ঢাকা ০৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কালীগঞ্জে বোস জুয়েলার্সে দুর্ধর্ষ  চুরি Logo পলাশবাড়ীতে জামায়াত নেতা সাংবাদিক বাবু আবারও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পেলেন Logo ৫১ একরের দখল মুক্ত করতে কক্সবাজারের ডিসিকে ফোন করেছি : বন উপদেষ্টা Logo ডিমলায় এজাহার নামিয় আসামিরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করছে না পুলিশ  Logo কোম্পানীগঞ্জে মামলা করে বাদী বাড়ী ছাড়া, নিরাপত্তা চেয়ে থানায় আবারও অভিযোগ Logo সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতীতে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় মদসহ দুটি গরু জব্দ Logo মুক্তাগাছায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের লেসন লার্নেড ওয়ার্কশপ Logo মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে বাগেরহাটে মানববন্ধন Logo উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশ নাটোর জেলা শাখার কাউন্সিল Logo পাথরঘাটায় সামাজিক সম্প্রীতি শিক্ষনীয় বিষয় নাটক অনুষ্ঠিত

কালীগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস টাকা ছাড়া কাজ করে না

নজরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ
  • আপডেট সময় : ০২:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে টাকা না দিলে শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন কাজের ফাইল কোনো কারণ ছাড়াই আটকে রাখা হয়। উপজেলায় কর্মরত মাধ্যমিক  শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি এবং এমপিওর বিভিন্ন সংশোধনী, আপার স্কেল, বিএড স্কেল, টাইম স্কেলসহ বিভিন্ন কাজের কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তর অনলাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করে থাকে । মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ব্যক্তিগতভাবে অর্থ আদায়ের জন্য নানা অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের মাসের পর মাস হয়রানি করেই চলেছেন। উক্ত অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মকসেদুল আলমের মাধ্যমে  শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে ১ হাজার থেকে ৫  হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়ে থাকেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছু  একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন । একজন ভুক্তভোগী উপজেলা রামচন্দ্রপুর গ্রামে অবস্থিত নতুন বাজার সম্মিলিত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এই প্রতিবেদককে বলেন, এমপিওভুক্ত’র জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে ফরওয়ার্ডিং করার কথা থাকলেও তা না করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
কাজের অগ্রগতির বিষয়ে রমজান মাসের প্রথম দিকে  খোঁজখবর নিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয় গেলে ওই অফিসের অফিস সহায়ক  মকসেদুল আলম মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নাম করে দ্রুত অনলাইনে ফাইল পাঠানোর জন্য ৫ হাজার টাকা ঘুষ চান। ওই সময় পুরো টাকা কাছে না থাকায় প্রথমে ২ হাজার ৫০০  পরবর্তীতে ২ হাজার সর্বমোট ৪ হাজার ৫০০ টাকা আমি তাকে দেই। তখন থেকে আজ অব্দি ঘুষ নিয়েও আমার কাজটি না করে বারবার ঘুরাচ্ছে। মুখে কিছু বলছে না হয়তো আরো কিছু টাকা তারা প্রত্যাশা করে। অফিসে গেলে কিংবা ফোন দিলে ফাইল ছেড়ে দিচ্ছি বা দেবো এমন কথা বলে কিন্তু কাজের কাজ কিছু করে না। বর্তমানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যেকোনো কাজে উৎকোচ হিসেবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, এই দুর্নীতিপরায়ন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল এ অফিসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাপকভাবে হয়রানি ও অনলাইনে ফাইল নড়াতে অর্থ গ্রহণের প্রচলন শুরু করেছেন।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মকসেদুল আলম শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,  শিক্ষকরা আমার নামে মিথ্যাচার করছেন।ফাইল ছাড়ার বিষয় মাধ্যমিক স্যার দেখাশোনা করেন। এখানে আমার কোনো কাজ নেই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান,আমাকে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
আমি কাজের জন্য কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। অফিসের পিয়ন তো আর কাজ করে না, তাহলে শিক্ষক কর্মচারীরা তার নিকট কেন টাকা দিচ্ছে?  ব্যাপারটা আমি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও হয়রানির  ব্যাপারে বলেন,অফিসের যেকোনো কাজের ব্যাপারে উৎকোচ গ্রহণ কিংবা হয়রানির কোন সুযোগ নেই। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের বলব অতিরিক্ত টাকা চাইলে কিংবা হয়রানি করলে সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কালীগঞ্জে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস টাকা ছাড়া কাজ করে না

