ঢাকা ০৮:১১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ, বিপাকে সাধারণ যাত্রী Logo ডামুড্যায় টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত Logo গোবিন্দগঞ্জে অপহরনকৃত মেয়েকে উদ্ধার ও জড়িতদের গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo কেশবপুরে কুটির শিল্পের নতুন দিগন্ত খায়রুল আনাম Logo সোনাগাজীতে একের পর এক চুরি-ডাকাতি, অভিযোগে করেও মামলা হয় না Logo বিশ্বনাথে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান Logo নোয়াখালী জজ কোর্টের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে আসামির পালানোর চেষ্টা Logo ‘বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণার্থীদের হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারের সাথে মতবিনিময়’ Logo লাশ পোড়ানো অগ্নিসংযোগ ও জখম মামলায় আব্দুল লতিফ মোল্লাসহ ১৮জন গ্রেপ্তার Logo ঝিনাইগাতীর ৯ গ্রামের ভাগ্যচিত্র বদলে দিতে পারে এক ব্রীজে

কুমিল্লায় আদালত প্রাঙ্গণে পকেটমার বলে বাদীর ওপর হামলা করেছে আসামি পক্ষ

মহিউদ্দিন আকাশ, কুমিল্লা
  • আপডেট সময় : ২৪৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লায় আদালত প্রাঙ্গণে পকেটমার বলে বাদীর ওপর হামলা করেছে আসামি পক্ষের লোকজন। আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসায় বাদীর ওপর দলবল নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় আসামিরা। আজ সকাল ১১টায় কুমিল্লা আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আসামি পক্ষের হামলায় বাদী সুমন (২২) মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাকে কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন উপস্থিত লোকজন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন হোমনার শ্রীমতীর গনি মিয়ার ছেলে আবদুল মতিন (৫৬) ও আবদুল খালেক সাদ্দাম হোসেন (২৯) ।

জানা যায়, সুমনের বাবাকে বাড়িতে মারধর করার মামলায় দুই নাম্বার আসামি আবদুল মতিন। আর সুমনের মায়ের ওপর হামলার মামলায় তিন নাম্বার আসামি তিনি । কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার শ্রীমতী গ্রামের দৌলত মিয়ার ছেলে সুমন আহম্মেদ (২২) ও মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার(২১) দুজন দুই মামলার বাদী। আজকে তাদের মামলার শুনানি ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলাকে কেন্দ্র করে বাদীর পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে আসামিরা। কোনো বিচার না পেয়ে প্লেকার্ড হাতে নিয়ে আদালতের সামনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। আজ মামলার সাক্ষী হিসেবে আদালতে আসে তারা। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি পক্ষের লোকজন আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করতে থাকে। বাদী সুমন ও তার বোন ইয়াসমিন আদালতে প্রবেশ করতে গেলে সুমনকে পকেটমার বলে মারধর শুরু করে আসামি পক্ষের লোকজন। উপস্থিত লোকজন প্রথমে পকেটমার মনে করলেও পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী জামাল হোসেন বলেন, পকেটমার বলে সুমনকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে আমরা সিএনজিতে করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাদী ইয়াসমিন আক্তার (২১) বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কোনো বিচার পাচ্ছি না। তাই আজ প্লেকার্ড নিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার সময় আদালত প্রাঙ্গণে আসামি পক্ষের ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী আমার ভাইকে পকেটমার বলে মারধর শুরু করে। আসামিরা আমাদের বাড়িতে সারা বছর অত্যাচার করে। এখন আদালতেও আমার ভাইকে মারলো। আমরা কি কোথাও বিচার পাবো না?

কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার এস আই সালাউদ্দিন খাঁন বলেন, বাদীর ওপর হামলা করায় লোকজন দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আসামিদের কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাচ্ছি । আবদুল মতিনের নামে হোমনা থানায় মামলা রয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কুমিল্লায় আদালত প্রাঙ্গণে পকেটমার বলে বাদীর ওপর হামলা করেছে আসামি পক্ষ

আপডেট সময় :

কুমিল্লায় আদালত প্রাঙ্গণে পকেটমার বলে বাদীর ওপর হামলা করেছে আসামি পক্ষের লোকজন। আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসায় বাদীর ওপর দলবল নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় আসামিরা। আজ সকাল ১১টায় কুমিল্লা আদালতের চিফ জুডিসিয়াল ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। আসামি পক্ষের হামলায় বাদী সুমন (২২) মারাত্মক আহত হলে স্থানীয়রা তাকে কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠায়। এ ঘটনায় জড়িত দুইজনকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন উপস্থিত লোকজন।
আটক ব্যক্তিরা হলেন হোমনার শ্রীমতীর গনি মিয়ার ছেলে আবদুল মতিন (৫৬) ও আবদুল খালেক সাদ্দাম হোসেন (২৯) ।

জানা যায়, সুমনের বাবাকে বাড়িতে মারধর করার মামলায় দুই নাম্বার আসামি আবদুল মতিন। আর সুমনের মায়ের ওপর হামলার মামলায় তিন নাম্বার আসামি তিনি । কুমিল্লা জেলার হোমনা থানার শ্রীমতী গ্রামের দৌলত মিয়ার ছেলে সুমন আহম্মেদ (২২) ও মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার(২১) দুজন দুই মামলার বাদী। আজকে তাদের মামলার শুনানি ছিল। দীর্ঘদিন ধরে চলমান মামলাকে কেন্দ্র করে বাদীর পরিবারের ওপর অত্যাচার করে আসছে আসামিরা। কোনো বিচার না পেয়ে প্লেকার্ড হাতে নিয়ে আদালতের সামনে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় তারা। আজ মামলার সাক্ষী হিসেবে আদালতে আসে তারা। বিষয়টি জানতে পেরে আসামি পক্ষের লোকজন আদালত প্রাঙ্গণে অপেক্ষা করতে থাকে। বাদী সুমন ও তার বোন ইয়াসমিন আদালতে প্রবেশ করতে গেলে সুমনকে পকেটমার বলে মারধর শুরু করে আসামি পক্ষের লোকজন। উপস্থিত লোকজন প্রথমে পকেটমার মনে করলেও পরে বিষয়টি বুঝতে পেরে সুমনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুমনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।

প্রত্যক্ষদর্শী জামাল হোসেন বলেন, পকেটমার বলে সুমনকে ব্যাপক মারধর করা হয়। পরে আমরা সিএনজিতে করে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাদী ইয়াসমিন আক্তার (২১) বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে কোনো বিচার পাচ্ছি না। তাই আজ প্লেকার্ড নিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসার সময় আদালত প্রাঙ্গণে আসামি পক্ষের ১৫-১৬ জন সন্ত্রাসী আমার ভাইকে পকেটমার বলে মারধর শুরু করে। আসামিরা আমাদের বাড়িতে সারা বছর অত্যাচার করে। এখন আদালতেও আমার ভাইকে মারলো। আমরা কি কোথাও বিচার পাবো না?

কুমিল্লা কোতোয়ালী মডেল থানার এস আই সালাউদ্দিন খাঁন বলেন, বাদীর ওপর হামলা করায় লোকজন দুইজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। আসামিদের কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যাচ্ছি । আবদুল মতিনের নামে হোমনা থানায় মামলা রয়েছে। লিখিত অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।