ঢাকা ০৮:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টি চেয়ে বাংলাদেশের মসজিদে মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ১০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

আমিনুল হক ভূইয়া

বাংলাদেশে দীর্ঘ দাবদাহ চলছে। তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত। শুক্রবারও বাংলাদেশের লালমনিহাটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটি মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টি চেয়ে বাংলাদেশের মসজিদ-মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা খরা হয়েছে। বাংলাদেশে তাপমাত্রার পারদ যখন ৪২.৭ ডিগ্রি, তখন দেশজুড়ে মসজিদ-মন্দিরে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা হলো।

প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। এদিন জুমার নামাজ আদায় করতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি মসজিতে উপস্থিত হয়ে থাকেন। এদিন নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারাদেশের মসজিদে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দেশের মন্দির ও ধর্মশালায়ও বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দাবদাহ আরও এক সপ্তাহ চলতে পারে বলে হাওয়া অফিসের খবর। অরিক্ত দাবদাহে সর্বত্র জনজীবনে হাসফাস। গরমজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রাস্তায় অস্বাস্থ্যকর নিম্নমানের ঠান্ডা শরত খেয়েও অনেকে অসুস্থ হচ্ছেন। কিন্ত নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে রাস্তার শরতের বেশি খাওয়ার ব্যবস্থা নেই।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ অতিরিক্ত গরমে সকাল-বিকাল ঘরের বাইরে না বেরুনো উত্তম। কিন্তু সবাইতো আর ঘরে বসে থাকতে পারবেন না। যারা বেরুবেন, সঙ্গে ছাতা ও জলের বোতল অবশ্য রাখতে হবে। কারো অসুস্থতা মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা জায়গায় কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে হবে। পরশি দেশটিতে শুক্রবার ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের অধিকাংশ জেলা।

গরমের তীব্র এতোটাই যে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই । দিনে-রাতে সমান তালে গরম অনুভূত হচ্ছে। প্রখর রোদে অনেক সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। দাবদাহে এদিন লালমনিরহাটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দাবদাহে (হিট স্ট্রোক) ১২ জনের মৃত্যু হলো। এমন পরিস্থিতি আরও সপ্তাহখানেক চলতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

আমাদের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় হিট স্ট্রোকে রাসেদুল ইসলাম নামে এক পেপার বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টা নাগাদ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজার সংলগ্ন রাস্তায় হিট স্ট্রোকে মারা যায়। রাসেদুল পার্শ্ববর্তী হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোদ্দ বিছনদঈ এলাকার মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশকিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ শতাংশ। বেলা ৩টা নাগাদ তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

বৃষ্টি চেয়ে বাংলাদেশের মসজিদে মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা

আপডেট সময় : ০৮:২৫:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

 

আমিনুল হক ভূইয়া

বাংলাদেশে দীর্ঘ দাবদাহ চলছে। তাতে জনজীবন বিপর্যস্ত। শুক্রবারও বাংলাদেশের লালমনিহাটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটি মোট ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টি চেয়ে বাংলাদেশের মসজিদ-মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা খরা হয়েছে। বাংলাদেশে তাপমাত্রার পারদ যখন ৪২.৭ ডিগ্রি, তখন দেশজুড়ে মসজিদ-মন্দিরে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা হলো।

প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। এদিন জুমার নামাজ আদায় করতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি মসজিতে উপস্থিত হয়ে থাকেন। এদিন নামাজ শেষে বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ সারাদেশের মসজিদে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনায় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। দেশের মন্দির ও ধর্মশালায়ও বৃষ্টির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। দাবদাহ আরও এক সপ্তাহ চলতে পারে বলে হাওয়া অফিসের খবর। অরিক্ত দাবদাহে সর্বত্র জনজীবনে হাসফাস। গরমজনিত রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। রাস্তায় অস্বাস্থ্যকর নিম্নমানের ঠান্ডা শরত খেয়েও অনেকে অসুস্থ হচ্ছেন। কিন্ত নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে রাস্তার শরতের বেশি খাওয়ার ব্যবস্থা নেই।

 

চিকিৎসকের পরামর্শ অতিরিক্ত গরমে সকাল-বিকাল ঘরের বাইরে না বেরুনো উত্তম। কিন্তু সবাইতো আর ঘরে বসে থাকতে পারবেন না। যারা বেরুবেন, সঙ্গে ছাতা ও জলের বোতল অবশ্য রাখতে হবে। কারো অসুস্থতা মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে ঠাণ্ডা জায়গায় কিছুটা সময় বিশ্রাম নিতে হবে। পরশি দেশটিতে শুক্রবার ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১১ শতাংশ। তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের অধিকাংশ জেলা।

গরমের তীব্র এতোটাই যে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই । দিনে-রাতে সমান তালে গরম অনুভূত হচ্ছে। প্রখর রোদে অনেক সড়কের পিচ গলে যাচ্ছে। দাবদাহে এদিন লালমনিরহাটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দাবদাহে (হিট স্ট্রোক) ১২ জনের মৃত্যু হলো। এমন পরিস্থিতি আরও সপ্তাহখানেক চলতে পারে বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

আমাদের লালমনিরহাট প্রতিনিধি জানান, কালীগঞ্জ উপজেলায় হিট স্ট্রোকে রাসেদুল ইসলাম নামে এক পেপার বিক্রেতার মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টা নাগাদ উপজেলার মদাতী ইউনিয়নের চামটার হাট বাজার সংলগ্ন রাস্তায় হিট স্ট্রোকে মারা যায়। রাসেদুল পার্শ্ববর্তী হাতিবান্ধা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের খোদ্দ বিছনদঈ এলাকার মৃত বদর উদ্দিনের ছেলে।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি, বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়া অফিস জানায়, শুক্রবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ দশকিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৬ শতাংশ। বেলা ৩টা নাগাদ তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।