ঢাকা ০৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আধুনিক কেবিন ব্লক ও দৃষ্টিনন্দন পানির ফোয়ারা উদ্বোধন Logo ঝিনাইদহে ১০ ও ১৬ মাসে হিফজ সম্পন্ন, দুই শিক্ষার্থী ওমরাহ হজে পাঠাবে মাদ্রাসা Logo গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক Logo কক্সবাজার-৩ আসনে বিএনপির আস্থা লুৎফুর রহমান কাজল Logo উখিয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেফতার Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে স্বাস্থ্য ও পুষ্টি বিষয়ক কর্মশালা Logo মহেশপুরে মোটরসাইকেল ও আলমসাধুর সংঘর্ষে কলেজ ছাত্র নিহত Logo কেশবপুরে বিএনপির প্রার্থী তালিকায় রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ Logo যশোরে তরিকুল ইসলাম স্মরণে সাংবাদিক ইউনিয়নের দোয়া মাহফিল Logo সাদুল্লাপুরে হলুদক্ষেতে বৃদ্ধাকে ধর্ষণ ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

আমরা ক্ষমতায় গেলে পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে : ফখরুল

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেবে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেব। তবে তার আগেও আমরা পুলিশের সংষ্কার চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের লক্ষীরহাট বিদ্যালয় মাঠে গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথসভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর পুলিশ আমাদের উপর অনেক অত্যাচার করেছে। আমাদের একটাই অপরাধ ছিল বিএনপি করা, আমাদের ছেলেদের দাবড়িয়ে নিয়ে বেরিয়েছে এ পুলিশ। তাই ভবিষ্যতে এমনটি যেন আর না হয়, তাই পুলিশের সংস্কারের কথা বলছি আমরা। আমরা এমন রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই যেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করবে বিচার বিভাগ ও প্রশাসন। এছাড়াও আমার নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে অপরাধীরা যে দলেরই হোক, কোন প্রকার অন্যায় করলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করতে হবে।

হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায় নিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, ১৯৪৭ সালে হিন্দু মুসলমান ভাগ করার জন্য ধর্মীয় গোলযোগ তৈরী করা হয়েছিল। আমাদের এখানেও সে পরিকল্পনা করছে পলাতক হাসিনা। ধর্ম নষ্টের তকমা লাগিয়ে গোলমাল লাগিয়ে দেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরী করার চেষ্টা করছে পলাতক হাসিনা ও তার দলের লোকেরা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিনি বলেন, সনাতন ধর্ময়ীয় লোকেরা আওয়ামীলীগের কাছে একদিনের পাগড়ির মত। তারা শুধূ ভোটের দিনই সনাতনীদের ব্যবহার করে আর সংখ্যালঘু তকমা লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে তাদের কাজে লাগাতো। তবে অমরা বলতে চাই, আমরা সবাই যার যার মত রাজনিতি করতে পারি, কিন্তু ক্ষমতায় গেলে আমরা কেনো বিভাজন তৈরী করবোনা।

‘ওরা হিন্দু না মুসলান, ওই জিজ্ঞেসে কোন জন’ কবিতার দুটি লাইন আবৃতি করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের স্বার্থেই হিন্দু মুসলমানকে ভাগ করেছি। অন্য ধর্ম গুলির ক্ষেত্রেও তাই। বচরের পর বছর আমরা এক সাথেই রয়েছি তবুও রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা নিজেরাই এদের ভাগ করছি।  কেউ নৌকা, কেউ ধানের শিষ। সবশেষে মির্জা আলমগীর বলেন,আমরা ধর্মীয় হানাহানি চাইনা, মিথ্যা মামলা চাইনা। আমার ছাত্ররা পড়ার ভালো পরিবেশ চায়, কৃষকরা কৃষির ন্যায্যমূল্য চায়, কোন হানাহানি চায়না। আমরা সে ব্যবস্থই করবো। তাই আমরা অতিদ্রুত একটা জনগণের সরকারের দাবিতে নির্বাচন চাইছি । এসময় তিনি সকল ধর্মের লোকেদের এক হয়ে কাজ করে দেশটাকে গড়ার আহবান জানান ।

এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর বিএনপি সভাপতি আব্দুল হামিদ,সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন সহ দলটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি ওই ইউনিয়নের আরও দুটি স্থানে গণসংযোগে যোগ দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আমরা ক্ষমতায় গেলে পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে : ফখরুল

আপডেট সময় :

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পুলিশ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেবে। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেব। তবে তার আগেও আমরা পুলিশের সংষ্কার চাই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৪ নং বড়গাঁও ইউনিয়নের লক্ষীরহাট বিদ্যালয় মাঠে গণসংযোগ কর্মসূচির অংশ হিসেবে পথসভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, ১৫ বছর পুলিশ আমাদের উপর অনেক অত্যাচার করেছে। আমাদের একটাই অপরাধ ছিল বিএনপি করা, আমাদের ছেলেদের দাবড়িয়ে নিয়ে বেরিয়েছে এ পুলিশ। তাই ভবিষ্যতে এমনটি যেন আর না হয়, তাই পুলিশের সংস্কারের কথা বলছি আমরা। আমরা এমন রাষ্ট্র তৈরি করতে চাই যেখানে স্বাধীনভাবে কাজ করবে বিচার বিভাগ ও প্রশাসন। এছাড়াও আমার নির্দিষ্ট নির্দেশনা দেয়া আছে অপরাধীরা যে দলেরই হোক, কোন প্রকার অন্যায় করলে তাকে আইনের আওতায় নিয়ে বিচার করতে হবে।

হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায় নিয়ে মির্জা আলমগীর বলেন, ১৯৪৭ সালে হিন্দু মুসলমান ভাগ করার জন্য ধর্মীয় গোলযোগ তৈরী করা হয়েছিল। আমাদের এখানেও সে পরিকল্পনা করছে পলাতক হাসিনা। ধর্ম নষ্টের তকমা লাগিয়ে গোলমাল লাগিয়ে দেশে ধর্মীয় ভেদাভেদ তৈরী করার চেষ্টা করছে পলাতক হাসিনা ও তার দলের লোকেরা।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিনি বলেন, সনাতন ধর্ময়ীয় লোকেরা আওয়ামীলীগের কাছে একদিনের পাগড়ির মত। তারা শুধূ ভোটের দিনই সনাতনীদের ব্যবহার করে আর সংখ্যালঘু তকমা লাগিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে তাদের কাজে লাগাতো। তবে অমরা বলতে চাই, আমরা সবাই যার যার মত রাজনিতি করতে পারি, কিন্তু ক্ষমতায় গেলে আমরা কেনো বিভাজন তৈরী করবোনা।

‘ওরা হিন্দু না মুসলান, ওই জিজ্ঞেসে কোন জন’ কবিতার দুটি লাইন আবৃতি করে তিনি বলেন, আমরা আমাদের স্বার্থেই হিন্দু মুসলমানকে ভাগ করেছি। অন্য ধর্ম গুলির ক্ষেত্রেও তাই। বচরের পর বছর আমরা এক সাথেই রয়েছি তবুও রাজনৈতিক স্বার্থে আমরা নিজেরাই এদের ভাগ করছি।  কেউ নৌকা, কেউ ধানের শিষ। সবশেষে মির্জা আলমগীর বলেন,আমরা ধর্মীয় হানাহানি চাইনা, মিথ্যা মামলা চাইনা। আমার ছাত্ররা পড়ার ভালো পরিবেশ চায়, কৃষকরা কৃষির ন্যায্যমূল্য চায়, কোন হানাহানি চায়না। আমরা সে ব্যবস্থই করবো। তাই আমরা অতিদ্রুত একটা জনগণের সরকারের দাবিতে নির্বাচন চাইছি । এসময় তিনি সকল ধর্মের লোকেদের এক হয়ে কাজ করে দেশটাকে গড়ার আহবান জানান ।

এসময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন,যুগ্ন সাধারন সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর বিএনপি সভাপতি আব্দুল হামিদ,সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিন সহ দলটির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তিনি ওই ইউনিয়নের আরও দুটি স্থানে গণসংযোগে যোগ দেন।