ঢাকা ১১:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

চোর সন্দেহে গাজীপুরে গণপিটুনিতে ২জনের মৃত্যু

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও সহ একাধিক স্থানে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গাজীপুরের কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২জনের মৃত্যুর খবর আসলো।

একই ইউনিয়নের পৃথক স্থানে গণপিটুনিতে এই দুইজনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোর রাত ২ নাগাদ সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামে অপরজন নিহত হওয়ার ঘটনা। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, মৃত দুইজনসহ আরও কয়েকজনের একটি দল গরু চুরি করতে রাতে এলাকায় ঢুকেছিল। গরুচোর সন্দেহে তাদের পিটিয়ে মারা হয়।

দুটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিও হত্যার আগের অন্যটিতে পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য ধারণ করা।

হত্যাকাণ্ডের আগের ভিডিওতে দেখা যায়, নীল রঙ্গের প্যান্ট শার্ট পরিহিত এক যুবক গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে বসে আছেন। চারপাশে উত্তেজিত মানুষজন তাকে গালাগাল করছেন। তাদের অনেকের হাতে লাঠি রয়েছে। এ সময় ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্থানীয়রা।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ বলেন, এলাকায় গরু চুরির ঘটনা বেড়েছে। মানুষ খুব অসন্তোষ্ট ছিল। তারা চুরি রোধে এলাকায় পাহারা বসিয়েছিল। চেয়ারম্যান জানান, গভীর রাতে গাড়িতে করে গরু চুরি করতে কয়েকজন আসে।

গ্রামবাসী গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন মারা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, আমি ভিডিওটি দেখিনি। একজনকে পিটিয়ে মারার পর আরেকজন তার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

পুলিশের কাছে হস্তান্তর না করে পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে মানুষ খুব ক্ষিপ্ত। প্রতিদিন এখানে গরু চুরি হয়।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, নামিলা গ্রামের মোসলেমের বাড়িতে অজ্ঞাত লোকজন গরু চুরি করতে যায়। পরে এলাকাবাসী টের পেয়ে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

তাদের হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চোর সন্দেহে গাজীপুরে গণপিটুনিতে ২জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ১১:৩০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

 

সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও সহ একাধিক স্থানে গণপিটুনিতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। সর্বশেষ গাজীপুরের কাপাসিয়ার সিংহশ্রী ইউনিয়নে গরুচোর সন্দেহে গণপিটুনিতে ২জনের মৃত্যুর খবর আসলো।

একই ইউনিয়নের পৃথক স্থানে গণপিটুনিতে এই দুইজনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) ভোর রাত ২ নাগাদ সিংহশ্রী ইউনিয়নের নামিলা গ্রামে একজন ও একই ইউনিয়নের বড়িবাড়ি গ্রামে অপরজন নিহত হওয়ার ঘটনা। তাদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, মৃত দুইজনসহ আরও কয়েকজনের একটি দল গরু চুরি করতে রাতে এলাকায় ঢুকেছিল। গরুচোর সন্দেহে তাদের পিটিয়ে মারা হয়।

দুটি ঘটনার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। একটি ভিডিও হত্যার আগের অন্যটিতে পিটিয়ে হত্যার দৃশ্য ধারণ করা।

হত্যাকাণ্ডের আগের ভিডিওতে দেখা যায়, নীল রঙ্গের প্যান্ট শার্ট পরিহিত এক যুবক গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে বসে আছেন। চারপাশে উত্তেজিত মানুষজন তাকে গালাগাল করছেন। তাদের অনেকের হাতে লাঠি রয়েছে। এ সময় ওই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে স্থানীয়রা।

সিংহশ্রী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ বলেন, এলাকায় গরু চুরির ঘটনা বেড়েছে। মানুষ খুব অসন্তোষ্ট ছিল। তারা চুরি রোধে এলাকায় পাহারা বসিয়েছিল। চেয়ারম্যান জানান, গভীর রাতে গাড়িতে করে গরু চুরি করতে কয়েকজন আসে।

গ্রামবাসী গরু চুরির বিষয়টি টের পেয়ে একজোট হয়ে দুইজনকে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলে নামিলা গ্রামে একজন ও পার্শ্ববর্তী বড়িবাড়ি গ্রামের ধানক্ষেতে আরেকজন মারা যায়।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, আমি ভিডিওটি দেখিনি। একজনকে পিটিয়ে মারার পর আরেকজন তার পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করেছে।

পুলিশের কাছে হস্তান্তর না করে পিটিয়ে হত্যার বিষয়ে মানুষ খুব ক্ষিপ্ত। প্রতিদিন এখানে গরু চুরি হয়।

কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানান, নামিলা গ্রামের মোসলেমের বাড়িতে অজ্ঞাত লোকজন গরু চুরি করতে যায়। পরে এলাকাবাসী টের পেয়ে দুজনকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

তাদের হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।