ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরে ‘র’নেটওয়ার্ক ফাঁস শীর্ষক প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে প্রতিবাদ লিপি Logo পটুয়াখালী জেলা বিজেপির আহবায়ক শাওন ও সদস্য সচিব রুমী Logo জকসু নির্বাচনসহ ২ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo নওগাঁয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু Logo বছরের সাত মাস পানি বন্ধী বিদ্যালয় তিন যুগ ধরে নৌকায় যাতায়াত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর Logo ঝিনাইগাতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই প্রধান রাস্তায় হাঁটুপানি, দুর্ভোগে পথচারীরা Logo ভান্ডারিয়ায় খাল থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার,পায়ে বাঁধা ছিল ইট Logo রক্তস্নাত মাগুরার ৪ আগস্ট: যেদিন কলমে রক্ত জমেছিল, চোখে জমেছিল মৃত্যুর আলপনা Logo জয়পুরহাটে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে প্রতিবন্ধী মেলা Logo প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে কমছে জমি, গৃহহীন হচ্ছেন হাজারো পরিবার

ইলিশ রপ্তানি না করে ভারতের বাঙালিদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে! বেহিসাবী মন্তব্য কেন?

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ২৪৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ভারতে ইলিশ পাঠানো কি বাংলাদেশের দায়িত্ব? ইলিশ রপ্তানি তো বন্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে ইলিশের দাম চড়া। এ অবস্থায় ইলিশ রপ্তানি করা হলে দাম আরও বেড়ে যাবে। তখন সাধারণ মানুষের পাতে ওঠবে না ইলিশ

পূজার আগে ইলিশ পাঠানো বন্ধ করে ভারতীয় বাঙালিদের মনে বাংলাদেশ আঘাত দিয়েছে বাংলাদেশ! এমন মন্তব্য করেছেন জনৈক লেখিকা ও সাংবাদিক টিনা দাস। এখানের আঘাতের কি দেখলেন টিনা দাস? আর এমন অসম্মানজনক মন্তব্য কি করে করতে পারেন?

টিনা দাস হয়তো জানেন না, ভারত ইচ্ছে মাফিক পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে অধিক মুনাফার লোভে অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ করে প্রতিবেশিকে কিভাবে সংকটে ফেলা হয়। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষকে ইলিশ মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করেতো আর রপ্তানিতে হাত দেওয়া যায় না, তাই নয় কি?

টিনা দাস হয়তো জানেন না বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হয়। ভারতের চেয়ে বেশি জাঁকজমকের সঙ্গে এই উৎসব পালন করে বাংলাদেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। বাংলাদেশের দিলখোলা আতিথেয়তার সঙ্গে হয়তো পরিচয় নেই এই সাংবাদিকের। আর সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত তো বাংলাদেশ। সময়-সুযোগ পেলে একবার ঘুরে যাবেন বাংলাদেশ। তারপর মন্তব্য লিখবেন। চোরাইপথে শ’ শ’ মন ইলিশ ও জামদানি শাড়ি ভারতে পাচার হয়।

তিপান্ন বছরের বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য এবারে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। আর তা হলো পূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে। উদেষ্টা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে আমরাও পূজা উদযাপন করি। আমার দেশের সাধারণ মানুষ পূজায় ইলিশ খাবে। ফলে ভারতে ইলিশ পাঠানো যাবে না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার এই সিদ্ধান্তে দেশের সাধারণ মানুষ যার পর নাই খুশি হয়েছে।

ভারতে ইলিশ পাঠানো কি বাংলাদেশের দায়িত্ব? ইলিশ রপ্তানি তো বন্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে ইলিশের দাম চড়া। এ অবস্থায় ইলিশ রপ্তানি করা হলে দাম আরও বেড়ে যাবে। তখন সাধারণ মানুষের পাতে ওঠবে না ইলিশ।

টিনা দাস লিখেন, দুর্গাপূজার সময় ইলিশ পাঠাতেন হাসিনা। তার ভাষায় ইলিশ কূটনীতি। তার দাবি অন্তর্বর্তী সরকার ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে ভারতের বাঙালিদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে! কারণ পূজার অন্যতম বড় উপকরণ হলো পদ্মার ইলিশ।

‘ভারতের বাঙালিদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে’ বাংলাদেশ। এমন লাগামহীন মন্তব্য কেমন করে করতে পারেন টিনা। এই বেহিসাবী মন্তব্য করা কতটুকু শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে তা তিনিই বুঝে নেবেন।

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইলিশ রপ্তানি না করে ভারতের বাঙালিদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে! বেহিসাবী মন্তব্য কেন?

