ঢাকা ০৮:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

কে হচ্ছে ডাকসু ভিপি…

মহিউদ্দিন তুষার
  • আপডেট সময় : ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের রাজনীতির আঁতুড়ঘর বলা হয়। এখানে গড়ে উঠা আন্দোলন-সংগ্রাম বারবার জাতীয় জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু ছিল দেশের ছাত্ররাজনীতির প্রাণকেন্দ্র। ডাকসুর নেতৃত্ব থেকে অনেকেই পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্বে আসীন হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদটি সবসময়ই ডাকসুর রাজনীতির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসন। স্বাধীনতার পর থেকে অল্প কয়েকজনই এই পদে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু প্রত্যেকেই তাদের সময়ে ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং রাজনীতির মাঠে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ছাপ।
স্বাধীনতার পর প্রথম ভিপি (সহ-সভাপতি) হয় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সহ-সভাপতি পদে জয়লাভ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ তখন পুনর্গঠনের পথে, আর সেই সময়ে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ছাত্র ইউনিয়নের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ডাকসুর মঞ্চকে ব্যবহার করেছিলেন গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও প্রগতিশীল চিন্তার প্রচারে। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃত্ব দেন দীর্ঘদিন। তার রাজনৈতিক যাত্রা প্রমাণ করে যে, ডাকসুর সহ-সভাপতির পদ কেবল একটি ছাত্রনেতার দায়িত্ব নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের প্রস্তুতিও বটে।
প্রায় দুই দশক পর ১৯৯০ সালে ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় দেশের রাজনীতি উত্তাল স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদবিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই নির্বাচনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থী আমানউল্লাহ আমান। আমানউল্লাহ আমানের দায়িত্বকাল ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক সময়। সারাদেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাথে ডাকসু অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত ছিল। তিনি ছাত্রদের সংগঠিত করে রাজপথে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপির হয়ে সক্রিয় হন এবং মন্ত্রীত্বও লাভ করেন। তার রাজনৈতিক উত্থানও প্রমাণ করে ডাকসুর সহ-সভাপতি পদ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ।
এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর ডাকসু নির্বাচন আর হয়নি। ২০১৯ সালে আবারও ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচিত হয়। সেই নির্বাচনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর। তিনি মূলত কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিতি পান। প্রচলিত বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে থেকে উঠে আসা নুরুল হক নুরের নির্বাচিত হওয়া ছিল ঐতিহাসিক এক ঘটনা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে প্রার্থী হয়ে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে তিনি ছাত্রসমাজের প্রতিবাদী কণ্ঠের প্রতীক হয়ে ওঠেন। তার দায়িত্বকাল ছিল নানা বিতর্ক ও সংঘাতে ভরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বারবার হামলার শিকার হন তিনি। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সাথে দ্বন্দ্ব ও প্রশাসনের সাথে সংঘাত তার ভিপি পদকে আরও আলোচিত করে তোলে। দায়িত্ব শেষে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন এবং আজও আলোচনায় রয়েছেন।
তিন ভিপি, তিন ভিন্ন প্রেক্ষাপট ঃ স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আমানউল্লাহ আমান ও নুরুল হক নুর। তবে তিনজনই তাদের নিজ নিজ সময়ে ছাত্রসমাজের আকাঙ্ক্ষা ও আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। সেলিম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন ও প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতির প্রতীক। আমান ছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের ছাত্রনেতা। নুরুল হক নুর ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তিনটি ভিন্ন সময়, ভিন্ন প্রেক্ষাপট, কিন্তু একটি মিল তাদের প্রত্যেকের নেতৃত্ব ছাত্ররাজনীতিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতেও রেখেছে প্রভাব।
দীর্ঘ ছয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে ডাকসুর নতুন নির্বাচন ঘিরে আবারও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন মতাদর্শের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সহ-সভাপতির পদে। এবার সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন সর্বাধিক ৪৮ জন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংগঠন ও প্যানেল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রাথমিক বৈধ প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী এবার কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৪৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফলে নতুন প্রজন্ম কাকে বেছে নেয়, সেটি এখন দেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। অতীতের ইতিহাস বলছে, ডাকসুর সহ-সভাপতিরা কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিরও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন। তাই এবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি হিসেবে যে নেতৃত্ব আসবেন, তিনি হয়তো আগামী দিনের জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবেন।
রাজনীতিবিদরা মনে করেন, ডাকসুর সহ-সভাপতি পদে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের সংখ্যা হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম থেকে আমানউল্লাহ আমান, আর নুরুল হক নুর তিনজনের রাজনৈতিক যাত্রা প্রমাণ করে ডাকসুর এই পদটির গুরুত্ব কতটা। এটি ছাত্রনেতাদের জন্য কেবল একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন নয়, বরং জাতীয় রাজনীতির পথে এগিয়ে যাওয়ার এক মহাসড়কও বটে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কে হচ্ছে ডাকসু ভিপি…

আপডেট সময় :

