ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
- আপডেট সময় : ১১:০১:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ২৮৭ বার পড়া হয়েছে
জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
আজ বৃহস্পতিবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার তৎকালীন ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
জনসমুদ্রে দাড়িয়ে সেই ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ডাক দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলার সর্বস্তরের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান।
বজ্রকণ্ঠে বলেন, তোমাদের যা কি আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবেলা করো। সেদিন রেসকোর্স ময়দানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো মানুষের সমাবেশ ঘটে। কার্যত ঢাকা সেদিন পরিণত হয় গণমানুষের নগরীতে।
প্রায় ১০ লাখ জনস্রোতে ভেসে গিয়ে বঙ্গবন্ধু তার বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো ইনশাআল্লাহ
‘এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম
এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’
দিনটি উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান এরপর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমে প্রধানমন্ত্রী এবং পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয় ধানমন্ডির ৩২ নম্বর।
এই ভাষণ শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলিলই নয়, জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় বিধানের সম্ভাবনাও তৈরি করে। বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণের আহ্বানেই মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে সাড়ে কোটি বাঙালি। ৭ই মার্চের ভাষণ আজ হেরিটেজ।
দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালনের জন্য আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। বিকাল ৪ টায় ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে (তেজগাঁও) আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।