ঢাকা ০৬:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

কূটনৈতিক সমাধানই সর্বোত্তম

ডেস্ক রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫ ৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরাইল-ইরান সংঘর্ষে কূটনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি গতকাল রোববার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এক ফোন কলে বলেন, ইরানের বিষয়ে কূটনীতিই শেষ পর্যন্ত সর্বোত্তম, তবে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো থেকে বিরত থাকেন তিনি। কানানাস্কিস থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়, ভন ডার লিয়েন বলেন, তিনি টেলিফোনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে একমত হন যে, ‘ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিৎ নয়, তা প্রশ্নাতিত।
এদিকে কানাডার কানানাস্কিসে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি মনে করি, দীর্ঘমেয়াদে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানই সর্বোত্তম।’ ইসরাইল গত শুক্রবার ইরানের উপর আকস্মিক ও বিশাল সামরিক আক্রমণ শুরু করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান।
গাজায় ইসরাইলের হামলার সমালোচনা করেন ভন ডার লিয়েন। নতুন সংঘাতের জন্য ইরানকে দায়ী করেন তিনি। সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা (ইরান) তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলছে না। ভন ডার লিয়েন বলেন, এই প্রেক্ষাপটে, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ইরান আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস। তিনি ধর্মীয় নেতা-শাসিত তেহরানের রাশিয়ার কাছে বিক্রি করা ড্রোনের হামলার আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার উল্লেখ করে বলেন, জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইরান সংকট নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘একই ধরনের ইরানি-নকশায় তৈরি ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন ও ইসরাইলের শহরগুলোয় নির্বিচারে আঘাত হানছে। তাই, এই হুমকিগুলো এক সঙ্গে মোকাবেলা করা দরকার। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান আন্তোনিও কস্তা, তার পাশে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘কূটনীতির জন্য জায়গা দেওয়ার’ এবং “ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর সুযোগ দেওয়ার’ সময় এসেছে।এদিকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা- আইএইএ)-এর বাধ্যবাধকতার প্রতিক্রিয়ায় ইরান বলেছে যে তারা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বৃদ্ধি করবে, যদিও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পর্যায়ে নয়। ইসরাইলের পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে ব্যাপকভাবে জানা গেলেও তারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কূটনৈতিক সমাধানই সর্বোত্তম

আপডেট সময় : ১০:২৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫

ইসরাইল-ইরান সংঘর্ষে কূটনৈতিক সমাধানের উপর জোর দিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের সভাপতি উরসুলা ভন ডার লিয়েন। তিনি গতকাল রোববার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে এক ফোন কলে বলেন, ইরানের বিষয়ে কূটনীতিই শেষ পর্যন্ত সর্বোত্তম, তবে তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো থেকে বিরত থাকেন তিনি। কানানাস্কিস থেকে এএফপি এ তথ্য জানায়, ভন ডার লিয়েন বলেন, তিনি টেলিফোনে নেতানিয়াহুর সঙ্গে একমত হন যে, ‘ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকা উচিৎ নয়, তা প্রশ্নাতিত।
এদিকে কানাডার কানানাস্কিসে জি-৭ শীর্ষ সম্মেলনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি মনে করি, দীর্ঘমেয়াদে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানই সর্বোত্তম।’ ইসরাইল গত শুক্রবার ইরানের উপর আকস্মিক ও বিশাল সামরিক আক্রমণ শুরু করে, যার প্রতিক্রিয়ায় ইসরাইলের উপর ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান।
গাজায় ইসরাইলের হামলার সমালোচনা করেন ভন ডার লিয়েন। নতুন সংঘাতের জন্য ইরানকে দায়ী করেন তিনি। সপ্তাহের শুরুতে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থার সিদ্ধান্তের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তারা (ইরান) তাদের বাধ্যবাধকতা মেনে চলছে না। ভন ডার লিয়েন বলেন, এই প্রেক্ষাপটে, ইসরাইলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। ইরান আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতার প্রধান উৎস। তিনি ধর্মীয় নেতা-শাসিত তেহরানের রাশিয়ার কাছে বিক্রি করা ড্রোনের হামলার আঘাতপ্রাপ্ত হওয়ার উল্লেখ করে বলেন, জি ৭ শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইরান সংকট নিয়ে আলোচনা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘একই ধরনের ইরানি-নকশায় তৈরি ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেন ও ইসরাইলের শহরগুলোয় নির্বিচারে আঘাত হানছে। তাই, এই হুমকিগুলো এক সঙ্গে মোকাবেলা করা দরকার। ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান আন্তোনিও কস্তা, তার পাশে বক্তৃতাকালে বলেন, ‘কূটনীতির জন্য জায়গা দেওয়ার’ এবং “ইসরাইল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা কমানোর সুযোগ দেওয়ার’ সময় এসেছে।এদিকে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষণ সংস্থা (আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা- আইএইএ)-এর বাধ্যবাধকতার প্রতিক্রিয়ায় ইরান বলেছে যে তারা সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বৃদ্ধি করবে, যদিও পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির পর্যায়ে নয়। ইসরাইলের পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে ব্যাপকভাবে জানা গেলেও তারা প্রকাশ্যে তা স্বীকার করে না।