ঢাকা ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

অপহরণ মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা ৮ দিনের রিমান্ডে

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঢাকার হাজারীবাগ থানার অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় গ্রেপ্তার ধানমন্ডি জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফির ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন সকালে গ্রেপ্তার কাফিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

অভিযোগে জানা গেছে, আসামি ধানমন্ডি জোনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ পদে নিয়োজিত থাকাকালে মামলার অপর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন সরদার, হাজারীবাগ থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া এবং আসামি মাইনুদ্দিন কাজলসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন মিলে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি থেকে মামলার বাদীকে অপহরণ করে। এরপর হাজারীবাগ থানাধীন অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে মুক্তিপণ চেয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাদীর পরিবার থেকে আদায় করে।

এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। ডিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সম্প্রতি আশুলিয়া এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা একটি ভ্যানে একাধিক লাশ তুলছে। ওই মরদেহগুলো পরে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তা তদন্ত করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহ হিল কাফি। তার নির্দেশেই লাশগুলো পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাকে শনাক্ত করার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ হিল কাফি দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ধানমন্ডি জোনে দায়িত্ব পালন করেন। তখন থেকেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সে বন্ধুত্বের সম্পর্কের সূত্র ধরে তিনি পুলিশে প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অপহরণ মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা ৮ দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় : ১১:১২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 

ঢাকার হাজারীবাগ থানার অপহরণের পর মুক্তিপণ আদায়ের মামলায় গ্রেপ্তার ধানমন্ডি জোনের সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল্লাহ হিল কাফির ৮ দিনের পুলিশ হেফাজতে।

বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামানের আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন সকালে গ্রেপ্তার কাফিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদনের প্রেক্ষিতে ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

অভিযোগে জানা গেছে, আসামি ধানমন্ডি জোনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ পদে নিয়োজিত থাকাকালে মামলার অপর সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, পুলিশ কর্মকর্তা মারুফ হোসেন সরদার, হাজারীবাগ থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া এবং আসামি মাইনুদ্দিন কাজলসহ অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জন মিলে ২০১৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডি থেকে মামলার বাদীকে অপহরণ করে। এরপর হাজারীবাগ থানাধীন অজ্ঞাত স্থানে আটকিয়ে মুক্তিপণ চেয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ বাদীর পরিবার থেকে আদায় করে।

এর আগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়। ডিবির একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সম্প্রতি আশুলিয়া এলাকার একটি ভিডিও ফুটেজ ভাইরাল হয়। ওই ফুটেজে দেখা যায়, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানা এলাকায় পুলিশ সদস্যরা একটি ভ্যানে একাধিক লাশ তুলছে। ওই মরদেহগুলো পরে পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যানে তুলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হলে তা তদন্ত করতে ঢাকা জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়।

সূত্রে জানা যায়, ঢাকা উত্তর জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ছিলেন আব্দুল্লাহ হিল কাফি। তার নির্দেশেই লাশগুলো পুলিশের পিকআপ ভ্যানে তোলার পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাকে শনাক্ত করার পর তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন।

উল্লেখ্য, আব্দুল্লাহ হিল কাফি দীর্ঘদিন ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ধানমন্ডি জোনে দায়িত্ব পালন করেন। তখন থেকেই সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ছেলের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সে বন্ধুত্বের সম্পর্কের সূত্র ধরে তিনি পুলিশে প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।