সংবাদ শিরোনাম ::
কলেজ ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও প্রচার করে ফেনীতে কথিত জুলাই আন্দোলনের নেত্রী গ্রেপ্তার

এম এ রহমান দুলাল ভুইয়া ফেনী জেলা প্রতিনিধি
- আপডেট সময় : ০২:৪১:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ২৯ বার পড়া হয়েছে
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কলেজ ছাত্রীর অশ্লীল ভিডিও প্রচার করে, ফেনীতে কথিত জুলাই আন্দোলনের নেত্রী গ্রেপ্তার হয়েছে । এই নেএীর বিগত সময়ে ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মরহুম আবদুর রহমানের এক সভায় দেশনেত্রী ফেনীর মেয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে কটুক্তি কারী ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে । সরকার পরিবর্তন আন্দোলনের সাথে সাথে ওনি জামাত শিবিরের ছএছায়ায় অনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে রাতারাতি জুলাই আন্দোলন নেএী বনে গেছেন ।
ঘটনার আর্কশ্মিকতায় এবং ফেনী কলেজের এক ছাত্রীর (২২) অশ্লীল ভিডিও ধারন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করায় ঐ ছাএী বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় পর্নগ্রাফি আইনে অভিযোগ দায়ের করলে । ফেনী সদর মডেল থানার পুলিশ জুলাই আন্দোলনের এক নেত্রীকে গ্রেপ্তার করেছে । ১০ এপ্রিল,- ২০২৫ ইং বৃহষ্পতিবার সকালে শহরের পাঠানবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ভুক্তভোগীর দায়ের করা পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ফেনী সদর মডেল থানার পরিদর্শক ইকবাল হোসেন ওসি ( তদন্ত) জানিয়েছেন ।
ঘটনার বিবরনে জানাগেছে, নোয়াখালীর জেলার কবিরহাট উপজেলার এক ছাত্রী (২২) ফেনীর কথিত জুলাই আন্দোলনের নেত্রী মাহবুবা তাবাচ্ছুম ইমার (২২) সাথে শহরের পাঠান বাড়ি এলাকার পাঠান হাউজে ভাড়া থাকতেন। গত ২১ জানুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী ঘুমিয়ে পড়লে এবং বিভিন্ন কৌশলে ওই ছাত্রীর কিছু ভিডিও ধারণ করে ইমা ও তার বন্ধু আদিল মাহমুদ আসিফ (২৩) এবং জামিল হোসেন চয়ন (২২)। ধারণকৃত ভিডিওগুলো অশ্লীলভাবে এডিট করে তারা পরষ্পর যোগসাজশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন।
এসব ভিডিও নজরে আসলে ভুক্তভোগী ছাত্রী বাদি হয়ে এই তিনজনের বিরুদ্ধে ফেনী থানায় পর্নোগ্রাফি আইনের ৮(২), ৮(৩), ও ৮(৭) ধারায় মামলা করেন। আসামিগণ হলেন, ফুলগাজীর আনন্দপুর গ্রামের আবদুল কাদের এর মেয়ে ও ফেনীর জুলাই আন্দোলনের কথিত নেত্রী মাহবুবা তাবাচ্ছুম ইমা, ফেনীর পূর্ব উকিল পাড়ার আবদুস ছাত্তারের ছেলে আদিল মাহমুদ আসিফ এবং ফুলগাজীর শ্রী চন্দ্রপুর গ্রামের কাজি বেলাল হোসেনের ছেলে জামিল হোসেন চয়ন।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, শহরের পাঠানবাড়ী এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে ইমাকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এজাহারনামীয় অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।