ঢাকা ০৭:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

কক্সবাজারের ভারুয়াখালিতে  মসজিদের জায়গা দ’খলের অ’ভিযোগ

এস এম হুমায়ুন কবির, কক্সবাজার  
  • আপডেট সময় : ০৪:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫ ২১৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ভারুয়াখালী মধ্যম ননামিয়া পাড়া মরহুম আলহাজ্ব হাজী চাঁদ মিয়া (সও) জামে মসজিদের ১৬.৫ শতক জমি দখলে নিতে মরিয়া স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক চোরাকারবারি বোদা মিয়ার ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা একেরাম ও ভারুযাখালী ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সাদ্দাম গং
কক্সবাজার সদর উপজেলার অন্তর্গত ভারুয়াখালী মৌজার  মধ্যম ননামিয়া পাড়া জামে মসজিদের  গত ৩০ বছরে দখলে থাকা জমি (দলিল নং ২৬১৬, তারিখ : ০৯/০৯/১৯৯০ ইং) জোরপূর্বক স্থানীয় সন্ত্রাসী একেরাম – সাদ্দামের নেতৃত্বে তাদের ভাই নবাব মিয়া, ছৈয়দ করিম, নাজির হোসেনের ছেলে আবুল বশর, ইদ্রিসের ছেলে মোহাম্মদ নাগু মিয়া (প্রকাশ নাইগ্গা), নাগু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহেদ, মৃত নুরুল হকের ছেলে সাদ্দাম, ছৈয়দুল হক ও তার ছেলে সৈয়দ নুর সহ স্থানীয় ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী বন্ধুক, দা-কিরিচ ও ধারালো অস্ত্র- শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মসজিদ কমিটি, মুসল্লী এবং এলাকাবাসীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জায়গা দখলে নিতে চেষ্টা করলে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। মসজিদ কমিটি এবং এলাকাবাসী তাদের বাঁধা দিলে তাদের মেরে লাশ গুমের হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের হুমকি ধমকিতে নিরুপায় হয় মসজিদ কমিটির সভাপতি জনাব ফোরকান আহমদ গত ২৪ মে ২০২৫ খ্রি. কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে  কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এস আই নুরুল আমিন  ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক গোলাম কাদের, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আরিফ এবং ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. শাহ আলমকে দায়িত্ব দেন।
পরবর্তীতে গত ১০ জুন তাঁরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ থেকে বিচারের রায় মানার শর্তে স্টাম্প নিয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ সার্ভেয়ার আব্বাস ও শাহজানের মাধ্যমে জমি পরিমাপ করে মসজিদের জমির সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করে দেন। অপর ১০২/০৬ ইং মামলায় আদালতের চুড়ান্ত রায় অনুযায়ী আরএস ৬০২৪ দাগের উত্তর পাশের ১৬.৫ শতক জমি  মসজিদের পক্ষে (২১ নং বিবাদী মধ্যম ননামিয়া পাড়া জামে মসজিদ কমিটির পক্ষে মোতওয়াল্লী মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুছ পিতা মরহুম আলহাজ্ব চাঁদ মিয়া) এবং ঐ জমির সাথে লাগোয়া দক্ষিণ পাশের জমি মামলার বাদী আব্দু শুক্কুর (প্রকাশ কল শুক্কুরের) কে রায় দেন। শুক্কুর থেকে একেরাম গং জমি কিনে থাকলে তারা জমি পাবে শুক্কুরের অংশ থেকে। এক্ষেত্রে মসজিদের জমিতে দখলে যাওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই কিন্তু তারা আদালতের রায় ও থানা থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকের রায় অমান্য করে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়ে আবারও জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে এবং মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
বিষয়টি পুনরায় থানায় অবহিত করলে এস আই নুরুল আমিন  এ বিষয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, এলাকার সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি একেরাম- সাদ্দাম গংকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনলে তাদের কাছে এলাকার নিরীহ মানুষ হুমকির মুখে পড়বে এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয়  জানান, একেরাম ও সাদ্দাম বেকারী ব্যবসার আড়ালে  গর্জনিযা, নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাকারবারি করে রাতারাতি  বিপুল টাকার মালিক হয়ে গেছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য একেরাম এবং সাদ্দামকে কল দিলে রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজারের ভারুয়াখালিতে  মসজিদের জায়গা দ’খলের অ’ভিযোগ

