ঢাকা ০২:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫

আরো দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিগগির চালু হচ্ছে কার্গো ফ্লাইট

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ১১:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই শুধু এতোদিন কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হতো। ফলে আকাশপথে কার্গো পরিবহনে ব্যবসায়ীদের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য ঢাকায় নিয়ে আসতে হতো। এখন ওই নির্ভরতা দূর হতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো শুরু হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বা সিলেট অঞ্চলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকার পরও আকাশপথে পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীরা ঢাকার ওপর নির্ভরশীল ছিলো। কিন্তু দুই বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালু হলে দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও এর সুফল পাবে। তাতে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহণ খরচ ও সময় কমে আসবে। বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (বেবিচক) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুবিধা না পাওয়ায় দেশে ৮টি কার্গো এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম থাকলেও রপ্তানিকারকরা কার্গোর বড় একটি অংশ প্রসেসিং ও শিপমেন্টের জন্য সড়ক পথে প্রতিবেশী দেশের বিমানবন্দরগুলোয় পাঠায়। তাছাড়া দেশের চেয়ে বাংলাদেশে কার্গো রপ্তানি ফিও বেশি। এখন সরকার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগকে কার্গো ব্যবসায়ীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। সমপ্রতি এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভা করে। তাতে কার্গো রপ্তানির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়।
সূত্র জানায়, সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের বেশ কিছু পণ্যের আদান-প্রদান হয়। খাতুনগঞ্জে সিলেটের অনেক পণ্য আসে। এখন যদি দুটি স্থান থেকেই সরাসরি ফ্লাইট চালু হয় তা হলে সেখানকার ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দু’টি বিভাগের ব্যবসায়ীদেরই অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এ সেবা শুরু হবে। সেবা প্রদানে বিমানবন্দর দুটি সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ইতিমধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ক্যাটাগরি ১ এ উন্নীত হয়েছে। সমপ্রতি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (আইকাও) একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে এ ঘোষণা দেয়। বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইটে পণ্য তোলা-নামা ও তল্লাশির ক্ষেত্রে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ওই দুটি বিমানবন্দর দিয়ে ফ্লাইট চালু হলে পণ্য সরাসরি ইউরোপে যাবে। তাতে একদিকে যেমন ভোগান্তি কমবে, একই সঙ্গে বাড়তি অর্থ খরচের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা দ্রুত পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন।
এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন সাব কমিটির চেয়ারম্যান হিজকিল গুলজার জানান, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইটে সরাসরি পণ্য পরিবহন। ব্যবসায়ীদের ওই দাবি পূরণ হতে চলছে। ওই দু’টি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইটে পণ্য পরিবহন হলে নানা ভোগান্তি থেকে ব্যবসায়ীরা রক্ষা পাবে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া জানান, দ্রুত কার্গো পণ্য রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এরইমধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা ও পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বিষয়ক সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। আশা করা যায় চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কার্গো ফ্লাইট শুরু করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আরো দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শিগগির চালু হচ্ছে কার্গো ফ্লাইট

আপডেট সময় : ১১:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই শুধু এতোদিন কার্গো ফ্লাইট পরিচালিত হতো। ফলে আকাশপথে কার্গো পরিবহনে ব্যবসায়ীদের দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পণ্য ঢাকায় নিয়ে আসতে হতো। এখন ওই নির্ভরতা দূর হতে যাচ্ছে। খুব শিগগিরই সিলেট ও চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্গো শুরু হতে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বা সিলেট অঞ্চলে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থাকার পরও আকাশপথে পণ্য পরিবহনে ব্যবসায়ীরা ঢাকার ওপর নির্ভরশীল ছিলো। কিন্তু দুই বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালু হলে দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলের ব্যবসায়ীরাও এর সুফল পাবে। তাতে ব্যবসায়ীদের পণ্য পরিবহণ খরচ ও সময় কমে আসবে। বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (বেবিচক) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পর্যাপ্ত সুবিধা না পাওয়ায় দেশে ৮টি কার্গো এয়ারলাইন্সের কার্যক্রম থাকলেও রপ্তানিকারকরা কার্গোর বড় একটি অংশ প্রসেসিং ও শিপমেন্টের জন্য সড়ক পথে প্রতিবেশী দেশের বিমানবন্দরগুলোয় পাঠায়। তাছাড়া দেশের চেয়ে বাংলাদেশে কার্গো রপ্তানি ফিও বেশি। এখন সরকার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইট পরিচালনার উদ্যোগকে কার্গো ব্যবসায়ীরা ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। সমপ্রতি এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সভা করে। তাতে কার্গো রপ্তানির জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়।
সূত্র জানায়, সিলেটের সঙ্গে চট্টগ্রামের বেশ কিছু পণ্যের আদান-প্রদান হয়। খাতুনগঞ্জে সিলেটের অনেক পণ্য আসে। এখন যদি দুটি স্থান থেকেই সরাসরি ফ্লাইট চালু হয় তা হলে সেখানকার ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দু’টি বিভাগের ব্যবসায়ীদেরই অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে এ সেবা শুরু হবে। সেবা প্রদানে বিমানবন্দর দুটি সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। ইতিমধ্যে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ক্যাটাগরি ১ এ উন্নীত হয়েছে। সমপ্রতি আন্তর্জাতিক সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষের (আইকাও) একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন করে এ ঘোষণা দেয়। বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইটে পণ্য তোলা-নামা ও তল্লাশির ক্ষেত্রে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ওই দুটি বিমানবন্দর দিয়ে ফ্লাইট চালু হলে পণ্য সরাসরি ইউরোপে যাবে। তাতে একদিকে যেমন ভোগান্তি কমবে, একই সঙ্গে বাড়তি অর্থ খরচের হাত থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা দ্রুত পণ্য রপ্তানি করতে পারবেন।
এদিকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফ্রেইট ফরওয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন সাব কমিটির চেয়ারম্যান হিজকিল গুলজার জানান, ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল সিলেট ও চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে কার্গো ফ্লাইটে সরাসরি পণ্য পরিবহন। ব্যবসায়ীদের ওই দাবি পূরণ হতে চলছে। ওই দু’টি বিমানবন্দর থেকে সরাসরি কার্গো ফ্লাইটে পণ্য পরিবহন হলে নানা ভোগান্তি থেকে ব্যবসায়ীরা রক্ষা পাবে।
অন্যদিকে এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া জানান, দ্রুত কার্গো পণ্য রপ্তানিতে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে চট্টগ্রামের শাহ আমানত ও সিলেটের ওসমানি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়। এরইমধ্যে ফ্লাইট পরিচালনা ও পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বিষয়ক সব কিছুই প্রস্তুত রয়েছে। আশা করা যায় চলতি মাসের শেষে অথবা আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে কার্গো ফ্লাইট শুরু করা হবে।