আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে সুবাস, কারখানায় কারখানায় শ্রমিকদের সরব উপস্থিতি
- আপডেট সময় : ০১:৫৭:৩১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চল ঘিরে শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিলো, তা দূর করতে সক্ষম হয়েছে সরকার ও বিজিএমইএ’র সম্মিলিত প্রচেষ্টায়। মোতায়েন করা হয়েছে, সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ।
মঙ্গলবার বিজিএমইএ’র সিদ্ধান্তের পর বুধবার সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে। শ্রমিকরাও শান্তিপূর্ণভাবে কাজে যোগ দিয়েছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ১৪টি কারখানা এবং ৫টিতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বিজিএমইএ’র দাবি মেনে নিয়ে বুধবার থেকে সব কারখানা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। সকালে অধিকাংশ কারখানা খোলার পর শ্রমিকরা নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগ দিয়ে কাজে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়ার কোথাও কোনও বিক্ষোভের খবর পাওয়া যায়নি। একটি কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশের পর কর্মবিরতি পালন করেছেন। অন্যদিকে, আজও বন্ধ রয়েছে ১৪টি কারখানা।
জিরাবো এলাকার অনন্ত, নরসিংহপুর এলাকার জেনারেশন, জামগড়ার ডেকো গার্মেন্টসসহ ৫টি কারখানায় আর্থিক সমস্যা এবং অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে গেলে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া নরসিংহপুর এলাকার নিট এশিয়া কারখানার ভেতরে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছেন। তারা কারখানার মালিকের কাছ থেকে দাবির বিষয়ে সরাসরি আশ্বাস পাওয়ার জন্য এই বিক্ষোভ পালন করছেন।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইন বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল আলম মিন্টু বলেন, আশুলিয়ার অধিকাংশ কারখানায় শ্রমিকরা কাজে ফিরেছেন। ৪-৫টি কারখানায় শ্রমিক ছাঁটাই ও বকেয়া বেতন নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
সেই কারখানার শ্রমিকদের সেগুলো সুন্দরভাবে অবহিত করার পাশাপাশি দ্রুত আলোচনা করে সমাধান করা এবং বন্ধ থাকা কারখানাগুলো চালু করার দাবি জানান।
আশুলিয়া শিল্পপুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মো. সারোয়ার আলম বলেন, শ্রমিকদের ১৮ দাবি মেনে নেওয়ার পর বুধবার সকাল থেকে অধিকাংশ কারখানা খোলা হয়েছে আশুলিয়ায়। যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে কারখানাগুলোর সামনে সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।