ঢাকা ০২:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

ইমন হত্যা মামলায় গোপালপুর পৌর যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

অলক কুমার, টাঙ্গাইল
  • আপডেট সময় : ১৪৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলায় গোপালপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি টগর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে মির্জাপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার মো. টগর মিয়া (৩৬) টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর পৌর সদরের নন্দনপুর গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতে গোপালপুর উপজেলার নলিন গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে কলেজছাত্র ইমন নিহত হয়। এ ঘটনায় ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও সাবেক ৭ এমপি ও ১৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯।

সেই মামলায় টগর ৬৬ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। ৫ আগস্টের পর গোপনে সৌদিআরব চলে যান টগর। দীর্ঘ ৮ মাস বিদেশে থাকার পর গতকাল শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার টগরকে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইমন হত্যা মামলায় গোপালপুর পৌর যুবলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় :

 

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশ নেওয়া কলেজছাত্র ইমন হত্যা মামলায় গোপালপুর পৌর যুবলীগের সভাপতি টগর মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে মির্জাপুর থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার মো. টগর মিয়া (৩৬) টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর পৌর সদরের নন্দনপুর গ্রামের হাছেন আলীর ছেলে।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই হাইওয়ে থানায় অগ্নিসংযোগ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশের গুলিতে গোপালপুর উপজেলার নলিন গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে কলেজছাত্র ইমন নিহত হয়। এ ঘটনায় ইমনের ভাই সুমন বাদী হয়ে সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ও সাবেক ৭ এমপি ও ১৫৭ জনের নাম উল্লেখসহ ৪০০/৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯।

সেই মামলায় টগর ৬৬ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি। ৫ আগস্টের পর গোপনে সৌদিআরব চলে যান টগর। দীর্ঘ ৮ মাস বিদেশে থাকার পর গতকাল শুক্রবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছালে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেন। পরে খবর পেয়ে মির্জাপুর থানা পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে মির্জাপুর থানায় নিয়ে আসেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দেওহাটা ফাঁড়ির ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার টগরকে ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। আদালতের বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।