ঢাকা ১১:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

অবহেলায় অনিরাপদ বিনিয়োগ হোটেল ব্যবসায়ীদের

আমিনুল হক ভূইয়া
  • আপডেট সময় : ০৪:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪ ৩২৪ বার পড়া হয়েছে

বেইলী রোডে আগুনে পুড়ে যাওয়া ভবন

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নিরাপদ বিনিয়োগের কথা চিন্তা না করেই ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবনে অগণিত খাবার দোকান খুলে ব্যবসা করে আসছিলেন তারা।

কিন্তু তাদের এই বিনিয়োগ কতটুকু নিরাপদ বা কিভাবে নিরাপদ করা যায়, সেই কথাটি বিষয়টি আমলের বাইরে রাখা হয়েছে। কোন একটি খাবার দোকান খুলতে হলে, ট্রেড লাইসেন্স, খাদ্য নির্বাচন ও নিয়ন্ত্রণ আইনের অনুসারে লাইসেন্স, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স এবং পণ্য উৎপাদন ও প্যাকেজিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।

কিন্তু সিংহভাগ খাবারের দোকানের ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন-যা কিনা বেইলী রোডে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনার পর বেড়িয়ে আসতে থাকে। বিনিয়োগের প্রতি মানুষ কতটা উদাসীন হতে পারে, তার প্রমান মেলে বেইলী রোডে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর।

দেখা গিয়েছে প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে অনিরাপদভাবেই বিনিযোগ করা হয়েছে। অথচ বিনিয়োগকারীরা জানেন, তাদের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কি কি লাইসেন্স প্রয়োজন। যা কিনা পরিষেবার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

বেইলী রোডে পুড়ে যাওয়া ভবন

উদাসীন ও প্রচলিত আইনের প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, বিনিয়োগ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। যে কারণে ব্যবসায়ীদের কষ্টার্জিত বিনিযোগ এখন নিরাপত্তাহীনতায়। ঢাকার বেইলী রোডের একটি ভবনে, যেখানে ভবনজুড়েই খাবারের দোকান। ২৯ ফেব্রুয়ারি সেই ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু এবং ৭৫জনের মতো আহত হয়।

ভবনটিতে যেসব খাবারের দোকান ছিলো, তাতে কি পরিমাণ বিনিয়োগ ছিলো তা জানা না গেলেও পরিমাণটা মোটা দাগের সেই বিষয়টি সহজেই অনুমান করা যায়।

ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন সংস্থা।
তারা বিভিন্ন ভবনে, বিশেষ করে যেগুলোতে খাবারের দোকান রয়েছে, সেই ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থা।

বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ভবনে থাকা খাবারের দোকানগুলো নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখেন। ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন যৌথ অভিযানকালে দেতে পায় অধিকাংশ খাবার দোকানের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করেই ব্যবসা পরিচালনা করছে।

অভিযানের খবর পেয়ে অনেক খাবার দোকানের লোকজন গা দেবার ঘটনাও ঘটেছে। যেমনটি ঘটেছে মঙ্গলবার বেইলী রোডে সুলতান ডাইন-এর বেলার। তারা দোকানের সামনে সাময়িক বন্ধ লিখে চলে যায়। ধানমণ্ডি এলাকায়ও একই ঘটনা ঘটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অবহেলায় অনিরাপদ বিনিয়োগ হোটেল ব্যবসায়ীদের

আপডেট সময় : ০৪:১৯:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মার্চ ২০২৪

 

নিরাপদ বিনিয়োগের কথা চিন্তা না করেই ঢাকার অভিজাত আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ভবনে অগণিত খাবার দোকান খুলে ব্যবসা করে আসছিলেন তারা।

কিন্তু তাদের এই বিনিয়োগ কতটুকু নিরাপদ বা কিভাবে নিরাপদ করা যায়, সেই কথাটি বিষয়টি আমলের বাইরে রাখা হয়েছে। কোন একটি খাবার দোকান খুলতে হলে, ট্রেড লাইসেন্স, খাদ্য নির্বাচন ও নিয়ন্ত্রণ আইনের অনুসারে লাইসেন্স, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের লাইসেন্স এবং পণ্য উৎপাদন ও প্যাকেজিং লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।

কিন্তু সিংহভাগ খাবারের দোকানের ক্ষেত্রে দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছেন-যা কিনা বেইলী রোডে বিধ্বংসী আগুনের ঘটনার পর বেড়িয়ে আসতে থাকে। বিনিয়োগের প্রতি মানুষ কতটা উদাসীন হতে পারে, তার প্রমান মেলে বেইলী রোডে আগুনে ৪৬ জনের মৃত্যুর পর।

দেখা গিয়েছে প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করে অনিরাপদভাবেই বিনিযোগ করা হয়েছে। অথচ বিনিয়োগকারীরা জানেন, তাদের ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে কি কি লাইসেন্স প্রয়োজন। যা কিনা পরিষেবার মান ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়তা করে।

বেইলী রোডে পুড়ে যাওয়া ভবন

উদাসীন ও প্রচলিত আইনের প্রতি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে, বিনিয়োগ করেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। যে কারণে ব্যবসায়ীদের কষ্টার্জিত বিনিযোগ এখন নিরাপত্তাহীনতায়। ঢাকার বেইলী রোডের একটি ভবনে, যেখানে ভবনজুড়েই খাবারের দোকান। ২৯ ফেব্রুয়ারি সেই ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু এবং ৭৫জনের মতো আহত হয়।

ভবনটিতে যেসব খাবারের দোকান ছিলো, তাতে কি পরিমাণ বিনিয়োগ ছিলো তা জানা না গেলেও পরিমাণটা মোটা দাগের সেই বিষয়টি সহজেই অনুমান করা যায়।

ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন সংস্থা।
তারা বিভিন্ন ভবনে, বিশেষ করে যেগুলোতে খাবারের দোকান রয়েছে, সেই ভবনগুলোতে অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযান শুরু করেছে বিভিন্ন সংস্থা।

বিভিন্ন আবাসিক এলাকার ভবনে থাকা খাবারের দোকানগুলো নিয়ম মেনে ব্যবসা পরিচালনা করছেন কিনা তা খতিয়ে দেখেন। ফায়ার সার্ভিস ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশন যৌথ অভিযানকালে দেতে পায় অধিকাংশ খাবার দোকানের প্রচলিত আইনের তোয়াক্কা না করেই ব্যবসা পরিচালনা করছে।

অভিযানের খবর পেয়ে অনেক খাবার দোকানের লোকজন গা দেবার ঘটনাও ঘটেছে। যেমনটি ঘটেছে মঙ্গলবার বেইলী রোডে সুলতান ডাইন-এর বেলার। তারা দোকানের সামনে সাময়িক বন্ধ লিখে চলে যায়। ধানমণ্ডি এলাকায়ও একই ঘটনা ঘটে।