ঢাকা ০৩:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫

কেশবপুর ধনিয়া চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

খায়রুল আনাম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:১৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৬৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোরের কেশবপুর উপজেলার চাষিদের মধ্যে ধনিয়া চাষের আগ্রহ বেড়েছে। চলতি বছর উপজেলায় এ ফসলের উৎপাদন খুব ভালো হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। এ অঞ্চলে অনেক আগে থেকেই মসলা জাতীয় এই ফসলের চাষ হয়ে আসছে। তবে গত ২ বছর এ চাষে মাত্রা বেড়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মসলা চাষ খুব সহজ বলে জানান চাষিরা। এটা বোনার পর একটা সেচ ছাড়া আর তেমন কিছু করার প্রয়োজন হয় না। তিন মাস পর ফসল তুলেই বিক্রি করা যায়।

বাজারে এ মসলার চাহিদা রয়েছে ভরপুর। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষক নিজেদের উদ্যোগেই চাষ করছে। তবে আমরা তাদেরকে সব প্রকার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এটা সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয় উপজেলার কেশবপুর সদর ত্রিমোহিনি ইউনিয়নে। সাধারণত কালো মাটিতে ভালো জন্মে বলে কৃষিবিদ অনাথ বন্ধু দাস জানান। উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হেক্টর। চাষও হয়েছে ৫ হেক্টরে। ধনিয়া চাষি সফরবাদ গ্রামের আনসার আলী বলেন, শুকনো মৌসুমে এই মসলা চাষে তেমন কোন ঝুঁকি নেই। ধান রোপণ অনেক ঝুঁকির তাই আমরা পেঁয়াজ, রসুন, তিল, ধনিয়াসহ বিকল্প চাষে মনযোগ দিচ্ছি। আলতাপোল গ্রামের কৃষক অসিত বিশ্বাস বলেন, রোপণ ও তোলায় ঝামেলা নেই আবার বিক্রি করা ও সহজ। এক কেজি ধনেপাতা (কাঁচা) ৫০ টাকা আর পাকা ধনীয়ার বীজ ২০০/টাকা দামে বিক্রি হয়। যা অনেক লাভজনক।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কেশবপুর ধনিয়া চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

আপডেট সময় : ০২:১৩:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

যশোরের কেশবপুর উপজেলার চাষিদের মধ্যে ধনিয়া চাষের আগ্রহ বেড়েছে। চলতি বছর উপজেলায় এ ফসলের উৎপাদন খুব ভালো হবে বলে কৃষকরা আশা করছেন। এ অঞ্চলে অনেক আগে থেকেই মসলা জাতীয় এই ফসলের চাষ হয়ে আসছে। তবে গত ২ বছর এ চাষে মাত্রা বেড়ে গেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ মসলা চাষ খুব সহজ বলে জানান চাষিরা। এটা বোনার পর একটা সেচ ছাড়া আর তেমন কিছু করার প্রয়োজন হয় না। তিন মাস পর ফসল তুলেই বিক্রি করা যায়।

বাজারে এ মসলার চাহিদা রয়েছে ভরপুর। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, কৃষক নিজেদের উদ্যোগেই চাষ করছে। তবে আমরা তাদেরকে সব প্রকার পরামর্শ দিয়ে থাকি। এটা সবচেয়ে বেশি চাষ করা হয় উপজেলার কেশবপুর সদর ত্রিমোহিনি ইউনিয়নে। সাধারণত কালো মাটিতে ভালো জন্মে বলে কৃষিবিদ অনাথ বন্ধু দাস জানান। উপজেলায় এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হেক্টর। চাষও হয়েছে ৫ হেক্টরে। ধনিয়া চাষি সফরবাদ গ্রামের আনসার আলী বলেন, শুকনো মৌসুমে এই মসলা চাষে তেমন কোন ঝুঁকি নেই। ধান রোপণ অনেক ঝুঁকির তাই আমরা পেঁয়াজ, রসুন, তিল, ধনিয়াসহ বিকল্প চাষে মনযোগ দিচ্ছি। আলতাপোল গ্রামের কৃষক অসিত বিশ্বাস বলেন, রোপণ ও তোলায় ঝামেলা নেই আবার বিক্রি করা ও সহজ। এক কেজি ধনেপাতা (কাঁচা) ৫০ টাকা আর পাকা ধনীয়ার বীজ ২০০/টাকা দামে বিক্রি হয়। যা অনেক লাভজনক।