ঢাকা ০৫:০১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

আলোকবালী ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা

নরসিংদী প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে এক অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখলো নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালীর মানুষ। বিশ্ব যখন আধুনিকতার জয় গানে মুখরিত। ঠিক তখনি এক মধ্যযুগীয় বর্বরতার চোরাবালিতে আটকে ছিলো আলোকবালী ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য। সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, রাজনৈতিক কোন্দল এবং তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটে আসছিলো খুন, হত্যা, চাঁদাবাজি আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ইতিপূর্বে এ এলাকার মানুষ টেঁটা ব্যবহার করে মারামারি করত। বর্তমানে তারা বন্ধুক, পিস্তল এবং অবৈধ ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছিলো। ইতিমধ্যে আলোকবালী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি এড: আসাদুল্লাহ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দিপু, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহŸায়ক মো: শাহআলম চৌধুরী, বহিস্কৃত সদস্য সচিব মো: কাইয়ুম সরকারের দ্বন্ধের কারনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মো: ইদন মিয়া (৬০) নামে এক বিএনপির কর্মী, ১৯ সেপ্টেম্বর ফেরদৌসি বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর সাদেক হোসেন (৪২) নামে এক যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ সকল ঘটনায় আরো অন্তত ২৫-৩০ জন আহত হয়। এ এলাকার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছে ছিলো যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাল দিতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয়েছে। এখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এ সকল খুনের ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। দ্রæত এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধের এবং আধুনিক সভ্যতার এই যুগে আলোকবালীর মানুষের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গতকাল শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে আলোকবালী ইউনিয়নের আইন শৃংখলা ও উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী পুলিশ সুপার মো: মেনহাজুল আলম পিপিএম, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সিনথিয়া হোসেন, নরসিংদী জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহবায়ক দীপক কুমার বর্মন প্রিন্স ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। বক্তাগণ উপস্থিত সর্বস্তরের জনগণকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আজ থেকে আলোকবালীতে কোন অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ এবং বালু লুটেরার স্থান হবেনা। তাদেরকে অতিদ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে। তারা যেকোন দলেরই হউক না কেন তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা। জেলা প্রশাসনের এ মহৎ উদ্যোগটি অভিজ্ঞ মহল এবং এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্থির নিশ্বাস ফিরে এসেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আলোকবালী ইউনিয়নে মতবিনিময় সভা

আপডেট সময় :

স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপে এক অন্ধকার অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে আলোর মুখ দেখলো নরসিংদীর সদর উপজেলার আলোকবালীর মানুষ। বিশ্ব যখন আধুনিকতার জয় গানে মুখরিত। ঠিক তখনি এক মধ্যযুগীয় বর্বরতার চোরাবালিতে আটকে ছিলো আলোকবালী ইউনিয়নের মানুষের ভাগ্য। সদর উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চল আলোকবালীতে আধিপত্য বিস্তার, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন, রাজনৈতিক কোন্দল এবং তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিনিয়ত ঘটে আসছিলো খুন, হত্যা, চাঁদাবাজি আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ইতিপূর্বে এ এলাকার মানুষ টেঁটা ব্যবহার করে মারামারি করত। বর্তমানে তারা বন্ধুক, পিস্তল এবং অবৈধ ভারী আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে এলাকার পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলেছিলো। ইতিমধ্যে আলোকবালী ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি এড: আসাদুল্লাহ, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আ.লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন দিপু, আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির আহŸায়ক মো: শাহআলম চৌধুরী, বহিস্কৃত সদস্য সচিব মো: কাইয়ুম সরকারের দ্বন্ধের কারনে গত ১৮ সেপ্টেম্বর মো: ইদন মিয়া (৬০) নামে এক বিএনপির কর্মী, ১৯ সেপ্টেম্বর ফেরদৌসি বেগম (৩৬) নামে এক গৃহবধূ এবং ২৯ সেপ্টেম্বর সাদেক হোসেন (৪২) নামে এক যুবদল নেতা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এ সকল ঘটনায় আরো অন্তত ২৫-৩০ জন আহত হয়। এ এলাকার পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌছে ছিলো যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাল দিতে অনেকটা হিমশিম খেতে হয়েছে। এখানে একটি পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করেও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। এ সকল খুনের ঘটনায় পুলিশ বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। দ্রæত এ হত্যাযজ্ঞ বন্ধের এবং আধুনিক সভ্যতার এই যুগে আলোকবালীর মানুষের বাঁচার অধিকার নিশ্চিত এবং শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে গতকাল শনিবার সকালে নরসিংদী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আলোকবালী ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে আলোকবালী ইউনিয়নের আইন শৃংখলা ও উন্নয়ন কার্যক্রমসহ সার্বিক বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নরসিংদী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন এর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন মহাসচিব ও নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খায়রুল কবির খোকন, নরসিংদী পুলিশ সুপার মো: মেনহাজুল আলম পিপিএম, নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমা জাহান সরকার, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সিনথিয়া হোসেন, নরসিংদী জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহবায়ক দীপক কুমার বর্মন প্রিন্স ও বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ। বক্তাগণ উপস্থিত সর্বস্তরের জনগণকে আশ্বাস দিয়ে বলেন, আজ থেকে আলোকবালীতে কোন অস্ত্রবাজ, চাঁদাবাজ এবং বালু লুটেরার স্থান হবেনা। তাদেরকে অতিদ্রæত আইনের আওতায় আনা হবে। তারা যেকোন দলেরই হউক না কেন তাদেরকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা। জেলা প্রশাসনের এ মহৎ উদ্যোগটি অভিজ্ঞ মহল এবং এলাকাবাসী সাধুবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্থির নিশ্বাস ফিরে এসেছে।