ঢাকা ০১:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

কথিত নেতার কাণ্ড

কৃষকের সার-বীজ নিয়ে লুকোচুরি

দেলোয়ার হোসেন রশিদী লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম)
  • আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কৃষকের সার বীজ নিয়ে লুকোচুরির বিস্তর অভিযোগ উঠছে কথিত কৃষক দলের ইউনিয়ন সেক্রেটারি বিরুদ্ধে। বিষয়টি সত্যাটা পাওয়ার গেছে চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কৃষি অধিদপ্তরে। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলা আধুনগর রশিদের ঘোনা ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুন, পিতা তরিকত উল্লাহ। সে নিজেকেই আধুনগর ইউনিয়নের কৃষক দলের সেক্রেটারী বলে দাবি করেন।
সুত্রে মতে, গত ২৬ জুন দিন ব্যাপি উপজেলা ৯টি ইউনিয়নের হত দরিদ্র কৃষকদের মাঝে প্রতিবছরের মত এই বছরে সার বীজ প্রদান করেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। ঐদিন বিতরন কালে আধুনগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গ্রুপ ভিত্তিক কৃষক ও তাদের প্রতিনিধিগনকে সার-বীজ দেওয়া হয়। ওই সময়ে কৃষক দলের কথিত এক নেতার গ্রুপে কৃষকের নামের লিস্ট প্রদান করেন। তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কমকর্তা ঐ কথিত নেতার লিস্ট ছিড়ে ফেলে দেয়। এমনই সময়ে উপস্থিত কৃষক লোকদের মাঝে গুঞ্জন ও কানাঘুষা চলতে থাকে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ২৪ সালে বোরো মৌসুমে সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি কৃষক দলের ইউনিয়ন সেক্রেটারি পরিচয়ে এলাকার হত দরিদ্র ১৫জন কৃষকের নামেই সার বীজ নিয়ে লুকোচুরি ঘটনা গড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লোকজনের মাঝে জানাজানি হলেই কৃষি কমকর্তা তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এব্যাপারে কৃষক দল নেতা জহির জানান, হারুন নামের ব্যক্তির কুকর্মের কারণে আমরা নানাবিধ বেকায়দায় আছি। তিনি আরো জানান, আমরা রাজনৈতিক করি জনগণের সেবার জন্য, ব্যাবসার জন্য নয়।
এলাকায় একাধিক বিএনপির নেতা কর্মী জানান, হারুনের কর্মকান্ডের কারণে দলের ক্ষতি হচ্ছে। তিনি মুলত বিএনপিকে ভালোবেসে দলে আসেনি সে, তার পরিবারে বিপরীত রাজনৈতিক অপকর্মকে ডাল হিসেবে থাকতে দল করছে।
দেখা গেছে, রশিদের ঘোনা তার এলাকায় বিভিন্ন মোডে দোকানের সামনে তার সেক্রেটারি পরিচয়ে ব্যানার পোস্টারে টাঙ্গিয়েছে। দেখে সেই একজন বধির লোক মনে হয়। এ বিষয়ে হারুনের সাথে মোটো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইউনিয়ন সেক্রেটারি ঠিক আছে। তবে সার বীজ চুরি বিষয়টি সঠিক নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কথিত নেতার কাণ্ড

কৃষকের সার-বীজ নিয়ে লুকোচুরি

আপডেট সময় :

কৃষকের সার বীজ নিয়ে লুকোচুরির বিস্তর অভিযোগ উঠছে কথিত কৃষক দলের ইউনিয়ন সেক্রেটারি বিরুদ্ধে। বিষয়টি সত্যাটা পাওয়ার গেছে চট্টগ্রাম লোহাগাড়া কৃষি অধিদপ্তরে। অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলা আধুনগর রশিদের ঘোনা ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হারুন, পিতা তরিকত উল্লাহ। সে নিজেকেই আধুনগর ইউনিয়নের কৃষক দলের সেক্রেটারী বলে দাবি করেন।
সুত্রে মতে, গত ২৬ জুন দিন ব্যাপি উপজেলা ৯টি ইউনিয়নের হত দরিদ্র কৃষকদের মাঝে প্রতিবছরের মত এই বছরে সার বীজ প্রদান করেন উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। ঐদিন বিতরন কালে আধুনগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গ্রুপ ভিত্তিক কৃষক ও তাদের প্রতিনিধিগনকে সার-বীজ দেওয়া হয়। ওই সময়ে কৃষক দলের কথিত এক নেতার গ্রুপে কৃষকের নামের লিস্ট প্রদান করেন। তখন দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষি কমকর্তা ঐ কথিত নেতার লিস্ট ছিড়ে ফেলে দেয়। এমনই সময়ে উপস্থিত কৃষক লোকদের মাঝে গুঞ্জন ও কানাঘুষা চলতে থাকে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ২৪ সালে বোরো মৌসুমে সময় অভিযুক্ত ব্যক্তি কৃষক দলের ইউনিয়ন সেক্রেটারি পরিচয়ে এলাকার হত দরিদ্র ১৫জন কৃষকের নামেই সার বীজ নিয়ে লুকোচুরি ঘটনা গড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে লোকজনের মাঝে জানাজানি হলেই কৃষি কমকর্তা তদন্তে সত্যতা নিশ্চিত করেন।
এব্যাপারে কৃষক দল নেতা জহির জানান, হারুন নামের ব্যক্তির কুকর্মের কারণে আমরা নানাবিধ বেকায়দায় আছি। তিনি আরো জানান, আমরা রাজনৈতিক করি জনগণের সেবার জন্য, ব্যাবসার জন্য নয়।
এলাকায় একাধিক বিএনপির নেতা কর্মী জানান, হারুনের কর্মকান্ডের কারণে দলের ক্ষতি হচ্ছে। তিনি মুলত বিএনপিকে ভালোবেসে দলে আসেনি সে, তার পরিবারে বিপরীত রাজনৈতিক অপকর্মকে ডাল হিসেবে থাকতে দল করছে।
দেখা গেছে, রশিদের ঘোনা তার এলাকায় বিভিন্ন মোডে দোকানের সামনে তার সেক্রেটারি পরিচয়ে ব্যানার পোস্টারে টাঙ্গিয়েছে। দেখে সেই একজন বধির লোক মনে হয়। এ বিষয়ে হারুনের সাথে মোটো ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ইউনিয়ন সেক্রেটারি ঠিক আছে। তবে সার বীজ চুরি বিষয়টি সঠিক নয়।