আপডেট সময় : ০২:০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে টাকা না দিলে শিক্ষক কর্মচারীদের বিভিন্ন কাজের ফাইল কোনো কারণ ছাড়াই আটকে রাখা হয়। উপজেলায় কর্মরত মাধ্যমিক  শিক্ষক কর্মচারীদের ইএফটি এবং এমপিওর বিভিন্ন সংশোধনী, আপার স্কেল, বিএড স্কেল, টাইম স্কেলসহ বিভিন্ন কাজের কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তর অনলাইনের মাধ্যমে প্রেরণ করে থাকে । মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ব্যক্তিগতভাবে অর্থ আদায়ের জন্য নানা অজুহাত দেখিয়ে শিক্ষক কর্মচারীদের মাসের পর মাস হয়রানি করেই চলেছেন। উক্ত অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী মকসেদুল আলমের মাধ্যমে  শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে ১ হাজার থেকে ৫  হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নিয়ে থাকেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছু  একাধিক শিক্ষক অভিযোগ করেন । একজন ভুক্তভোগী উপজেলা রামচন্দ্রপুর গ্রামে অবস্থিত নতুন বাজার সম্মিলিত নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর কৃষি শিক্ষা বিষয়ের শিক্ষক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এই প্রতিবেদককে বলেন, এমপিওভুক্ত’র জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলাম। আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে ফরওয়ার্ডিং করার কথা থাকলেও তা না করে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।
কাজের অগ্রগতির বিষয়ে রমজান মাসের প্রথম দিকে  খোঁজখবর নিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয় গেলে ওই অফিসের অফিস সহায়ক  মকসেদুল আলম মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নাম করে দ্রুত অনলাইনে ফাইল পাঠানোর জন্য ৫ হাজার টাকা ঘুষ চান। ওই সময় পুরো টাকা কাছে না থাকায় প্রথমে ২ হাজার ৫০০  পরবর্তীতে ২ হাজার সর্বমোট ৪ হাজার ৫০০ টাকা আমি তাকে দেই। তখন থেকে আজ অব্দি ঘুষ নিয়েও আমার কাজটি না করে বারবার ঘুরাচ্ছে। মুখে কিছু বলছে না হয়তো আরো কিছু টাকা তারা প্রত্যাশা করে। অফিসে গেলে কিংবা ফোন দিলে ফাইল ছেড়ে দিচ্ছি বা দেবো এমন কথা বলে কিন্তু কাজের কাজ কিছু করে না। বর্তমানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যেকোনো কাজে উৎকোচ হিসেবে অর্থ আদায় করা হচ্ছে। সাধারণ শিক্ষক কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, এই দুর্নীতিপরায়ন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল এ অফিসের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে শিক্ষক-কর্মচারীদের ব্যাপকভাবে হয়রানি ও অনলাইনে ফাইল নড়াতে অর্থ গ্রহণের প্রচলন শুরু করেছেন।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অফিস সহায়ক মকসেদুল আলম শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন,  শিক্ষকরা আমার নামে মিথ্যাচার করছেন।ফাইল ছাড়ার বিষয় মাধ্যমিক স্যার দেখাশোনা করেন। এখানে আমার কোনো কাজ নেই। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা দীনেশ চন্দ্র পাল (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জানান,আমাকে নিয়ে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার করা হচ্ছে।
আমি কাজের জন্য কারো কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। অফিসের পিয়ন তো আর কাজ করে না, তাহলে শিক্ষক কর্মচারীরা তার নিকট কেন টাকা দিচ্ছে?  ব্যাপারটা আমি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান উপজেলা মাধ্যমিক অফিসের অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও হয়রানির  ব্যাপারে বলেন,অফিসের যেকোনো কাজের ব্যাপারে উৎকোচ গ্রহণ কিংবা হয়রানির কোন সুযোগ নেই। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের বলব অতিরিক্ত টাকা চাইলে কিংবা হয়রানি করলে সরাসরি আমার সাথে যোগাযোগ করবেন। উপজেলা মাধ্যমিক অফিসে কারো বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।