ঢাকা ০৭:৪৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫

ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসলামী ব্যাংকে এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগকৃত অদক্ষ কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে ছাটায় এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবীতে কেশবপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ইসলামী ব্যাংকের কেশবপুর উপজেলা শাখার গ্রাহকরা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় যশোরের কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সামনে মেইন রোডে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে কেশবপুর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গণ, ইসলামী ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহক গণ , বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তি গণ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংক লুটেরা ও মাফিয়া এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগকৃত অদক্ষ কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে ছাটায়ের জোর দাবী জানান উপস্থিত ব্যবসায়ী ও গ্রাহক গণ।এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে একটি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দখলে নেয়। তার আমলে ব্যাংকটিতে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ কর্মীই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার। তাদের মধ্যেও একটা বড় অংশ সাইফুল আলমের (এস আলম) নিজ উপজেলা পটিয়ার। এজন্য ব্যাংকটিকে সে সময় কটাক্ষ করে পটিয়া ব্যাংকও বলতেন কেউ কেউ।অভিযোগ রয়েছে, এস আলমের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতে বক্সের বায়োডাটা সংগ্রহ করা হতো। পরীক্ষা ছাড়াই দেওয়া হতো নিয়োগ। তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হতো কোনো ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা ছাড়াই।
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতনের পর ব্যাংকের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব হারায় এস আলম গ্রুপ। এরপর থেকে তার সময়ে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া পাঁচ হাজার ৩৮৫ জন কর্মকর্তার যোগ্যতা ও দক্ষতা মূল্যায়নের উদ্যোগ নেয় এক সময়ের দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংকটি। এজন্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জন গপরীক্ষায় অংশ নেন। বাকিরা অংশ গ্রহণ করেনি।
ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি মালিকানাধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান বিধায় এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দেশের প্রচলিত আইন, বিধিবিধান ও নিয়োগের শর্ত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং যেহেতু চাকরি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মদক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকের লাভ-লোকসান বহুলাংশে জড়িত, সেহেতু ব্যাংক স্বাধীনভাবে দেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা গ্রহণ এবং চাকরিতে কাউকে রাখা বা না রাখার বিষয় ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত।ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সারা বাংলাদেশ থেকে যোগ্যতার মূল্যায়ন পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। মানববন্ধনে বক্তরা উক্ত বিষয় গুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেশবপুর পৌর শাখার আমির জাকির হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ফারুকুজ্জামান, মনিরুল ইসলাম, প্রভাষক মোঃ আবু জাফর প্রমূখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ইসলামী ব্যাংকে অবৈধ নিয়োগ বাতিল করে মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন

আপডেট সময় :

ইসলামী ব্যাংকে এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগকৃত অদক্ষ কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে ছাটায় এবং মেধাভিত্তিক নিয়োগের দাবীতে কেশবপুরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন ইসলামী ব্যাংকের কেশবপুর উপজেলা শাখার গ্রাহকরা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় যশোরের কেশবপুর নিউজ ক্লাবের সামনে মেইন রোডে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে কেশবপুর উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গণ, ইসলামী ব্যাংকের সাধারণ গ্রাহক গণ , বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যাক্তি গণ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ব্যাংক লুটেরা ও মাফিয়া এস আলম কর্তৃক অবৈধভাবে নিয়োগকৃত অদক্ষ কর্মকর্তাদের অনতিবিলম্বে ছাটায়ের জোর দাবী জানান উপস্থিত ব্যবসায়ী ও গ্রাহক গণ।এস আলম গ্রুপ ২০১৭ সালে একটি রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দখলে নেয়। তার আমলে ব্যাংকটিতে নিয়োগ পাওয়া বেশির ভাগ কর্মীই চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার। তাদের মধ্যেও একটা বড় অংশ সাইফুল আলমের (এস আলম) নিজ উপজেলা পটিয়ার। এজন্য ব্যাংকটিকে সে সময় কটাক্ষ করে পটিয়া ব্যাংকও বলতেন কেউ কেউ।অভিযোগ রয়েছে, এস আলমের পছন্দের লোকদের নিয়োগ দিতে বক্সের বায়োডাটা সংগ্রহ করা হতো। পরীক্ষা ছাড়াই দেওয়া হতো নিয়োগ। তবে পুরো প্রক্রিয়া সম্পাদন করা হতো কোনো ধরনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা ছাড়াই।
৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগের পতনের পর ব্যাংকের একচ্ছত্র কর্তৃত্ব হারায় এস আলম গ্রুপ। এরপর থেকে তার সময়ে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া পাঁচ হাজার ৩৮৫ জন কর্মকর্তার যোগ্যতা ও দক্ষতা মূল্যায়নের উদ্যোগ নেয় এক সময়ের দেশের বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংকটি। এজন্য গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) মাধ্যমে মূল্যায়ন পরীক্ষার আয়োজন করে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে এর মধ্যে মাত্র ৪১৪ জন গপরীক্ষায় অংশ নেন। বাকিরা অংশ গ্রহণ করেনি।
ইসলামী ব্যাংক একটি বেসরকারি মালিকানাধীন লাভজনক প্রতিষ্ঠান বিধায় এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি দেশের প্রচলিত আইন, বিধিবিধান ও নিয়োগের শর্ত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং যেহেতু চাকরি এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মদক্ষতার সঙ্গে ব্যাংকের লাভ-লোকসান বহুলাংশে জড়িত, সেহেতু ব্যাংক স্বাধীনভাবে দেশের আইন ও বিধিবিধান মেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, বিশেষ যোগ্যতা মূল্যায়ন পরীক্ষা গ্রহণ এবং চাকরিতে কাউকে রাখা বা না রাখার বিষয় ব্যাংকের নিজস্ব এখতিয়ারভুক্ত।ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সারা বাংলাদেশ থেকে যোগ্যতার মূল্যায়ন পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। মানববন্ধনে বক্তরা উক্ত বিষয় গুলোর উপর গুরুত্ব দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেশবপুর পৌর শাখার আমির জাকির হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ ফারুকুজ্জামান, মনিরুল ইসলাম, প্রভাষক মোঃ আবু জাফর প্রমূখ।