আশুলিয়ায় ময়লা বানিজ্যে পরিবেশ দূষণ জনজীবন অতিষ্ঠ
- আপডেট সময় : ৫১ বার পড়া হয়েছে
ঢাকা জেলার অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শিল্প এলাকা আশুলিয়ায় মহাসড়কের পাশে এবং বিভিন্ন মহল্লায় চলাচলের রাস্তার পাশে পচা ও দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা দিয়ে ভরট করে পরিবেশ দূষণ করে ব্যপক বানিজ্যে মেতে উঠেছে একটি অসৎ চক্র। পচা ও দূর্গন্ধযুক্ত ময়লার গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ।
সরেজমিনে জানাযায়, আশুলিয়া থানার নাকের ডগায় নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ব্রীজের পাশে ফুটপাতে, কাইচাবাড়ী রোড আহাদ নগর এলাকা এবং চক্রবর্তি এলাকায় মহাসড়কের উপরে প্রতিদিন শত শত লড়ী ও ভ্যান গাড়ী ময়লা ফেলা হচ্ছে।
ময়লার উৎস: বিভিন্ন বাসা-বাড়ী ও ভ্যাপজার পচা-গলা খাবার, ট্যাংকির মল ও মাছ-সবজির আড়ৎ এর সকল আবর্জনা।এ সব আবর্জনায় পরিবেশ বিপর্যস্ত হওয়ায় দূর্গন্ধে আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠেছে। অপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার কারণে পরিবেশের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এর ফলে বেড়েই চলছে মশা-মাছির উপদ্রব। হচ্ছে পরিবেশ দূষিত, ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন রোগ-বালাই, হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য।
ঢাকা থেকে উত্তর বঙ্গের প্রায় ২২টি জেলার একমাত্র প্রবেশ পথ নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক।এই মহাসড়ক দিয়ে হাজার হাজার যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ী চলাচল করে থাকে। যাত্রীবাহী গাড়ীতে চলাচল করা যাত্রীগণ জানান, বাইপাইল থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত ময়লার দূর্গন্ধে পেটের অভ্যান্তর পচে গলে যায়। এমন পরিবেশ থেকে মুক্তি চায় সবাই।
পোষাক শ্রমিকসহ প্রতিদিন হাজার হাজার পথিক সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পায়ে হেটে চলে এই পথে।তাদের সবার একই কথা।
এদিকে আশুলিয়া থানার পশ্চিম পাশে রয়েছে আহাদ নগর আবাসিক এলাকা। যেখানে রয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ।রয়েছে মসজিদ মাদ্রাসাসহ আবাসিক বাড়ীঘর। একই পথে চলাচল করে থাকে কাইচাবাড়ী,ডগরতলি,বাসবাড়ীসহ ঐ এলাকার প্রায় লক্ষাধিক সকল পেশার মানুষ। সেই পথে বাতাসের উজানে সোরহাব (৫০) নামে এক অসাধু ব্যক্তি বাসা বাড়ী ও ভ্যাপজার দূর্গন্ধযুক্ত ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষণ করে আসছে। জানাযায়,প্রতিটা ময়লার গাড়ী থেকে মাসে ১০ হতে ১৫ হাজার টাকা ময়লা ফেলানোর জন্য নিয়ে থাকেন। ময়লার দূর্গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পরেছে।সাধারণ মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলে প্রতিমাসে ময়লার গাড়ী থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।এবিষয়ে আইন প্রয়োগকারি সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন এলাকার ভুক্তভুগীরা।

