আপডেট সময় : ০৪:১৭:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
ভারুয়াখালী মধ্যম ননামিয়া পাড়া মরহুম আলহাজ্ব হাজী চাঁদ মিয়া (সও) জামে মসজিদের ১৬.৫ শতক জমি দখলে নিতে মরিয়া স্থানীয় সন্ত্রাসী ও মাদক চোরাকারবারি বোদা মিয়ার ছেলে স্থানীয় যুবলীগ নেতা একেরাম ও ভারুযাখালী ৮নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি সাদ্দাম গং
কক্সবাজার সদর উপজেলার অন্তর্গত ভারুয়াখালী মৌজার  মধ্যম ননামিয়া পাড়া জামে মসজিদের  গত ৩০ বছরে দখলে থাকা জমি (দলিল নং ২৬১৬, তারিখ : ০৯/০৯/১৯৯০ ইং) জোরপূর্বক স্থানীয় সন্ত্রাসী একেরাম – সাদ্দামের নেতৃত্বে তাদের ভাই নবাব মিয়া, ছৈয়দ করিম, নাজির হোসেনের ছেলে আবুল বশর, ইদ্রিসের ছেলে মোহাম্মদ নাগু মিয়া (প্রকাশ নাইগ্গা), নাগু মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ জাহেদ, মৃত নুরুল হকের ছেলে সাদ্দাম, ছৈয়দুল হক ও তার ছেলে সৈয়দ নুর সহ স্থানীয় ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী বন্ধুক, দা-কিরিচ ও ধারালো অস্ত্র- শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মসজিদ কমিটি, মুসল্লী এবং এলাকাবাসীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে জায়গা দখলে নিতে চেষ্টা করলে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করে। মসজিদ কমিটি এবং এলাকাবাসী তাদের বাঁধা দিলে তাদের মেরে লাশ গুমের হুমকি দেয়।
পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের হুমকি ধমকিতে নিরুপায় হয় মসজিদ কমিটির সভাপতি জনাব ফোরকান আহমদ গত ২৪ মে ২০২৫ খ্রি. কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে  কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং এস আই নুরুল আমিন  ঘটনাটি মীমাংসা করার জন্য কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক গোলাম কাদের, ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. আরিফ এবং ভারুয়াখালী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. শাহ আলমকে দায়িত্ব দেন।
পরবর্তীতে গত ১০ জুন তাঁরা স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষ থেকে বিচারের রায় মানার শর্তে স্টাম্প নিয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ সার্ভেয়ার আব্বাস ও শাহজানের মাধ্যমে জমি পরিমাপ করে মসজিদের জমির সীমানা প্রাচীর নির্ধারণ করে দেন। অপর ১০২/০৬ ইং মামলায় আদালতের চুড়ান্ত রায় অনুযায়ী আরএস ৬০২৪ দাগের উত্তর পাশের ১৬.৫ শতক জমি  মসজিদের পক্ষে (২১ নং বিবাদী মধ্যম ননামিয়া পাড়া জামে মসজিদ কমিটির পক্ষে মোতওয়াল্লী মৌলভী মোহাম্মদ ইউনুছ পিতা মরহুম আলহাজ্ব চাঁদ মিয়া) এবং ঐ জমির সাথে লাগোয়া দক্ষিণ পাশের জমি মামলার বাদী আব্দু শুক্কুর (প্রকাশ কল শুক্কুরের) কে রায় দেন। শুক্কুর থেকে একেরাম গং জমি কিনে থাকলে তারা জমি পাবে শুক্কুরের অংশ থেকে। এক্ষেত্রে মসজিদের জমিতে দখলে যাওয়ার এখতিয়ার তাদের নেই কিন্তু তারা আদালতের রায় ও থানা থেকে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারকের রায় অমান্য করে সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়ে আবারও জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে এবং মসজিদ কমিটি ও মুসল্লিদের হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে।
বিষয়টি পুনরায় থানায় অবহিত করলে এস আই নুরুল আমিন  এ বিষয়ে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।
স্থানীয় সচেতন মহল জানান, এলাকার সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি একেরাম- সাদ্দাম গংকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনলে তাদের কাছে এলাকার নিরীহ মানুষ হুমকির মুখে পড়বে এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয়  জানান, একেরাম ও সাদ্দাম বেকারী ব্যবসার আড়ালে  গর্জনিযা, নাইক্ষ্যংছড়ি দিয়ে সীমান্ত এলাকায় মাদক চোরাকারবারি করে রাতারাতি  বিপুল টাকার মালিক হয়ে গেছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানার জন্য একেরাম এবং সাদ্দামকে কল দিলে রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।