উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে দাউদকান্দিতে অবৈধভাবে গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ
- আপডেট সময় : ১০০ বার পড়া হয়েছে
কুমিল্লার দাউদকান্দির মোহাম্মদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের দরাজখোলা গ্রামের সমাজ সেবক মো. মনজুরুল আলম ভূঁইয়া তার নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমার গ্রামের দক্ষিণ পাশে ১৬ ফিট মরা খালে ৭২ ফিট লম্বা ব্রিজ করা হচ্ছে । এতে সরকার আমার জমি অধিগ্রহণ না করেই আমার জমি অংশসহ জোরপূর্বক দখল করিয়া অবৈধভাবে ব্রিজের কাজ করিতেছে । এতে করে সরকারি অর্থ অপচয়, কৃষকদের জমির ক্ষতি এবং ৫০ বছরের পুরাতন কবরস্থানের রাস্তা বন্ধ হবার কারণে আমি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করি । তারই ধারাবাহিকতায় ১৯/১১/২০২৩ইং তারিখ একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদানের করা হয়, এরপর সাময়িক কাজ বন্ধ করে প্রকল্প পরিচালক এসে ব্রিজটিকে নিচু করা হবে এবং কোনভাবে আমাদের জমিনের ভেতরে ঢুকবে না বলে আশ্বাস দিয়ে কাজ শুরু করে, পরবর্তীতে ২৮/১১/২০২৩ইং তারিখে দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট সরকারের দপ্তরের তৎকালীন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, এসিল্যান্ড, সার্ভেয়ার সরজমিনে ০৮ ফুট পাকা রাস্থা থাকলেও যোগসাজশে রির্পোটে লেখে ২২ ফুট পাকা রাস্তা। এভাবে একের পর এক সরকারের উপজেলা, জেলা এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে ছোটাছুটির পর কোন প্রতিকার না পেয়ে আদালতে শরণাপন্ন হই। মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন করায় হাইকোর্ট এ কাজের স্থিতিবস্হা আদেশ প্রদান করেন এবং ঠিকাদার মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ সোহেল সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের যোগসাজশে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ অমান্য করে কাজ চলমান রাখায় মহামান্য হাইকোর্ট কোর্ট কনটেম আদেশ প্রদান করেন। তারপর ঠিকাদার ক্ষিপ্ত হয়ে হাইকোর্টের দেয়া দুইটি সাইনবোর্ড তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভেঙে ফেলে এবং আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় । তিনি আরো বলেন আমরা ব্রিজ চাই তবে ছোট আকারের ব্রিজ । তিনি উপদেষ্টা মহোদয়ের নিকট আবেদন করে বলেন নিরপেক্ষ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে সরজমিনের তদন্ত-পূর্বক জনগণের সম্পদ কৃষি জমি নষ্ট ও ৫০ বছরের কবরস্থানে রাস্তা বন্ধ, বাড়ি ঘরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করে গার্ডার ব্রিজের নির্মাণের সাথে জড়িত দুর্নীতিবাজদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানান তিনি ।



