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশের রাজনীতির আঁতুড়ঘর বলা হয়। এখানে গড়ে উঠা আন্দোলন-সংগ্রাম বারবার জাতীয় জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু ছিল দেশের ছাত্ররাজনীতির প্রাণকেন্দ্র। ডাকসুর নেতৃত্ব থেকে অনেকেই পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতির নেতৃত্বে আসীন হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদটি সবসময়ই ডাকসুর রাজনীতির অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসন। স্বাধীনতার পর থেকে অল্প কয়েকজনই এই পদে দায়িত্ব পালন করার সুযোগ পেয়েছেন, কিন্তু প্রত্যেকেই তাদের সময়ে ছাত্রসমাজের প্রতিনিধিত্ব করেছেন এবং রাজনীতির মাঠে রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ছাপ।
স্বাধীনতার পর প্রথম ভিপি (সহ-সভাপতি) হয় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে ১৯৭২ সালে ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের প্রার্থী মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সহ-সভাপতি পদে জয়লাভ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশ তখন পুনর্গঠনের পথে, আর সেই সময়ে ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ছাত্র ইউনিয়নের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ডাকসুর মঞ্চকে ব্যবহার করেছিলেন গণতন্ত্র, অসাম্প্রদায়িকতা ও প্রগতিশীল চিন্তার প্রচারে। পরবর্তীতে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন এবং বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) নেতৃত্ব দেন দীর্ঘদিন। তার রাজনৈতিক যাত্রা প্রমাণ করে যে, ডাকসুর সহ-সভাপতির পদ কেবল একটি ছাত্রনেতার দায়িত্ব নয়, বরং জাতীয় পর্যায়ে নেতৃত্বের প্রস্তুতিও বটে।
প্রায় দুই দশক পর ১৯৯০ সালে ডাকসুর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় দেশের রাজনীতি উত্তাল স্বৈরশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদবিরোধী আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে। সেই নির্বাচনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থী আমানউল্লাহ আমান। আমানউল্লাহ আমানের দায়িত্বকাল ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক সময়। সারাদেশে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সাথে ডাকসু অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত ছিল। তিনি ছাত্রদের সংগঠিত করে রাজপথে নেতৃত্ব দেন। পরবর্তীতে জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপির হয়ে সক্রিয় হন এবং মন্ত্রীত্বও লাভ করেন। তার রাজনৈতিক উত্থানও প্রমাণ করে ডাকসুর সহ-সভাপতি পদ কতটা তাৎপর্যপূর্ণ।
এরপর দীর্ঘ ২৮ বছর ডাকসু নির্বাচন আর হয়নি। ২০১৯ সালে আবারও ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ছাত্ররাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায় রচিত হয়। সেই নির্বাচনে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন নুরুল হক নুর। তিনি মূলত কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম নেতা হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিতি পান। প্রচলিত বড় রাজনৈতিক দলের বাইরে থেকে উঠে আসা নুরুল হক নুরের নির্বাচিত হওয়া ছিল ঐতিহাসিক এক ঘটনা। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ থেকে প্রার্থী হয়ে জয়ী হওয়ার মাধ্যমে তিনি ছাত্রসমাজের প্রতিবাদী কণ্ঠের প্রতীক হয়ে ওঠেন। তার দায়িত্বকাল ছিল নানা বিতর্ক ও সংঘাতে ভরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে বারবার হামলার শিকার হন তিনি। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের সাথে দ্বন্দ্ব ও প্রশাসনের সাথে সংঘাত তার ভিপি পদকে আরও আলোচিত করে তোলে। দায়িত্ব শেষে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে নতুন প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলেন এবং আজও আলোচনায় রয়েছেন।
তিন ভিপি, তিন ভিন্ন প্রেক্ষাপট ঃ স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র তিনজন সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আমানউল্লাহ আমান ও নুরুল হক নুর। তবে তিনজনই তাদের নিজ নিজ সময়ে ছাত্রসমাজের আকাঙ্ক্ষা ও আন্দোলনের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন। সেলিম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠন ও প্রগতিশীল ছাত্ররাজনীতির প্রতীক। আমান ছিলেন স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের ছাত্রনেতা। নুরুল হক নুর ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলন ও নতুন প্রজন্মের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। তিনটি ভিন্ন সময়, ভিন্ন প্রেক্ষাপট, কিন্তু একটি মিল তাদের প্রত্যেকের নেতৃত্ব ছাত্ররাজনীতিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে এবং জাতীয় রাজনীতিতেও রেখেছে প্রভাব।
দীর্ঘ ছয় বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে (ডাকসু) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। বর্তমানে ডাকসুর নতুন নির্বাচন ঘিরে আবারও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিভিন্ন মতাদর্শের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সহ-সভাপতির পদে। এবার সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন সর্বাধিক ৪৮ জন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন সংগঠন ও প্যানেল তাদের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। প্রকাশিত প্রাথমিক বৈধ প্রার্থী তালিকা অনুযায়ী এবার কেন্দ্রীয় সংসদের জন্য ৪৬২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ফলে নতুন প্রজন্ম কাকে বেছে নেয়, সেটি এখন দেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। অতীতের ইতিহাস বলছে, ডাকসুর সহ-সভাপতিরা কেবল বিশ্ববিদ্যালয়ের নয়, বরং জাতীয় রাজনীতিরও ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করেন। তাই এবারের নির্বাচনে সহ-সভাপতি হিসেবে যে নেতৃত্ব আসবেন, তিনি হয়তো আগামী দিনের জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলবেন।
রাজনীতিবিদরা মনে করেন, ডাকসুর সহ-সভাপতি পদে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন, তাদের সংখ্যা হয়তো খুব বেশি নয়। কিন্তু মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম থেকে আমানউল্লাহ আমান, আর নুরুল হক নুর তিনজনের রাজনৈতিক যাত্রা প্রমাণ করে ডাকসুর এই পদটির গুরুত্ব কতটা। এটি ছাত্রনেতাদের জন্য কেবল একটি মর্যাদাপূর্ণ আসন নয়, বরং জাতীয় রাজনীতির পথে এগিয়ে যাওয়ার এক মহাসড়কও বটে।