ঢাকা ০৬:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

এবার গাজাবাসীর বেদনা বুঝবে ইসরায়েলিরা?

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ২৯৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলে ইরানের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন, গুঁড়িয়ে গেছে একাধিক ভবন ও স্থাপনা। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের চিত্র অনেকেই গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত দৃশ্যের সঙ্গে তুলনা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলের কয়েকটি শহরে হওয়া হামলায় বেশ কিছু ভবন সম্পূর্ণ ধসে গেছে, ধুলোর কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা, হতভম্ব বাসিন্দারা খালি চোখে তাকিয়ে রয়েছেন ধ্বংসস্তূপের দিকে, অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে।
নেটিজেনরা বলছেন, ইসরায়েল যেভাবে গাজা উপত্যকার ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল, এখন অনেক ইসরায়েলিই হয়তো প্রথমবারের মতো বুঝতে পারছে কীভাবে ঘর হারানো, নিরাপত্তাহীনতা ও আশ্রয়হীনতার তীব্র অভিজ্ঞতা একজন সাধারণ মানুষের কাছে জীবনের অর্থটাই পাল্টে দিতে পারে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশি। এছাড়া, নিখোঁজ রয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ, যাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধরে নেওয়া হয়। জাতিসংঘের হিসাব বলছে, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার অন্তত ১৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের অনেকে বহুবার স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে।
এখন, ইরানি হামলার পর ইসরায়েলের কিছু শহরে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়ছে আতঙ্কিত নাগরিকদের ভিড়। তারা এখন দিন কাটাচ্ছেন অনিশ্চয়তায় ভরা এক অচেনা জীবনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই গাজার ধ্বংসাবশেষ আর এখনকার ইসরায়েলি শহরের ছবিগুলোর পাশে পাশে মিলিয়ে দিচ্ছেন। একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক লিখেছেন, বাচ্চারা যখন ধুলোমাখা খালি ভবনের মধ্যে কাঁদে, তখনই যুদ্ধ বাস্তব মনে হয়। গাজার শিশুদের কান্না কি এখন ইসরায়েলের নাগরিকরা শুনতে পাচ্ছেন?

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

এবার গাজাবাসীর বেদনা বুঝবে ইসরায়েলিরা?

আপডেট সময় :

ইসরায়েলে ইরানের সাম্প্রতিক পাল্টা হামলায় এ পর্যন্ত অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন, গুঁড়িয়ে গেছে একাধিক ভবন ও স্থাপনা। সেখানে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার ফলে সৃষ্ট ধ্বংসস্তূপের চিত্র অনেকেই গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত দৃশ্যের সঙ্গে তুলনা করছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, ইসরায়েলের কয়েকটি শহরে হওয়া হামলায় বেশ কিছু ভবন সম্পূর্ণ ধসে গেছে, ধুলোর কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো এলাকা, হতভম্ব বাসিন্দারা খালি চোখে তাকিয়ে রয়েছেন ধ্বংসস্তূপের দিকে, অনেকেই আশ্রয় নিয়েছেন ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে।
নেটিজেনরা বলছেন, ইসরায়েল যেভাবে গাজা উপত্যকার ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছিল, এখন অনেক ইসরায়েলিই হয়তো প্রথমবারের মতো বুঝতে পারছে কীভাবে ঘর হারানো, নিরাপত্তাহীনতা ও আশ্রয়হীনতার তীব্র অভিজ্ঞতা একজন সাধারণ মানুষের কাছে জীবনের অর্থটাই পাল্টে দিতে পারে।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় শুরু হওয়া ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনে এ পর্যন্ত অন্তত ৫৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ১ লাখ ২৬ হাজারের বেশি। এছাড়া, নিখোঁজ রয়েছেন আরও হাজার হাজার মানুষ, যাদের জীবিত থাকার সম্ভাবনা নেই বলেই ধরে নেওয়া হয়। জাতিসংঘের হিসাব বলছে, চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার অন্তত ১৮ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যাদের অনেকে বহুবার স্থানান্তরিত হতে বাধ্য হয়েছে।
এখন, ইরানি হামলার পর ইসরায়েলের কিছু শহরে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়ছে আতঙ্কিত নাগরিকদের ভিড়। তারা এখন দিন কাটাচ্ছেন অনিশ্চয়তায় ভরা এক অচেনা জীবনে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই গাজার ধ্বংসাবশেষ আর এখনকার ইসরায়েলি শহরের ছবিগুলোর পাশে পাশে মিলিয়ে দিচ্ছেন। একজন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক লিখেছেন, বাচ্চারা যখন ধুলোমাখা খালি ভবনের মধ্যে কাঁদে, তখনই যুদ্ধ বাস্তব মনে হয়। গাজার শিশুদের কান্না কি এখন ইসরায়েলের নাগরিকরা শুনতে পাচ্ছেন?