলাচল বন্ধ থাকবে। শনিবার রাত ১২টা থেকে ১৩ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকবে। শনিবার থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকায় বৈধ লাইসেন্সধারীরা অস্ত্র বহন, প্রদর্শন এবং অস্ত্রসহ চলাচল করতে পারবেন না।’
দুপুর ১২টায় নগরের রূপাতলীর র‌্যাব-৮-এর সদর দফতরে প্রেস ব্রিফিংয়ে নির্বাচনে কঠোর অবস্থানে থাকার কথা বলেন লে. কর্নেল মাহামুদুল হাসান। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী শনিবার সকাল ৬টা থেকে র‌্যাব সদস্যরা স্ট্রাইকিং ফোর্সের দায়িত্ব পালন করছেন। নগরীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ১৬টি টিমে দেড়শ সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া শহরে প্রবেশ ও বাইরের পথসহ বিভিন্ন স্থানে র‌্যাবের চেকপোস্ট স্থাপন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছেন।’
সিটি নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে যেকোনো অপতৎপরতা কঠোরভাবে দমন করা হবে উল্লেখ করে মাহামুদুল হাসান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা-পরিপন্থি কোনও কার্যক্রম ঘটলে দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ সহিংসতা বা নাশকতার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat