আসামির ঘরে পুলিশের ভোজন, সমালোচনার ঝড়

- আপডেট সময় : ৪৩ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর রশিদার ঘোনায় বিস্ফোরক মামলার আসামীর ঘরে চার পুলিশ সদস্যের ভুরিভোজের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় ওঠেছে।
গত শনিবার এ ভুরি ভোজের আয়োজন করেন বিস্ফোরক মামলার এজাহার নামীয় আসামী নূরুল আমিন।
জানা গেছে, নূরুল আমিন ওই এলাকার আব্দুস ছালামের পুত্র। সে ও তার পুত্র আব্দুল্লাহ মোঃ ফরহাদ সদর ঘাট থানার জুলাই বিপ্লবের ঘটনায় বিস্ফোরক দ্রব্য মামলার এজাহার নামীয় আসামী। নুরুল আমিন ওয়ার্ড আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। তার পুত্র ফরহাদ ওয়ার্ড ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক। পিতা- পুত্রের নামে থানায় ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে জানা যায়।
আসামির বাড়িতে পুলিশ সদস্যদের দাওয়াতে খাওয়ার বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। দাওয়াত খেতে যাওয়া পুলিশ সদস্য কনস্টেবল মাহবুব (ডিএসবি) জানান, নূরুল আমিনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল মাঈনুদ্দিনের অনুরোধে থানার আরো তিন পুলিশ সদস্যসহ দাওয়াত খেয়েছি। তাতে সমস্যাটা কোথায়। তাঁর বাড়িতে মামলার আসামি থাকলে আমার দেখার বিষয় না।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম এডিশনাল এসপি (ডিএস বি) জুনায়েদ কাউসার বলেন, বিষয়টি শুনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সচেতন মহল মনে করেন, একজন শীর্ষ অপরাধীর বাড়িতে দাওয়াতের খবার খেয়ে ভালো করেননি পুলিশ সদস্যরা। তাতে পুলিশ পেশার আইন-কানুনকে ও আইনের শাসন কে ভুলন রীনত করেছেন। এদের জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তাদের। রক্ষক যখন ভক্ষকের ভূমিকায় পালন হয় তখনই আইনের শাসন নিমজ্জিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, নুরুল আমিন গং’রা ফ্যাসিট সরকারের আমলে ভোট কেন্দ্রের প্রকাশ্যে গোলাযোগ সহ অসংখ্য মানুষের জায়গা জবরদখল করেছেন। স্থানীয়রা নাম প্রকাশ শর্তে জানান, নুরুল আমিন ২০১৭ সালে তার ছেলেকে দলীয় প্রভাবে অবৈধভাবে পুলিশ বাহিনীতে যোগদানের পর হতে পুলিশ কনস্টেবলের পিতা পরিচয়ে এলাকায় সাধারন মানুষকে প্রতিনিয়ত নাজেহালের শিকার হচ্ছে।