ঢাকা ০৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

এক বছরে প্রতিকেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ১০০ টাকা

আমিনুল হক ভূইয়া
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪ ৩০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেশি পেঁয়াজের বর্তমান দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭১.৪২ শতাংশ বেশি

রমজানের আগেই ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ

এ বছর ভরা মৌসুমে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরী হাকিয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (১ মার্চ) ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ গত বছর একই সময়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ছিলো ৩৫ টাকা।

টিসিবির তথ্য বলছে, দেশি পেঁয়াজের বর্তমান দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭১.৪২ শতাংশ বেশি।

অবশেষে ভারতে থেকে আমদানি করা হচ্ছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
চলতি সপ্তাহ থেকেই পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। শনিবার (২ মার্চ) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এতথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

গত বছর ৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্টস লিমিটেড (এনসিইএল)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ (এইচএস কোড ০৭০৩১০১৯-এর অধীনে) রপ্তানির অনুমোদন দেয়।

 

পবিত্র রমজান শুরুর আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। যে হেতু রমজান মাসে ভোক্তাদের বেশি দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে না হয়, সেহেতু অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজও আমদানি করা হচ্ছে।

বছরে বাংলাদেশে মোট পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৮ লাখ মেট্রিক টন। গত অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ৩৬ লাখ টনের কাছাকাছি। কিন্তু পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের পরও রক্ষাণা-বেক্ষণের অভাবে প্রায় ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে থাকে। একারণে প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয় এবং এর সিংহভাগ তথা ৯০ শতাংশ আসে ভারত থেকে।

অবশ্য মধ্য মার্চ থেকে স্থানীয়ভাবে পুরোদমে হালি পেঁয়াজ ওঠতে শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ কিনছেন ভোক্তারা। তাছাড়া বর্তমানে আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এক বছরে প্রতিকেজি পেঁয়াজে দাম বেড়েছে ১০০ টাকা

আপডেট সময় : ০৮:৩৮:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ মার্চ ২০২৪

 

দেশি পেঁয়াজের বর্তমান দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭১.৪২ শতাংশ বেশি

রমজানের আগেই ভারত থেকে আমদানি হচ্ছে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ

এ বছর ভরা মৌসুমে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম সেঞ্চুরী হাকিয়েছে। বর্তমানে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা দরে। টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার (১ মার্চ) ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকায় বিক্রি হয়। অথচ গত বছর একই সময়ে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ছিলো ৩৫ টাকা।

টিসিবির তথ্য বলছে, দেশি পেঁয়াজের বর্তমান দাম গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭১.৪২ শতাংশ বেশি।

অবশেষে ভারতে থেকে আমদানি করা হচ্ছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ।
চলতি সপ্তাহ থেকেই পেঁয়াজ আসা শুরু হবে। শনিবার (২ মার্চ) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে এতথ্য জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

গত বছর ৭ ডিসেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্টস লিমিটেড (এনসিইএল)-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ (এইচএস কোড ০৭০৩১০১৯-এর অধীনে) রপ্তানির অনুমোদন দেয়।

 

পবিত্র রমজান শুরুর আগেই ভারত থেকে পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসার কথা রয়েছে। যে হেতু রমজান মাসে ভোক্তাদের বেশি দামে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে না হয়, সেহেতু অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজও আমদানি করা হচ্ছে।

বছরে বাংলাদেশে মোট পেঁয়াজের চাহিদা ২৫ থেকে ২৮ লাখ মেট্রিক টন। গত অর্থবছরে পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ৩৬ লাখ টনের কাছাকাছি। কিন্তু পেঁয়াজের বাম্পার ফলনের পরও রক্ষাণা-বেক্ষণের অভাবে প্রায় ৪০ শতাংশ পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে থাকে। একারণে প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি হয় এবং এর সিংহভাগ তথা ৯০ শতাংশ আসে ভারত থেকে।

অবশ্য মধ্য মার্চ থেকে স্থানীয়ভাবে পুরোদমে হালি পেঁয়াজ ওঠতে শুরু করবে। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ কিনছেন ভোক্তারা। তাছাড়া বর্তমানে আমদানি ব্যয়ও বেড়েছে।