# রেমিট্যান্সে এগিয়ে বেসরকারী ব্যাংকগুলে
# পিছ ছাড়ছে না সংকট
সাঈদ আহাম্মেদ খান :দেশে রেমিট্যান্স প্রবাহ আবার সুসংবাদ দিচ্ছে। চলতি মাসে তা ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে। প্রবাসিদের পাঠানো ডলার আসার পরও ব্যবসায়িদের এলসি খোলার সংকট কাটেনি। হুন্ডি সিন্ডিকেটের অপতৎপরতা বেড়েছে বলে জানা যায়। তা সত্ত্বেও প্রবাসিরা বিপুল পরিমাণে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন। তবে ডলার সংকট কোনভাবেই পিছ ছাড়ছে না। তা হলে কি ডলার কোন চ্যানেলে পাচার হয়ে যায়? এই প্রশ্ন এখন ব্যবসায়িদের মধ্যে বেশ আলোচিত। বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে রেমিট্যান্স প্রবাহ সবচেয়ে বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৫ কোটি ৭২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৮ কোটি ৮৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার। প্রবাসী আয় আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে দুই বিলিয়ন ডলার বা ২০০ কোটি ডলার ছাড়াবে প্রবাসী আয়। দেশে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে ডলার সংকট। এ সংকটের মধ্যেই সুখবর দিচ্ছে প্রবাসী আয়। সদ্যসমাপ্ত জুন মাসের মতোই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে জুলাই মাসের শুরু থেকে।
প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স) আসার এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ মাসেও দুই বিলিয়ন ডলার ছাড়াবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে চলতি জুলাই মাসের প্রথম সাতদিনে ৪৬ কোটি ৫৬ লাখ (৪৬৫ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলদেশীয় মুদ্রায় (প্র?তি ডলার ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা ধ?রে) এর পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ৫১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর হিসেবে প্রতিদিন গড়ে ৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার বা প্রায় ৭২২ কোটি (৭২১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা) টাকা আসছে। রেমিট্যান্স আসেনি এমন ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে- রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বা বিডিবিএল, বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক বা রাকাব, বেসরকারি খাতের বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, কমিউনিটি ব্যাংক লিমিটেড, সিটিজেনস ব্যাংক পিএলসি, সীমান্ত ব্যাংক।
জুন মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। একক মাস হিসেবে এটি প্রায় তিন বছরের মধ্যে সর্বাধিক প্রবাসী আয়। এর আগে সবশেষ গত ২০২০ সালের জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার এসেছিল। আর বিদায়ী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স। এটি এ যাবৎকালের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে করোনাকালীন ২০২০-২০২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে। সদ্যবিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রথম দুই মাসে দুই বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। হুন্ডি ব্যবসায়িদের তৎপরতা কমানো গেলে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স প্রবাহ আরও বাড়ানো সম্ভব বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ জাতীয় আরো খবর..