স্টাফ রিপোর্টার : রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর বলেছেন, নিবন্ধন বাতিলে রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় দলটির আর কোনো অস্তিত্ব থাকলো না। তাই জামায়াত আজ থেকে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারবে না। কোনো মিছিল মিটিং করতে পারবে না। তিনি বলেন, এখন যদি জামায়াত কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে তাহলে আমরা আদালত অবমাননার আবেদন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে যাবো। গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। এর ফলে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলে হাইকোর্টের রায় বহাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
গতকাল এ সংক্রান্ত আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের রায় বহাল রাখার আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এদিন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জামায়াতের মূল আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর অনুপস্থিতিতে আপিল খারিজ করে নিবন্ধন অবৈধ বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপিল বিভাগ বহাল রাখার পর এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জামায়াতের আইনজীবী ও দলটির প্রচার সম্পাদক বলেন, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং হরতালের কারণে আমাদের সিনিয়র আইনজীবী শুনানি মুলতবি করার আবেদন দিয়েছিলেন। আপনারা জানেন এ মামলার আমাদের প্রধান আইনজীবী হচ্ছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। তার মুলতবির আবেদনটি আদালত আমলে নেননি, খারিজ করে দিয়েছেন। সেই সাথে আপিল বিভাগ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে যে আপিল করা হয়েছিল সেই আপিলটিও ডিসমিসড ফর ডিফল্ট হিসেবে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।
ফলে আমাদের আপিলটি ডিসমিসড ফর ডিফল্ট হিসেবে শুনানির জন্য কার্যতালিকায় থাকবে না। পরবর্তীতে আমাদের প্রতিপক্ষ দুটি আবেদন দিয়েছিলেন, আমাদের আপিল ডিসমিসড হওয়ার কারণে তাদের দুটি আবেদন শুনানির জন্য থাকবে না। আদালত রিজেক্ট করে দিয়েছেন। আজ এই মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে নিষ্পত্তি হল। এই বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর পরবর্তী নির্দেশনা আলকে আইনি কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব। তিনি আরও বলেন, এখানে নিবন্ধনের বৈধতা নিয়ে মামলা ছিল, আদালত নিবন্ধন নিয়ে মতামত দিয়েছেন। তবে স্বাভাবিকভাবে জামায়াতের রাজনীতি বহাল থাকবে। সংবিধান অনুযায়ী রাজনীতি নিষিদ্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। রাজনীতি করার সুযোগ জামায়াতে ইসলামী পাবে, অব্যাহত আছে। পাবে এবং থাকবে।
এর আগে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগের একই বেঞ্চ পরবর্তী শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। আদালতে ওইদিন জামায়াতের পক্ষে সময় চান আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. জিয়াউর রহমান।
এ জাতীয় আরো খবর..