×
  • প্রকাশিত : ২০২৩-১১-২০
  • ৭৩ বার পঠিত
স্টাফ রিপোর্টার : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে সারাদেশে চলছে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের ৪৮ ঘণ্টার হরতাল। তবে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীতে এই হরতালের প্রভাব ছিলো ঢিলেঢালা।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, হরতালের আগে শনিবার রাতে জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যমুনা এক্সপ্রেস নামের একটি যাত্রীবাহী ট্রেনে আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে ট্রেনটির তিনটি বগি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এছাড়া আগুন লাগার পর হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে অন্তত ৪জন যাত্রী আহত হয়েছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যমুনা এক্সপ্রেস শনিবার রাত একটার দিকে সরিষাবাড়ী রেলস্টেশনে এসে দাঁড়ায়। এর কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি তারাকান্দির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলে তাতে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় রাত সাড়ে তিনটার দিকে আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়। এ ঘটনায় আহত যাত্রীদের সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। এর আগে, বিএনপির পঞ্চম দফা অবরোধ চলাকালে গত বুধবার রাতে টাঙ্গাইল রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কমিউটার ট্রেনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।

ঢাকার ধানমণ্ডি, কলাবাগান, গ্রিণরোড, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি, মিরপুর, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, লালমাটিয়া, মহাখালী, বনানী, গুলশানসহ বিভিন্ন সড়কে  সীমিত সংখ্যক বাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান এবং ব্যক্তিগত গাড়ি চলাচল করেছে। যদিও প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিবহন থাকায় অফিস ও স্কুলগামী যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন। এছাড়া সিএনজি অটোরিক্সা ও রিক্সার সংখ্যা স্বাভাবিক দিনের মতই দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা বাড়ছে। অন্যদিকে, আগের হরতাল-অবরোধের মত রোববারেও বন্ধ থাকে দূরপাল্লার যান চলাচল।পর্যাপ্ত সংখ্যক যাত্রী না পাওয়ায় দূরপাল্লার বাস ছাড়ছে না বলে জানিয়েছেন বাসের টিকিট বিক্রেতারা।

গতকাল সকাল ৯টা-১০টা পর্যন্ত রাজধানীর মগবাজার, মৌচাক, মালিবাগ, শান্তিনগর, কাকরাইল, নয়াপল্টন, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন, গুলিস্তান এলাকায় বাস কম ছিলো।
স্বাভাবিক কর্মদিবসগুলোতে অফিস শুরুর এই সময়ে সড়কে প্রচুর যানবাহনের চাপ থাকে। গণপরিবহনগুলো থাকে যাত্রীতে ঠাসা। কিন্তু হরতালের কারণে সড়কে যানবাহনের সেই চাপ দেখা যায়নি। বড়জোর বিভিন্ন সিগনালে মিনিট খানেক দাঁড়াতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। সড়কে গণপরিবহন কম থাকায় বিভিন্ন স্থানে যাত্রীদের বাসের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। তবে বেশিরভাগ বাসে যাত্রীর ভিড় নেই। শনিবাররাতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বাসেসহ যানবাহনে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে গুলিস্তান টোলপ্লাজার সামনে আরেকটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

রাজধানীর বাইরে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ও চান্দগাঁও এলাকায় একটি বাস ও একটি মিনি ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে রাত পৌনে ১০টায় জয়পুরহাটে একটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়া হয়। এরপর রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় আরেকটি পিকআপ ভ্যানে এবং রাত সাড়ে ১১টায় কুমিল্লায় একটি বাসে দুর্বৃত্তরা আগুন দেয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ফেসবুকে আমরা...
ক্যালেন্ডার...

Sun
Mon
Tue
Wed
Thu
Fri
Sat