ঢাকা ০১:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৫ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিমান বাহিনীর অভ্যন্তরে ‘র’নেটওয়ার্ক ফাঁস শীর্ষক প্রতিবেদনে বিভ্রান্তিকর তথ্য সম্পর্কে প্রতিবাদ লিপি Logo পটুয়াখালী জেলা বিজেপির আহবায়ক শাওন ও সদস্য সচিব রুমী Logo জকসু নির্বাচনসহ ২ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি Logo নওগাঁয় বর্ণাঢ্য আয়োজনে সপ্তাহব্যাপী বৃক্ষ মেলা শুরু Logo বছরের সাত মাস পানি বন্ধী বিদ্যালয় তিন যুগ ধরে নৌকায় যাতায়াত শিক্ষক-শিক্ষার্থীর Logo ঝিনাইগাতীতে সামান্য বৃষ্টিতেই প্রধান রাস্তায় হাঁটুপানি, দুর্ভোগে পথচারীরা Logo ভান্ডারিয়ায় খাল থেকে যুবকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার,পায়ে বাঁধা ছিল ইট Logo রক্তস্নাত মাগুরার ৪ আগস্ট: যেদিন কলমে রক্ত জমেছিল, চোখে জমেছিল মৃত্যুর আলপনা Logo জয়পুরহাটে গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূতি উপলক্ষে প্রতিবন্ধী মেলা Logo প্রতিবছর নদী ভাঙ্গনে কমছে জমি, গৃহহীন হচ্ছেন হাজারো পরিবার

কানাডায় অপরাধে সমর্থন দিচ্ছে ভারত, অভিযোগ ট্রুডোর

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কানাডায় সহিংসতাসহ অপরাধ কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিচ্ছে ভারত সরকার। এমন অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সোমবার তিনি এ অভিযোগ তোলেন। খবর আরটির।

 

এর আগে, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ দাবি করে, ভারত সরকারের এজেন্টরা হত্যাসহ ‘ব্যাপক সহিংসতা’য় জড়িত। তাদের কর্মকাণ্ড ‘জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’।

২০২৩ সালের জুনে কানাডার ভ্যানকুভার শহরতলীতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার তদন্ত চালায় অটোয়া। এসব অভিযোগ সেই তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

গত বছর ট্রুডো কোনো প্রমাণ দেওয়া ছাড়াই অভিযোগ করেন, ভারত এ হত্যায় জড়িত। তবে নয়াদিল্লি অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করে এবং এ অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য কানাডাকে প্রমাণ দিতে বলে।

কানাডিয়ান পুলিশের অভিযোগ তোলার পর নয়াদিল্লি ও অটোয়া উভয়ই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ‘খুব বিবেচনার সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল। ’ পুলিশ ‘পর্যাপ্ত, স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করার পরই ছয় ব্যক্তিকে নিজ্জর হত্যা মামলায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ’

সোমবার রাতের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, এটি স্পষ্ট যে ভারত সরকার কানাডায় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারে ভেবে ভুল করেছে।

তিনি বলেন, কোনো দেশ, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশ, যেটি আইনের শাসনকে মূল্য দেয়, সেটি সার্বভৌমত্বের এমন মৌলিক লঙ্ঘন মেনে নিতে পারে না।

এর আগে নয়াদিল্লি অভিযোগ করে, ট্রুডো-নেতৃত্বাধীন সরকার ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতের বদনাম করার ইচ্ছাকৃত কৌশল’ অবলম্বন করছে। নয়াদিল্লি আরও বলে, তারা নিজেদের কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করবে। কারণ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অটোয়ার প্রতিশ্রুতিতে ‘বিশ্বাস’ নেই।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে যে, ভারত সরকার দৃঢ়ভাবে এসব অযৌক্তিক অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। এগুলো ট্রুডোর রাজনৈতিক এজেন্ডা, যা ভোট ব্যাংকের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা।

‘ট্রুডো সরকার সচেতনভাবে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিক ও সম্প্রদায়ের নেতাদের হয়রানি, হুমকি এবং ভয় দেখানোর জন্য সহিংস চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের জায়গা দিচ্ছে। ’

গত বছর নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকা নিয়ে ট্রুডোর মন্তব্যের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে যেতে থাকে। কানাডায় ১৮ লাখ ভারতীয় রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিখ জনগোষ্ঠী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কানাডায় অপরাধে সমর্থন দিচ্ছে ভারত, অভিযোগ ট্রুডোর

আপডেট সময় :

 

কানাডায় সহিংসতাসহ অপরাধ কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিচ্ছে ভারত সরকার। এমন অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সোমবার তিনি এ অভিযোগ তোলেন। খবর আরটির।

 

এর আগে, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ দাবি করে, ভারত সরকারের এজেন্টরা হত্যাসহ ‘ব্যাপক সহিংসতা’য় জড়িত। তাদের কর্মকাণ্ড ‘জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’।

২০২৩ সালের জুনে কানাডার ভ্যানকুভার শহরতলীতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার তদন্ত চালায় অটোয়া। এসব অভিযোগ সেই তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

গত বছর ট্রুডো কোনো প্রমাণ দেওয়া ছাড়াই অভিযোগ করেন, ভারত এ হত্যায় জড়িত। তবে নয়াদিল্লি অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করে এবং এ অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য কানাডাকে প্রমাণ দিতে বলে।

কানাডিয়ান পুলিশের অভিযোগ তোলার পর নয়াদিল্লি ও অটোয়া উভয়ই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ‘খুব বিবেচনার সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল। ’ পুলিশ ‘পর্যাপ্ত, স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করার পরই ছয় ব্যক্তিকে নিজ্জর হত্যা মামলায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ’

সোমবার রাতের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, এটি স্পষ্ট যে ভারত সরকার কানাডায় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারে ভেবে ভুল করেছে।

তিনি বলেন, কোনো দেশ, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশ, যেটি আইনের শাসনকে মূল্য দেয়, সেটি সার্বভৌমত্বের এমন মৌলিক লঙ্ঘন মেনে নিতে পারে না।

এর আগে নয়াদিল্লি অভিযোগ করে, ট্রুডো-নেতৃত্বাধীন সরকার ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতের বদনাম করার ইচ্ছাকৃত কৌশল’ অবলম্বন করছে। নয়াদিল্লি আরও বলে, তারা নিজেদের কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করবে। কারণ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অটোয়ার প্রতিশ্রুতিতে ‘বিশ্বাস’ নেই।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে যে, ভারত সরকার দৃঢ়ভাবে এসব অযৌক্তিক অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। এগুলো ট্রুডোর রাজনৈতিক এজেন্ডা, যা ভোট ব্যাংকের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা।

‘ট্রুডো সরকার সচেতনভাবে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিক ও সম্প্রদায়ের নেতাদের হয়রানি, হুমকি এবং ভয় দেখানোর জন্য সহিংস চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের জায়গা দিচ্ছে। ’

গত বছর নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকা নিয়ে ট্রুডোর মন্তব্যের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে যেতে থাকে। কানাডায় ১৮ লাখ ভারতীয় রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিখ জনগোষ্ঠী।