আপডেট সময় :

 

ভারতে ইলিশ পাঠানো কি বাংলাদেশের দায়িত্ব? ইলিশ রপ্তানি তো বন্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে ইলিশের দাম চড়া। এ অবস্থায় ইলিশ রপ্তানি করা হলে দাম আরও বেড়ে যাবে। তখন সাধারণ মানুষের পাতে ওঠবে না ইলিশ

পূজার আগে ইলিশ পাঠানো বন্ধ করে ভারতীয় বাঙালিদের মনে বাংলাদেশ আঘাত দিয়েছে বাংলাদেশ! এমন মন্তব্য করেছেন জনৈক লেখিকা ও সাংবাদিক টিনা দাস। এখানের আঘাতের কি দেখলেন টিনা দাস? আর এমন অসম্মানজনক মন্তব্য কি করে করতে পারেন?

টিনা দাস হয়তো জানেন না, ভারত ইচ্ছে মাফিক পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে অধিক মুনাফার লোভে অতিরিক্ত দাম নির্ধারণ করে প্রতিবেশিকে কিভাবে সংকটে ফেলা হয়। তাছাড়া বাংলাদেশের মানুষকে ইলিশ মাছের স্বাদ থেকে বঞ্চিত করেতো আর রপ্তানিতে হাত দেওয়া যায় না, তাই নয় কি?

টিনা দাস হয়তো জানেন না বাংলাদেশে পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে বেশি মন্ডপে দুর্গোৎসব উদযাপন হয়। ভারতের চেয়ে বেশি জাঁকজমকের সঙ্গে এই উৎসব পালন করে বাংলাদেশের সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। বাংলাদেশের দিলখোলা আতিথেয়তার সঙ্গে হয়তো পরিচয় নেই এই সাংবাদিকের। আর সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত তো বাংলাদেশ। সময়-সুযোগ পেলে একবার ঘুরে যাবেন বাংলাদেশ। তারপর মন্তব্য লিখবেন। চোরাইপথে শ’ শ’ মন ইলিশ ও জামদানি শাড়ি ভারতে পাচার হয়।

তিপান্ন বছরের বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য এবারে একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকার। আর তা হলো পূজায় ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে। উদেষ্টা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশে আমরাও পূজা উদযাপন করি। আমার দেশের সাধারণ মানুষ পূজায় ইলিশ খাবে। ফলে ভারতে ইলিশ পাঠানো যাবে না। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার এই সিদ্ধান্তে দেশের সাধারণ মানুষ যার পর নাই খুশি হয়েছে।

ভারতে ইলিশ পাঠানো কি বাংলাদেশের দায়িত্ব? ইলিশ রপ্তানি তো বন্ধ। বর্তমানে বাংলাদেশে ইলিশের দাম চড়া। এ অবস্থায় ইলিশ রপ্তানি করা হলে দাম আরও বেড়ে যাবে। তখন সাধারণ মানুষের পাতে ওঠবে না ইলিশ।

টিনা দাস লিখেন, দুর্গাপূজার সময় ইলিশ পাঠাতেন হাসিনা। তার ভাষায় ইলিশ কূটনীতি। তার দাবি অন্তর্বর্তী সরকার ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করে ভারতের বাঙালিদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে! কারণ পূজার অন্যতম বড় উপকরণ হলো পদ্মার ইলিশ।

‘ভারতের বাঙালিদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করেছে’ বাংলাদেশ। এমন লাগামহীন মন্তব্য কেমন করে করতে পারেন টিনা। এই বেহিসাবী মন্তব্য করা কতটুকু শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে তা তিনিই বুঝে নেবেন।